• রংপুর বিভাগ

    জলঢাকায় মিথ্যা ধর্ষণের অভিযোগে দুই কিশোরকে গ্রামছাড়া

      প্রতিনিধি ৬ অক্টোবর ২০২২ , ৩:৪৬:৩৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    উজ্জ্বল আহমেদ-নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ

    সপ্তম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে একাধিক বার ধর্ষণে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হলে ষড়যন্ত্র মুলক দুই কিশোরকে দোষারোপ করে দোষী ব্যক্তিদের অন্তরালে রেখে ঘটনাটি ধাঁমাচাপা দেয়ার চেস্টা করছে ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয় মাতব্বরা। ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার ধর্মপাল ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড পায়রাবন্দ গ্রামে। গত বুুধবার বিষ পাণে আত্মহত্যার চেস্টার ঘটনায় ঘটনাস্থল গেলে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য। সরেজমিনে জানা যায়, জাহিদুল ইসলামের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে ছদ্মনাম বেবি(১৩)কে ধর্ষণে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়। কিন্তু ধর্ষককে অন্তরালে রেখে জিয়ারুল ইসলাম(১৫) ও মাসুম ইসলাম নামে দুই কিশোরকে ফাঁসিয়ে গোঁপনে একাধিকবার সালিশ বৈঠক করেছে ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের ও তাঁর লোকজন।

    বৈঠকে জিয়ারুলকে দেড়লক্ষ এবং মাসুমকে দুইলক্ষ টাকা জরিমানার মাধ্যমে ঘটনাটি ধাঁমাচাপা দেয়া চেস্টা চলে। জিয়ারুল ইসলাম আজিবর রহমানের ছেলে এবং মাসুম, বিদেশ প্রবাসি আশরাফুল আলেমের ছেলে। তাদের অভিভাবকরা টাকা দিতে স্বীকার হলে জিয়ারুল ইসলাম, গত ২ অক্টোম্বর বিষপানে আত্মহত্যা করার চেস্টা করে। বর্তমানে সে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীর বাড়িতে গেলে তাদের কাউকে পাওয়া যায়ইনি।
    নাম না বলা সর্তে স্থানীয়দের মতে জানাজায়, ক্ষমতাশালী দলের চেয়ারম্যান ও তাঁর অনুসারীদের ভয়ে অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীর পরিবার আইনের আশ্রয় নিতে পারেনি।

    এমনকি পেটে থাকা সন্তানটি নষ্ট করতে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে গ্রামছাড়া করার হুমকি দিচ্ছেন। চেয়ারম্যান ও তাঁর অনুসারীদের ভয়ে বর্তমানে তারা নিখোঁজ, কোথাও তাদের পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়াও জিয়ারুল ও মাসুমের পরিবারের লোকজনও প্রভাবশালী মাতব্বরদের ভয়ে মুখ খুলছে না। মুখ খুললে বিপদের আশংকা থাকতে পারে বলে জানান দুই পরিবারের লোকজন। তাছাড়া এলাকাবাসী আরো জানায়, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে জরিমানা করায় আজিবর রহমানের ছেলে জিয়ারুল ইসলাম বিষপানে আত্মহননের চেস্টা চালায়। ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সামসুল হক মুঠোফোনে বলেন, ঘটনাটি সত্যি, মেয়ের বাবা চেয়ারম্যানের কাছের লোক হওয়ায় আমাকে কেউ কিছু বলেনি। আমি এবিষয় কিছুই জানিনা।

    বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এবিষয়ে আমি কোন জানিনা। আমাকে ফাঁসানোর জন্য আমার প্রতিপক্ষ বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করছে। এ ধরনের ঘটনা স্থানীয়ভাবে কেউ মিমাংশা টানতে পারেনা বলে একাধিক আইনজীবী জানান। যারা স্থানীয়ভাবে মিমাংশার চেস্টা করবে বা মিমাংশা করবে তাঁরা অপরাধী। বিষয়টি নিয়ে জলঢাকা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফিরোজ কবির মুঠোফোনে বলেন, ঘটনাটি আমি শুনিনি, এই প্রথম আপনার কাছে শুনলাম তবে মেয়ের পক্ষ
    অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিষয়টি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম মহোদয়কে মুঠোফোনে অবগত করলে তিনি বলেন, আমি কেবলে শুনলাম, তাদেরকে থানায় যোগাযোগ করতে বলেন. অফিসার ইনচার্জকে বলে ব্যবস্থা নিতে বলছি।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ