• Uncategorized

    জাককানইবিতে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরিক্ষার সিদ্ধান্তঃ ক্ষোভ প্রকাশ সাধারণ শিক্ষার্থীদের 

      প্রতিনিধি ১২ নভেম্বর ২০২০ , ৯:৩২:৩৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    ডি এইচ রনি-বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিঃ

    ১১ নভেম্বর (বুধবার)অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০ তম একাডেমিক কাউন্সিলে (জরুরী সভা) গৃহীত সিদ্ধান্তের মধ্যে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরিক্ষা বিষয়ক সিদ্ধান্তের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারন শিক্ষার্থীরা।

    Jatiya kabi Kazi Nazrul Islam University ফেইসবুক পেইজে “প্রিয় পাঠক,

    জাককানইবি’র গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতিতে যাওয়ার সিদ্ধান্তকে কীভাবে দেখছেন?” এমন শিরোনামে একটি পোস্ট প্রকাশের পরপরই শিক্ষার্থী রা এ সিদ্ধান্তের বিপক্ষে মতামত প্রধান করে।

    সেখানে একজন শিক্ষার্থী মন্তব্য করেন, “গুচ্ছ পদ্ধতির বিষয়টা খুবই বাজে সিদ্ধান্ত। এতে  বিশ্ববিদ্যালয় তার নিজস্ব স্বকীয়তা হারিয়ে ফেলবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট হিসেবে এটা মেনে নেওয়া খুবই কষ্টের।  সিদ্ধান্ত পুনঃ বিবেচনা করার আহ্বান জানাচ্ছি।” এরকম শতশত মন্তব্যে মুখরিত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফেইসবুক গ্রুপ ও পেইজগুলো। সাথে শিক্ষার্থীরা রাগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের প্রতি।

    গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি সম্পর্কে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, করোনা কালীন সময়ে দেশের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী, তাদের অভিভাবকদের চাওয়া সহ বিভিন্ন দিক চিন্তাভাবনা করে সরকার ও ইউজিসির প্রস্তাব ছিল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরিক্ষা নেওয়া আর জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শুধুমাত্র তাতে সম্মতি প্রদান করেছে। তিনি আরো বলেন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতি পরিক্ষায় সম্মতি জানালেও তা কিভাবে, কোন পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে সে ব্যাপারে কোনো কিছু এখনো সঠিকভাবে বলা যাচ্ছেনা।

    শ্বায়িত্বশাসিত হিসেবে ‘ঢাবি, রাবি, জাবি সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে না আসার সিদ্ধান্ত প্রকাশ করলেও জাককানইবি কেন পারবেনা’?  এমন প্রশ্নের জবাবে রেজিস্ট্রার ড. মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘আসলে ঢাবি, রাবি, জবি, চবি এরা ‘৭৩ এর অধ্যাদেশে চলে তাদের মতো শ্বায়িত্বশাসন সব বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই।’

    উল্লেখ্য জাককানইবির ৩০ তম একাডেমিক  কাউন্সিলে সিদ্ধান্তগুলো ছিল :

    ১. বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগের যেসকল বর্ষ/ সিমেস্টারের অনুষ্ঠিত পরীক্ষার ফলাফল স্থগিত রয়েছে তা দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রকাশ করার জন্য প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

    ২. বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সকল বিভাগের স্নাতক চতুর্থ বর্ষ অষ্টম সিমেস্টারের সমাপনী পরীক্ষা ও মাষ্টার্স দ্বিতীয় সিমেস্টারের সমাপনী পরীক্ষা গ্রহণ বাকী রয়েছে তা গ্রহণের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকার সরকারি সিদ্ধান্ত রয়েছে, এরপরে যদি সরকারি ঘোষণায় একাডেমিক কার্যক্রম চালানোর অনুমতি দেওয়া হয় কেবলমাত্র তবেই স্বাস্থ্যবিধি ( আবাসিক হল না খুলে) মেনে পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে।

    ৩. ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম শ্রেণীর ভর্তি পরীক্ষা গুচ্ছ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষা অনলাইনে নয় বরং সরাসরি আয়োজনের পক্ষে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়েছে একাডেমিক কাউন্সিল।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ