• রাজশাহী বিভাগ

    পশ্চিম রেলের অবহেলায় ভয়ংকর দুর্ঘটনার সম্ভাবনা

      প্রতিনিধি ১৮ জুলাই ২০২২ , ৪:৪১:৫৭ প্রিন্ট সংস্করণ

    পশ্চিম রেলের বিভিন্ন দপ্তরে নানা অনিয়মের অভিযোগ। সচেতন মহল জানান, লোক দেখানো তদারকিতে দেশের প্রথম স্থান লাভ করেছে রেলের পশ্চিমাঞ্চল। রাজশাহীর রি মডেলিং স্টেশন পরিস্কার, লোক দেখানো টিকিট কালো বাজারি পাকড়া্ও করা,‌ বিভিন্ন ট্রেনে তল্লাশি সহ নানা ঘটনা সাধারণ মানুষের কাছে ফাটাকেস্টর মত আলোচনার জন্ম দেয়।
    কিন্তু রেলের গোপন সূত্র বলছে অন্য কথা। পাকশি ডিভিশনাল কার্যালয় ও লাল মনির হাট ডিভিশনে বিভাগীয় ম্যানেজারের দায়িত্বে যারা রয়েছেন তাদের নির্দেশনা আসে রাজশাহী থেকে। পশ্চিম রেলের ব্যবস্থাপকের কার্যালয়ের নির্দেশের বাহিরে কোন কিছু করার ক্ষমতাই নেই ডিভিশন দুটিতে।

    গত ১৪ জুলাই গভীর রাতে বাঘা উপজেলার আড়ানীতে ঢাকাগামি ধুমকেতু ট্রেনের চাকা জ্যাম হয়ে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। অল্পের জন্য রক্ষা পান ট্রেনের এক হাজার যাত্রী।
    রেলেওয়ের প্রকৌশলী বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলছেন, এটি ছিল রেল পশ্চিমের অসাবধাণতা। যেখানে দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের পরিক্ষা নিরিক্ষা করার নির্দেশনা রয়েছে।
    তিনি বলেন, দায়িত্বে অবহেলার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে। এর জন্য তিনি রেলের উপরের কর্মকর্তাদের দায়ি করেন। পশ্চিম রেলে যে সকল আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে তাদের কোন ট্রেনেই নেই কোন সরকারি বরাদ্ধের ছিটে ফোঁটা। যাত্রীদের প্রয়োজনে রেলের প্রত্যেকটি কক্ষের টয়লেটে টিস্যু সাবান সরকারি ভাবে বরাদ্ধ থাকলেও বাস্তবে সেই বরাদ্ধকৃত সুবিধার দেখা মিলেনা টয়লেট গুলোতে।

    ট্রেনের এটেনডেন্টদের কাছে যাত্রীরা জানতে চাইলে, তিনি কোন সঠিক উত্তর দিতে পারেনি। সম্প্রতি পশ্চিম রেলের টিকিট কালোবাজারি বন্ধে অভিযান আটক সহ তেল চুরি বন্ধে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে পশ্চিম রেলের বড় বাবুরা তাতে সরকারের কতগুন তেল সাশ্রয় হয়েছে এমন কোন তথ্য নেই রেলপশ্চিমের তেলের ডিপোতে।রাজশাহী রি মডেলিং স্টেশনে আন্তনগর ট্রেনের টিকিট পাননা যাত্রীরা, অথচ আন্তঃনগর ট্রেন অধিকাংশ সিট খালি নিয়ে ছাড়ছে স্টেশন। স্টেশনের কাউন্টারের সামনে ভোর বেলায় তদারকি করতে দেখা মিলে বড় কর্তাদের। টিকিট মেলেনা কাউন্টারে, আবার অনলাইনে টিকিট বুক করতে গেলেও সেকেন্ডের মধ্যে নাই হয়ে যাওয়া যেন এক ব্ল্যাক ম্যাজিকের কারণ। প্রশাসনের বড় কর্তাদের টিকিট দিয়ে জামাই আদর করতে যেন তারা ব্যস্ত ।

    এ বিষয়ে কাউন্টারে আসা এক মুক্তিযোদ্ধা বলেন, দেশ স্বাধীন হয়েছে আবার দেশ নায়কের মেয়ে দেশের হাল ধরেছে ঠিক। কিন্তু কিছু উই পোকা কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে দেশের ইজ্জত। একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়ে লাইনে অপেক্ষা করছি টিকিট পাবো কিনা জানিনা । কিন্তু কিছু বড় কর্মকর্তার গাড়ির ড্রাইভার তার স্যারের নামে উল্টো পথে টিকিট নিয়ে যখন সামনে দিয়ে চলে গেলেন তখন নিজেকে ছোট লাগছিল। তিনি আরও বলেন, কিছুক্ষণ আগে শুনলাম রেলের জেনারেল ম্যানেজার নাকি তদারকি করছে এমন তদারকি নিয়েও নানা প্রশ্ন থেকে যায়। এই স্টেশনে কিছুদিন আগে একজন মুক্তিযোদ্ধাকে রেলের কর্মকর্তা গলা ধাক্কা দিয়েছে শুনেছিলাম। পরে আবার মাফ চেয়েছে । আসলে, জাতি সম্মান হারিয়ে ফেলছে অপশক্তির কাছে। অযোগ্য ব্যক্তিরা কিছু সরকারি গুরত্বপুর্ণ চেয়ার দখল করেছে বলেই সরকারের বদনাম হয়।

    রাজশাহী শহরের একটি গুরুত্বপুর্ণ চলাচলের পথ রেলগেইট। সেটার স্লিপিং পার্টের লাইনের অবস্থা ভয়ংকর রুপ নিয়েছে । সেটির কোন পদক্ষেপের নেয়ার চিন্তা নেই ঘুমন্ত রেল কর্মকর্তাদের। অথচ রেল পশ্চিমের ব্যবস্থাপকের প্রধান কার্যালয় থেকে প্রায় ২ শত গজ দূরে এমন মরণ ফাঁদ তৈরি হয়েছে।
    সূত্রমতে, রেলপশ্চিমের অনেক কর্মকর্তা মাদকের সাথে জড়িয়ে পড়েছে। সেই সাথে নারী কেলেংকারীর অভিযোগ রয়েছে অনেকের নামে। অনেকেই পশ্চিম রেলের কর্মকর্তা হওয়ায় অসদুপায়ে রাতারাতি বিলাসবহুল বাড়ি, গাড়ির মালিক হয়ে গেছে বলে জানা গেছে ।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ