• আইন ও আদালত

    বদলগাছীতে রহস্য জনিত কারণে মাটি কাটা থামছে না জেলা প্রশাসকের নির্দেশ থাকলেও নীরব উপজেলা প্রশাসন।

      প্রতিনিধি ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ , ৪:৩৭:১৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    জেলা প্রতিনিধি-এনামুল কবীর এনাম:

    নওগিঁ জেলার বদলগাছীতে রহস‍্য জনিত কারণে ফসলি জমির মাটি কাটা বন্ধ হচ্ছে না। জেলা প্রশাসকের মৌখিক আইনি পদক্ষের নির্দেশ থাকলেও নীরব উপজেলা প্রশাসন ।
    ফলে হুমকিতে পল্লী বিদ‍্যুতের খুঁটি ও
    বরেন্দ্র বহুমুখী কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) এর গভীর নলকূপের পানি সরবরাহ আন্ডার গ্রাউন্ড পাইপ মাটির উপরে দেখা যাচ্ছে।
    নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার পাহাড়পুর ইউপি’র কসবা গ্রামের ফসলি জমির মাটি কর্তনের ফলে
    নওগাঁ পল্লী বিদ‍্যুতের ইঅউ-২ই-৬৪-১৯-২৫-৪২-৩ নম্বর খুটিটি হুমকিতে নীরব উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি। ফসলী জমির মাটি
    কর্তনের ফলে বরেন্দ্রের গভীর নলকূপের ৮০ফিট পাইপ উপড়ে মাটি ।এব‍্যাপারে জমির মালিক
    আলেয়া বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন ধান হয় না তাই মাত্র ২০হাজার টাকায় জমির মাটি বিক্রি করেছি। এভাবে
    তিনি নিজের প্রায় ৪ বিঘা জমির মাটি বিক্রয় করেন টাকার বিনিময়ে। আর ঐ মাটি গুলো নিয়ে রহিম পুর ও সড়াবাড়ী বুড়িখঞ্জ ভাটা গুলোতে । সরেজমিনে দেখা যায় আশে পাশের প্রায়
    শতাধিক বিঘা জমির মাটি কর্তন করলেও প্রশাসন আজ পর্যন্ত কোন ব‍্যবস্থা গ্রহণ করেনি। নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন পদক্ষেপ ও।
    রহস্যজনক কারণে নীরব রয়েছে প্রশাসন বলে স্থানীয় স্বচেতন মহল সাংবাদিকদের জানান।
    সরেজমিনে উপজেলার কসবা গ্রামে গিয়ে দেখা যায় প্রায় জমির ৪ফিটের অধিক
    মাটি কর্তনের করেছেন। সরকারি অনুমতি ছাড়াই ফসলী জমির মাটি বিক্রয়ে চলছে মহাউৎসব।
    অসীম পাহানসহ স্থানীয় কৃষকরা জানান, আমাদের জমির আশেপাশের সকল জমির মাটি বিক্রি
    হয়ে গেছে। রক্ষার ভুমি অফিস কে বারংবার অনুরোধ করলেও কোন প্রকার প্রতিকার পদক্ষেপ নাই। আমাদের চারিদিকের জমির মাটি নিচু হয়ে গেছে। আমাদেরকেও হয়তো বিক্রি
    করতে হবে নাহলে জমির মাটি বর্ষাতে ভেঙ্গে যাবে। তারা আরো বলেন ভুমি অফিস আসে আর যায় কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে প্রতিকার। দেশে আইন আছে
    প্রয়োগ নেই, থাকলে এইভাবে ফসলি জমি নষ্ট করে মাটি কর্তন হতো না। মাটি কাটার কারণে
    রাস্তাঘাটও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
    কসবা গ্রামের নুনিয়াসহ একাধিক কৃষক বলেন, জমির মাটি বিক্রি করাতে গভীর নলকূপের
    পাইপ উপড়ে ফেলেছে এবং পল্লী বিদ‍্যুতের খুটিও হুমকিতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লোক জন কে বলেল ও পদক্ষেপ নেই। বর্ষায় যে কোন সময় পড়ে গিয়ে
    ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। এ জন‍্য কারা দায়ী
    এ ব‍্যাপারে মাটি ব‍্যবসায়ী নাজমূল বলেন, আমরা ব‍্যাবস‍া করছি। জমির মালিকেরা কারো অনুমতি
    নিয়েছে কিনা জানিনা। আমি টাকা দিয়ে মাটি কেটেছি। কিছু বলার থাকলে জমির
    মালিককে বলেন।
    এ ব‍্যাপারে ভূমি সহকারী গোলাম মোস্তফা বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছি।
    তাদেরকে মাটি কাটতে নিষেধ করে এসেছি। কোন মামলা দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের কে কোন প্রকার সঠিক দিতে পারেনি।
    এব‍্যাপারে নওগাঁ পল্লী বিদ‍্যুৎ সমিতি বদলগাছী’র এজিএম রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি
    ঘটনাটি জেনে সেখানে লোক পাঠিয়েছি। কোন সমস্যা নেই কিন্তু বর্ষায় সমস্যা হতে পারে।
    বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) বদলগাছীর সহকারী প্রকৌশলী হারুন-অর রশিদ
    বলেন, মাটি কাটার ফলে গভীর নলকূপের ৮০ফিট পাইপ উপড়ে ফেলা হয়েছে। তাদেরকে নিজ খরচে
    পাইপ বসাতে বলা হয়েছে।
    এ ব‍্যাপারে বদলগাছী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলপনা ইয়াসমিন বলেন, বিষয়টি একবার
    পল্লী বিদ‍্যুতের ডিজিএম কে জানান।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ