• Uncategorized

    মানবকণ্ঠের মালিকের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ

      প্রতিনিধি ২ নভেম্বর ২০২০ , ১:২০:০৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    সাদ্দাম হোসেন মুন্না-স্টাফ রির্পোটারঃ

    মানবকণ্ঠের মালিকের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ

    ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপুসহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সাথে দৈনিক মানবকণ্ঠের মালিক নজরুল ইসলামের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রায় ২ ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন সাংবাদিকরা।

    রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিভাগ সাংবাদিক ফোরাম‘র উদ্যোগে আয়োজিত এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে এ আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে।

    ঢাকা বিভাগ সাংবাদিক ফোরাম’র সভাপতি আলম হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হাসান কাজল’র সঞ্চালনায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বিএফইউজে’র মহাসচিব শাবান মাহমুদ, বিএফইউজে’র সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী , ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ , সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু , বিএফইউজে’র যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল মজিদ, বিএফইউজে’র সাবেক যুগ্ম মহাসচিব পুলক ঘটক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আতিকুর রহমান চৌধুরী , ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক খাইরুল আলম , ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রচার সম্পাদক আসাদুজ্জামান, ক্রীড়া ও প্রচার সম্পাদক দুলাল খান, ঢাকা বিভাগ সাংবাদিক ফোরামের সদস্য রফিকুল ইসলাম কচি, শাহাদাৎ হোসেন ভূঁইয়া, শাজাহান সাজু , নূরে আলম জীবন , মানবকন্ঠ পত্রিকার নির্যাতিত সাংবাদিক সাবেরা ইসলাম, জয়নাল আবেদীনসহ আরো অনেকে। নারায়ণগঞ্জ থেকে উপস্থিত ছিলেন শফিকুল ইসলাম আরজু, আব্দুল কাইয়ুম, আসলাম হোসেন, মাসুদ রানা, কবির বাবুল।

    মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বিএফইউজে’র মহাসচিব শাবান মাহমুদ বলেন , আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে যদি মানবকণ্ঠের মালিক নজরুল ইসলাম প্রকাশ্যে ক্ষমা না চান এবং চাকরিচ্যুত সাংবাদিকদের বকেয়া বেতন না দেন তাহলে সাংবাদিকরা সারাদেশে কঠোর আন্দোলনে নামবে।

    ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজ) সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ বলেন, মানবকণ্ঠের মালিক নজরুল ইসলাম অনেককেই ম্যানেজ করার চেষ্টা করছেন। যাদেরকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করছেন তারা সাংবাদিক হোক আর যাই হোক, আমরা কারো খাইও না, কারও পরিও না। কুদ্দুস আফ্রাদ সাজ্জাদ আলম তপুকে কিনে নেয়ার এত সহজ নয়। প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। এবং যারা চাকরিচ্যুত আইন অনুযায়ী তাদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করতে হবে তারপরে ক্ষমা করবো এছাড়া কোনও ক্ষমা নেই।

    তিনি বলেন, প্রশাসনে অনেকেই ম্যানেজ হচ্ছে, আমরা খবর পাচ্ছি। কে কত টাকা নিচ্ছে তাও খবর পাচ্ছি। প্রশাসনের কেউ যদি মনে করেন আপনারা ম্যানেজ হয়ে এটা চাপা দেবেন, পারবেন না। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, আজকে শুধু একটা ডোজ দিলাম, সারাদেশের সাংবাদিকরা নিন্দা জানিয়েছে। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বকেয়া বেতন পরিশোধ করা না হলে প্রয়োজনে শুধু ঢাকা নয়, সারাদেশে কর্মসূচি করা হবে।

    ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু বলেন, আমাদের যে রুটি-রুজির অধিকার সে অধিকার নিশ্চিত করতে চাই। আমাদের ওপরে মনস্তাত্ত্বিক চাপ যারা সৃষ্টি করতে চায় তাদের রুখে দিতে হবে। তিনি বলেন, এসব ভূমিদস্যু বলেন, অত্যাচারী বলেন, দুর্বৃত্ত বলেন সবার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ