প্রতিনিধি ২৮ নভেম্বর ২০২১ , ৫:৫১:৫৬ প্রিন্ট সংস্করণ
শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
কে এই বরুন মন্ডল! তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ অসহায় বিমলা রাণীর পরিবার ? বিভিন্ন সময় বিমলার পরিবারসহ এলাকার লোকজনদেরকে সরকারী উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। বরুণ মন্ডল(৪২) মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার হাসাড়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের নাগেরপাড়া গ্রামের সুনিল মন্ডল ওরফে বাচ্চু‘র পুত্র। বরুন মন্ডল প্রাইমারী স্কুলে গন্ডি পেরিয়ে হাই স্কুলে যেতে পারেনি। বিগত ২০০৭ সালে সে সমাজ উন্নয়ন সংস্থা নামে একটি মাল্টিপারপাস খুলেন বিমলা পরিবারসহ হাসাড়া ও বীরতারা ইউনিয়নের হাজার হাজার গ্রাহকের কাছে অধিক মুনাফার আশ্বাস দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা মুলধন গ্রহন।
কয়েক বছর না পেরুতেই মাল্টিপারপাসের মাধ্যমে মুলধন নেয়ার মুলধন গ্রাহকদের ফেরত না দিয়ে পুরো টাকা আত্নসাৎ করে এবং সে নিজে আতœগোপনে চলে যায়। কেউ তার পাওনা টাকা ফেরত চাইলে তাকে সরকারী বিভিন্ন উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে হুমকি ধামকি দিয়ে থাকে এবং অনেকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তাকে হয়রানী করছে আসছে। ভুক্তভোগী বিমলা মন্ডলের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হাসাড়া মৌজার ৩৪শতাংশ সম্পত্তি ভুক্তভোগীর দাদী মা কমলা বালা দানপত্র দলিল মুলে তার মেয়ে যুবমায়া মন্ডল দান করেন। যুবমায়া মন্ডল উক্ত সম্পত্তি সাব কাবলা দলিল মুলে তার জামাতা কানাই মন্ডলের কাছে বিক্রি করে নিঃস্ববান হন।
ভুক্তভোগী উক্ত সম্পত্তি নামজারী করে ভোগদখলে থাকাকালে বরুণ মন্ডল ভারসাম্যহীন দাদু কমলা বালার কাছে থেকে একটি আমমোক্তারনামা দেখিয়ে নামজারীর বিরুদ্ধে মিস কেইস করেন। সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ মিস কেইসটি বাতিল করে নামজারী বহাল রাখে। এতে বরুণ মন্ডল ক্ষিপ্ত হয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে একাধিক মিথ্যা মামলা ঠুকে দেয়। এতে ভুক্তভোগীর স্বামী কানাই মন্ডল মিথ্যা মামলায় দিশেহারা হয়ে স্ত্রী সন্তানদের রেখে কোথায় যেন চলে যায়। স্বামী হারা হয়ে অসহায় বিমলা এক ছেলে এক মেয়ে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
ভুক্তভোগী পরিবারের পাশে কেউ দ্বারাতে আসলে তাদেরকেও সরকারী বিভিন্ন কর্মকর্তার নাম ভাঙ্গিয়ে হুমকিসহ তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ দায়েন করেন এই বরুন মন্ডল। গত ২২ নভেম্বর বিমলা সম্পত্তি মাপঝোগ করতে গেলে বরুল মন্ডল তাদের বাধা দেয় এতে উভয় পক্ষের মধ্যে তর্কবির্তক বাধে। পরে বরুন বরুণ মন্ডল এমপি,মন্ত্রী, সচিব ও পুলিশ তার পকেটে থাকে বলে সবাইকে হুমকি ধামকি দেয়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে এবং উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেন। এব্যাপারে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে বরুণ মন্ডলের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্রীনগর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এব্যাপারে বরুণ মন্ডলের কাছে জানতে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
ঘটনার বিষয়ে হাসাড়া ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বরুণ মন্ডল খারাপ প্রকৃতির লোক। সে আগে পরে হাসাড়া অনেকের বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ করে তাদেরকে হয়রানী করার চেষ্টা করছে।ঘটনাস্থলে যাওয়া শ্রীনগর থানার এসআই আপন মজুমদাার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওসি সাহেবের নির্দেশে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি উভয় পক্ষকের মধ্যে জমি সংক্রান্ত ঝামেলা। পরে আদালতের শরনাপন্ন হতে বলি এবং আদালতের রায় অনুসারে আমরা কাজ করবো বলে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেই। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণব কুমার ঘোষ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব।