প্রতিনিধি ২৬ মে ২০২৩ , ৭:১৪:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ
আরিফুল ইসলাম কারীমী স্টাফ রিপোর্টার
শেখ দাগন মজুমদার ওয়াকফ্ স্টেট ইসি নং ২৬২৩ মনোহরগঞ্জ কুমিল্লা। এটি বাংলাদেশ ওয়াকফ্ স্টেটের অধিনে দলিলের শর্ত মোতাবেক স্থানীয় মোতোয়াল্লি কর্তৃক পরিচালিত হয়ে থাকে।
তারই ধারাবাহিকতায় দায়িত্বপ্রাপ্ত মোতোয়াল্লি জনাব মোবারক হোসেন মিঞার মৃত্যুতে উক্ত স্টেটের মোতোয়াল্লি পদ শূন্য হওয়ার পর ওয়াকফ্ স্টেটে ওয়ারিশের বাহিরে মিসেস খাদিজা মাহমুদাকে তিন বছরের মেয়াদে অফিসিয়াল মোতোয়াল্লি হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করে যাহা সম্পূর্ণ ওয়াকফ্ স্টেট নীতিমালায় অবৈধ।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, মিসেস খাদিজা মাহুমুদা দায়িত্ব পালনকালে ওয়াকফ্ স্টেটের বিভিন্নভাবে অর্থ আত্মসাত করেছেন।
তার অর্থ আত্মসাতের ব্যাপারে বাংলাদেশ ওয়াকফ্ স্টেটেরে প্রশাসককে অবহিত করা হলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অভিযোগকারীরা জানান, মিসেস খাদিজা মাহমুদা যে অর্থ আত্মসাত করেছেন তাহা আগামী শতবছরের পূরণীয় নয়।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, মিসেস খাদিজা মাহমুদার নির্ধারিত তিন বছরের মোতোয়াল্লির মেয়াদ ৩০ সেপ্টেম্বর’২২ শেষ হওয়ায় সৃষ্ট মোতোয়াল্লির পদ শুন্য ঘোষণা করা হয়। এবং পরবর্তীতে সাবেক মোতোয়াল্লি সহ একাধিক যোগ্যতা সম্পূর্ণ ওয়াকিফের সদস্য মোতোয়াল্লি নিয়োগের আবেদন করেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য জনাব আখতার হাসান মাইনু, পিতা-মরহুম শামছুর রহমান মিঞা এবং জনাব ডাঃ জাকির হুসাইন মিঞা, পিতা-মরহুম ডাঃ হাবিবুর রহমান মিঞা প্রমুখ।
ওয়াকফ্ স্টেটের নীতিমালা অনুযায়ী নতুন মোতোয়াল্লি নিয়োগের ব্যপারে বাংলাদেশের ওয়াকফ্ স্টেটের দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গতকাল স্থানীয় পর্যায়ে তদন্তে আসেন। তদন্তকালে সাবেক মোতোয়াল্লির ব্যাপারে একাধিক অভিযোগ প্রমানিত হওয়া সত্ত্বেও এবং স্থানীয়দের পরিপূর্ণ মতামত না নিয়েই তদন্ত কমিটির সদস্য জনাব মাকসুদুর রহমান শিকদার এবং নাসির উল্লাহ স্থান ত্যাগ করেন।
তদন্ত কমিটির সদস্যদের পরিপূর্ণ মতামত না নিয়ে স্থান ত্যাগ করায় স্থানীয় জনসাধারণ পরিবর্তী মোতোয়াল্লি নিয়োগের ব্যাপারে অনিয়ম এবং কারচুপির আশঙ্কা করছেন।