• সারাদেশ

    পত্নীতলা উপজেলার স্বাস্থ্য ভালো নেই জনস্বাস্থ্য কার্যালয়ের

      প্রতিনিধি ১৪ জুলাই ২০২৩ , ২:৪১:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    শাকিল হোসেন-স্টাফ রিপোর্টার:

    নওগাঁর পত্নীতলা জনস্বাস্থ্য কার্যালয় অনিয়ম ও দূণীর্তির আখড়া হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে। মানা হচ্ছেনা সরকারি কোন নিয়মনীতি। রাত যতই আধার হয় ততই কর্মচারীদের সাথে ঠিকাদারদের আড্ডা বেড়ে যায়। তবুও নিরবে রেফারির ভূমিকায় দেখা যায় জনস্বাস্থ্যের উপ—সহকারী প্রকৌশলী সন্তোষ কুমার কুন্ডু কে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে পত্নীতলা উপজেলার উপ— সহকারী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় নৈশ্য প্রহরী মো: আনিস জনস্বাস্থ্য কার্যালয়কে মুরগীর খামারে পরিণত করেছে। দীর্ঘ্যদিন থেকে সেখানে কবুতরের খামারও করেছিলেন যা কিছুদিন পূর্বে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

    তার বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ উঠেছে গায়েবী ক্ষমতার দাপোর্টে সরকারের দেওয়া অফিসারের জন্য ব্যবহৃত মোটরসাইকেল নিয়ে তিনি তার ব্যক্তিগত কাজে দিনের পর দিন ব্যবহার করেন । অফিসার নিরুপায় হয়ে এতিমের মতো যাতায়াত করেন বাস বা অটো চার্জারে। এছাড়াও নৈশ্য প্রহলী মো: আনিস এর বিরুদ্ধে অফিসেরর রুম দখল করে ঠিকাদারদের সাথে রাতে আমেজ ফুর্তিতে মেথে উঠেন। এসব বিষয়ে তার ( আনিস ) এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি সব কিছু করতে পারি। আমি কেন কবুতর ও মুরগী পালন করতে পারবো না— কেন অফিসারের মোটরসাইকেল ব্যবহার করতে পারবো না।

    তবে অফিসের রুম দখল করে ঠিকাদারদের সাথে আড্ডা দেবার বিষয়টি অস্বিকার করেন। মো: আনিস কে যখন প্রশ্ন করা হয় সরকারি বিধি মোতাবেক আপনি অফিসের মধ্যে কবুতর ও মুরগী পালন করতে পারেন? আপনি কোন ক্ষমতা বলে অফিসারের মোটরসাইকেল আপনার ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ভাই আমি এতো নিয়মনীতি জানিনা। আমার মন চায়ছে তাই করেছি।
    অপরদিকে অফিস না করেও নিয়মিত হাজিরা খাতায় নিয়মিত সাক্ষর করার অভিযোগ উঠেছে অত্র কার্যালয়ের ম্যাকানিক মো: মোহাব্বত হোসেন এর বিরুদ্ধে।

    তবে এই বিষয়টি উপ— প্রকৌশলী সন্তোষ কুমার কুন্ডু স্বিকার করে বলেন, বাসা সাপাহারের কাছে হবার কারণে তিনি অফিসে কম আসেন। তাছাড়া তার দায়িত্ব পত্নীতলার শেষ সীমান্তে যা সাপাহারের কাছাকাছি এলাকায়। যার ফলে তিনি বাসা থেকেই অফিস করেন। অপরদিকে অভিযুক্ত মোহাব্বত আলী তিনি নিজেও বিষয়টি স্বিকার করে বলেন, আমার বাসা সাপাহার এলাকায় হবার কারণে অফিসে নিয়মিত যাতায়াত পড়ে না। তাছাড়া আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পত্নীতরা বর্ডার এলাকায় যা সাপাহার উপজেলার কাছাকাছি।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ