• আইন ও আদালত

    পাবনায় প্রেমের জ্বালে ফাঁসিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিলো প্রতারক আসাদুজ্জামান

      প্রতিনিধি ৮ নভেম্বর ২০২২ , ৪:৪৯:২৭ প্রিন্ট সংস্করণ

    আতিকুল ইসলাম আসিফ-আমিনপুর (পাবনা) প্রতিনিধি:

    পামনায় প্রেমের জ্বালে ফাঁসিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিলো প্রতারক আসাদুজ্জামান।

    পাবনায় সুজানগর থনায় নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নে মোহনপুর গ্রামের বিদেশ প্রবাসি মোঃ আতাউল সেখ এর স্ত্রী মোঃ শিলা পারভিন কে প্রেম করে বিয়ে করার কথা বলে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে মোঃআসাদ মন্ডল ৪৪ দিন পরে তাকে আবার পুনরায় ফিরিয়ে দেয়। আমাদের তালাশ টিম তথ্য সংগ্রহ করে পেয়েছে যে, মোছাঃ শিলা পারভিন ০৯/০১/২০২২ইং আনুমানিক ভোর ৪ টার সময়ে টয়লেটে যাবার কথা বলে বাহিরে গেলে মোঃ আসাদ মন্ডল সেখান থেকে তাকে একটা গাড়িতে করে তাদেরকে নিয়ে যায়।শিলা পারভিন বলেন বাসা থেকে নেওয়ার পরে তাকে অনেক মার-ধর করে এবং তার ব্যাংক একাউন্ট থেকে ২ লক্ষ টাকা উঠিয়ে নেয় এবং দুইটা চেন দুইটা বালা ও কারনে দুল মোট ৪ ভরি ১৪ আনা স্বর্ণ ছিনিয়ে নিয়ে আসাদ ঢাকায় তার বোনের কাছে রেখে দেয়।পরে আসাদ শিলার বাড়িতে ফোন দেয় পরে তার বাবা মা গিয়ে শিলাকে নিয়ে আসে আসার সময় একটা স্টাম্পের মাধ্যমে আসাদ বলে আমি দুলক্ষ টাকা শিলা চাহিবার মাত্র দিয়ে দিবো কিন্তু সেই টাকা এখনো পাওয়া যায় না। শুধু তাই নয় শিলাকে এস এন এস এর মাধ্যমে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে এখন শিলার জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। এবং জেলা পাবনা বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যল(আদালত)
    থেকে সংরক্ষণ বাদী ১. শিলা পারভিন ২৭, জাং মোঃ আতাউল সেখ।
    বিবাদী, ১/মোঃ আসাদুজ্জামান ৩৫
    ২/ মোঃমামুন মন্ডল ২৮
    ৩/মোঃআমান মন্ডল ৩২
    সর্ব পিতা মোঃ করিম মন্ডল
    সর্ব সাং রায়পুর মাঝপাড়া,সুজানগর, পাবনা।
    সাক্ষী,১/ মোঃ ওহাব আলী
    পিতা মৃত সুনাই শেখ
    সাং মোহনপুর
    ২/মিঠু
    পিতা মৃত আমজাদ শেখ
    ৩/মোঃ জালাল প্রাং
    পিতা মৃত নাছির প্রাং
    সাং স্যামনগর,সুজানগর, পাবনা।

    শুধু তাই নয় গত ০৮/০৯/২০২২ইং তারিখে আনুমানিক ভোর ৪ টার দিকে শিলা প্রকৃতির ডাকে সারা দিয়ে ঘর হতে বাহিরে টয়লেটে গিয়ে টয়লেট করিয়া আসার সময় হঠাৎ আসাদ ও মামুন ও আমান চলে আসে আসাদ তখন শিলার মুখ থুবড়ে ধরে এবং অন্য হাত দিয়ে ঝাপটাইয়া ধরিয়া তাকে উক্ত টয়লেটে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। এর পর ধস্তাধস্তি করে শিলা চিৎকার করলে আসাদ পালিয়ে যায় এবং তখন মামুন আর আমান এসে তাকে কিল ঘুসি দেয় তার পেটে লাথি দেয় তাকে অনেক মারধর করে চলে যায়। এমতাবস্থায় এলাকার লোকজন এসে দেখে আসামি তিনজন দৌড়ে পালিয়ে যায়।অন্যায় অবৈধ কার্যের জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমনে ১০/৩০ ধারায় গুরুতর। এতো কিছু করার পরেও বিচার পায়নি শিলা পারভিন। প্রশাসনের কাছে আকুল ভাবে নিবেদন করছি দ্রুত বিষয়টি বিচার করার।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ