• আমার দেশ

    বাংলাদেশের সিনচান খ্যাত অরপিতার গল্প

      প্রতিনিধি ৫ জুন ২০২২ , ৬:১৭:৫১ প্রিন্ট সংস্করণ

    আসিফ খন্দকার:

    পুরো নাম সামিহা খোসরু অরপিতা বাবা এ. এম হাক্কানী খোসরু, মা সাহিদা বেগম। দশম শ্রেণির ছাত্রি স্কোলার্স স্কুল অ্যান্ড কলেজে।বাসবাস ধানমন্ডি,ঢাকা।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভয়েস আর্টিস্ট হিসেবে ভূয়সী প্রশংসিত এই কিশোরীর সাথে কথা বলে আলোকিত ৭১ সংবাদ।জানতে চায় তার ভয়েস আর্টিস্ট হবার পেছনের গল্পটা।কিভাবে শুরু হলো এসবকিছু এমন প্রশ্নের জবাবে অরপিতা বলে,”ছোটবেলা থেকে কার্টুন দেখতে খুব ভালোবাসি। কার্টুনের নানা ধরনের চরিত্র দেখে এবং ভয়েস শুনে খুবই মজা পেতাম।

    কার্টুন আকার আগ্রহটাও জাগে ওখান থেকেই। প্রথম প্রথম ভাবতাম এ যেনো কার্টুনরাই কথা বলছে। পরে ধীরে ধীরে জানতে পারলাম এর পিছে ভয়েস দেয় ভয়েস আর্টিস্টরা। ক্লাস ৫এ থাকতে শিনচান নামের কার্টুনের প্রতি এত আগ্রহ হয়ে উঠে যে শিনচানের ভয়েস যেনো গলায় এসে পরে। প্রথম প্রথম বন্ধুদের কাছে শুনালে তারা হুবহু ভয়েস বলে মন্তব্য করে।বন্ধুদের কাছ থেকে এ ক্ষেত্রে অনেক উৎসাহ পেয়েছি।কিছু কার্টুনের ভয়েস আর্টিস্টদের ভিডিওতে দেখলাম যে ওরা মুহূর্তে চোখের সামনে ভয়েস চেঞ্জ করছে। প্রথমবার দেখে যেনো আমিও অবাক হয়ে গেলাম।ভাবলাম আমিও বিভিন্ন কার্টুন ভয়েসের চেষ্টা করতে পারি।

    এর থেকে মিমিক্রির প্রতি এক বিশেষ আগ্রহ জেগে উঠল আমার।তারপর নানা কার্টুন চরিত্রের যেমন:ডোরেমন, মিনা, সিসিমপুর, ঠাকুমার ঝুলির ভয়েস চেষ্টা করতে থাকলাম। । ২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে প্রায় ১.৫ বছর স্কুল বন্ধ ছিল। বাড়িতে বসে বেশ ফ্রি টাইম পেতাম।এর মধ্যে নতুন কিছু করার চেষ্টা করলাম, ১টা মিমিক্রির ভিডিও বানিয়ে। যদিও প্রথম ভিডিও বানিয়ে ভেবেছিলাম তা প্রকাশ করবো না। কিন্তূ মায়ের উৎসাহ এবং প্রেরণায় প্রথম মিমিক্রি ভিডিওটি ফেইসবুকে প্রকাশ করলাম।

    সেখান থেকে নানা মানুষের ভালো মন্তব্যে ও উৎসাহে নানা নতুন নতুন কার্টুন চরিত্রের মিমিক্রী করতে থাকলাম।তারপর থেকে দিনে কিছু সময় পেলেই মিমিক্রি করার চেষ্টা করতাম।এখান থেকেই শুরু হয় আমার মিমিক্রির যাত্রা।এখনো খালি সময় পেলে মিমিক্রির ভিডিও বানাই। পাশাপাশি ছবি আঁকতে, খেলতে এবং নানা কাজে আনন্দ পাই।মানুষের সাপোর্ট ও ভালোবাসাই আমার সবচে বড় পুরষ্কার বলে আমি মনে করি।”

    ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে অপপিতা জানায়,”ছোটো থেকেই মহাকাশের প্রতি এক বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে আমার। বড় হয়ে স্পেস সাইন্টিস্ট হওয়ার অনেক ইচ্ছা।যদিও জানি না কতটুকু সম্ভব হবে তবুও চেষ্টা চালিয়ে যাবো। পড়াশোনার পাশাপাশি কার্টুনের ভয়েস দেওয়ার মাধ্যমে ভয়েস আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করতে চাই। এর মধ্য দিয়ে মিমিক্রি চালিয়ে যেতে চাই।”
    অরপিতা যেন তার লক্ষ্যে সফল হতে পারে আলোকিত ৭১ সংবাদ এই কামনা করে।তার জন্য শুভ কামনা রইলো।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ