• Uncategorized

    পটুয়াখালী জেলার  কমলাপুর ইউনিয়নে সরকারি  জানালা বিক্রি।

      প্রতিনিধি ১২ জুলাই ২০২০ , ৫:০৮:৩৭ প্রিন্ট সংস্করণ

    মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন) -পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:

    পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলাধীন    কমলাপুর ইউনিয়নে বিগত দিনে চাল চুরির ঘটনায় চেয়ারম্যানের জড়িত থাকার ঘটনার পর আবার নতুন করে জন্ম নিলো আরেক চাঞ্চল্যকর ঘটনার।

    সরকারী মাল যেন দড়িয়ায় মে ঢাল। এমন প্রবাদ বাক্যই সত্য হলো, সংস্কারের নামে ভবনের অকেজো উপকরন এর মজুরী হিসাবে দিলেন ইউনিয়ন পরিষদের সচিব যাদব দত্ত। এমনটাই অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

    অদ্য ১২ জুলাই সকাল ১১.০০ ঘটিকার সময় সরেজমিন অনুসন্ধানে গেলে ঘটনার সত্যতা বেড়িয়ে আসে। বাস্তব চিএ দেখা মেলে ১ নং উওর ধরান্দীর ফিরোজ সিকদারের বাড়ীতে।

    ঘটনা সুত্রে জানা যায় কমলাপুর ইউনিয়নের র্বতমান চেয়ারম্যান চাল চুরির ঘটনায় জেল হাজতে থাকা কালীন সময় ইউনিয়ন পরিষদের অবকাঠামো সংস্কার নামে পুরানো মালামাল বদল করে নতুন মালামল স্থাপন করেন যদিও বা চেয়ারম্যানের দাবি সংস্কারকৃত অবকাঠামোর পুরো খরচ দিয়েছেন তার ব্যাক্তিগত ফান্ড থেকে কিন্তু পুরানো মালামাল কোথায় বা কি করা হয়েছে ? তিনি তা জানেন না কারন তিনি ঐ সময়টাতে চাল চুরির অভিযোগে জেল হাজতে ছিলেন বলে প্রতিবেদক কে জানান।

    উক্ত বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সোহরাব বলেন সচিব নিজেই ঐ জানালার গ্রিল বিক্রয় করেছেন এবিষয়ে ইউনিয়ন সচিব যাদব দত্ত বলেন পরিষদের সংস্কার করার পর পরিতেক্ত মালামাল জানালার গ্রিল পরিষদের বিতরে রাখা হয়েছিলো কখন কে বা কারা তা নিয়ে গেছে তিনি তা বলতে পারেন না, প্রতিবেদক তার কাছে ঐ সংস্কারের কাজের রির্পোট ও পরিত্যক্ত জানালার গ্রিল চুরি বা হারানোর বিষয় কোথাও কোন লিখিত অভিযোগ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি কিছুই দেখাতে পারেনি।

    এবিষয় সচিবের বক্তব্য অনুসারে চুরি বা হারানো ৪টি জানালার গ্রিলের সন্ধান মেলে কমলাপুর ইউনিয়নের উত্তর দরান্দীর ১ নং ওর্য়াডের সিকদার বাড়ির মো: হানিফ সিকদারের ছেলে মো: ফিরোজ সিকদারের পাঁকা বাড়িতে ব্যাবহার অবস্থায় ।

    উক্ত বিষয়ে মো ফিরোজ সিকদারের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া না গেলে ফিরোজ সিকদারের স্ত্রী প্রতিবেদক কে জানান তার স্বামী ইউনিয়ন পরিষদের ইলেকট্রিক কাজের ৪ দিনের বিল বাবদ তাকে পরিত্যক্ত এ জানালা ৪টি দিয়েছেন সচিব যাদব দত্ত ,পরে তার স্ত্রীর কাছ থেকে  ফিরোজ সিকদারের মুঠোফোন নাম্বার সংগ্রহ করে তাকে ফোন করে পুরো বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি ও আমার সাথে আরো একজন মো: রুবেল পরিষদে ৪ দিন ধরে কাজ করি কিন্তু মজুরী হিসাবে টাকা না দিয়ে এ জানলা চারটি আমাদের গছিয়ে দেন সচিব যাদব দত্ত।

    এ বিষয় কমলাপুর ই্উনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো আবদুস সালাম বলেন চেয়ারম্যান মনির ও সচিব যাদবের নানা কু-কিত্তির অভিযোগ অভাব নেই। র্বতমান প্রধানমন্ত্রীর হত:দরিদ্রদের বিশেষ অনুদান ২৫০০ টাকা দেয়ায়ও অনিযম করছেন যাদব দাস। তিনি প্রতিটা অনুদান প্রাপ্তদের কাছ থেকে ভুয়া একাউন্টের নাম করে নতুন সিম ক্রয় এবং অফিস খরচ বাবদ ২০০ টাকা করে জন প্রতি নিচ্ছেন যার কোন ভিত্তি নেই ।

    সরেজমিনে ওই ইউনিয়ন পরিষদে গেলে সেখানে তার সত্যতা মেলে, দেখা গেছে একই স্থানে সদর থানা পুলিশের এ এস আই সাহাবুদ্দিনের তার কাছে সিম বিক্রয় ও বিকাশ র্কমীরে কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন বিকাশ কর্মীদের দেখিছিলাম তবে তারা কি কাজে আসছেন তা আমি জানিনা।

    এ ব্যাপারে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো: মতিউল ইসলাম চৌধুরী জানান,আমরা এ বিষয়ে এখনও কোন অভিযোগ পাইনি অভিযোগ পেলে তদন্ত করে অবশ্যই আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহনকরা হবে বলে তিনি জানান।।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ