• Uncategorized

    পটুয়াখালীতে ভূয়া সনদে মাদ্রাসায় চাকুরী, সরকারী টাকা আত্মসাৎ!!

      প্রতিনিধি ৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১২:৩৮:৫০ প্রিন্ট সংস্করণ

    মু,হেলাল আহম্মেদ(রিপন)পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ

    পটুয়াখালীতে শিক্ষাগত যোগ্যতার ভূয়া সনদ প্রদান করে মাদ্রাসায় চাকুরী করে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

    পটুয়াখালী জেলার শিক্ষা অফিসার বরাবরে গত ১০/৮/২০ ইং তারিখে লিখিত অভিযোগ সূএে জানাযায়, পটুয়াখালী সদর উপজেলার লোহালিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কুখ্যাত ডাকাত সর্দার আলম ফকির (কুল্লে ডাকাত ৫৫) এর পুএ মোঃ বেল্লাল ফকির( ২৫) ৮ম শ্রেনী পাশ না করেও ভূয়া সনদ দিয়ে পটুয়াখালীর লোহালিয়া ইউনিয়নের ইদ্রাকপুর আমিনিয়া দাখিল মাদ্রাসায় নৈশ প্রহরী পদে গত ৮/৮/২০১৬ ইং তারিখ হইতে দীর্ঘ ৫ বৎসর যাবৎ চাকুরী বহাল তবিয়তে আছে। এবং সরকারি টাকা উওোলন করিতেছে যার ইনডেক্স নং . সি এফ নাম্বার ২১১৮০৭৬ এবং হিসাব নং এস,টি ৪১৮৯।

    এব্যপারে অভিযোগের সত্যতা অনুসন্ধানে সরেজমিনে গেলে দেখাযায়, মোঃ বেল্লাল ফকির ৮ম শ্রেনী পাশের সনদপএে লোহালিয়া ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০০৬ সনে অনুষ্ঠিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শ্রেনী উওরন বার্ষীক পরিক্ষায় ৮ম শ্রেনীতে উর্ওীন হয়েছে মর্মে বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক এবং অফিস সহকারীর মাধ্যমে  স্বাক্ষরিত সনদ প্রদান করা হয়।সনদ অনুযায়ী তার ২০০৪ সালে ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে ভর্তী হওয়ার কথা, কিন্তুু উক্ত বিদ্যালয় ছাএ/ছাএীর রেজিস্ট্রার বই,য়ে ৪২ জন ছাএ,ছাএীর নামের তালিকায় মোঃ বেল্লাল ফকির এর কোন নাম নেই।

    বিদ্যালয়ের ভূয়া সনদ প্রদানের বিষয় জানতে চাইলে,উক্ত বিদয়ালয়ের অফিস সহকারী সত্য রাম চন্দ্র অধিকারী( ৫৫) জানান,মোঃ বেল্লাল ফকির অএ বিদ্যালয় কখনো পড়াশোনা করেনী এবং পূর্বে স্কুলের কোন ছাএ ছিলনা। তার বাবা একজন কুখ্যাত ডাকাত তাই প্রানের ভয়ে আমরা সনদ দিতে বাধ্য হয়েছি।

    উক্ত সনদ ও নিয়োগের ব্যপারে মাদ্রাসার সুপার মোঃ আবদুস ছওার লস্কর এর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদ,’কে বলেন,অনেক দিন আগের কথা তবে  এ ব্যপারে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ভাল বলতে পারবেন।

    ইদ্রাকপুর আমিনিয়া দাখিল মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এবং লোহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মো,কবির হোসেন গণমাধ্যমকে জানায়, শুন্যপদে পএিকায় নিয়োগ বিঞ্জপ্তি প্রদান করিলে ৫টি আবেদন পরে এবং ডি,জির প্রতিনিধি হিসেবে পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো,সিদ্দিকুর রহমান এবং তৎকালীন পটুয়াখালী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আকমল হোসেন এর উপস্থিতিতে নিয়োগ পরিক্ষা সম্পূর্ণ হয়। এসময় মো,বেল্লাল ফকির সর্বোচ্চ নম্বর পেলে তাকে নিয়োগ দেয়া হয়।

     

     

     

    উল্লেখ্য,৮ম শ্রেনী পাশের ভূয়া সনদ প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,তৎকালীন প্রধান শিক্ষক এর স্বাক্ষর থাকা সত্বেও সেটি ভূয়া কিংবা জাল ছিল তা আমাদের জানাছিল না।

     

     

     

    উপরোক্ত বিষয়ে মো,বেল্লাল ফকিরের বক্তব্য জানতে একাধিকবার মাদ্রাসায় এবং মুঠোফোনে যার নাম্বার(০১৭১৬-২১৮৯০৩) নাম্বারে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

     

     

     

    ভুয়া সনদ ও নিয়োগ এবং সরকারী টাকা আত্মসাৎ এর প্রসঙ্গে পটুয়াখালী জেলা শিক্ষা অফিসার মোহম্মদ জাহাঙ্গীর হোসাইন গনমাধ্যম ‘কে বলেন,যদি ভূয়া সনদে নিয়েগ হয়ে থাকে সরকারি টাকা উক্তলোন করে তাহলে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।

     

     

    এবিষয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক এলাকাবাসী জানায়, ইদ্রাকপুর আমিনিয়া দাখিল মাদ্রাসায় খুব শিঘ্রই নবশ্রিষ্ট পদে সহকারী লাইব্রেরিয়ান নিরাপত্তা কর্মী এবং আয়াপদে নিয়োগ প্রকৃয়া হতে যাচ্ছে। উক্ত নিয়োগে ভূয়া সনদ এবং অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে যাতে নিয়োগ প্রকৃয়া হতে না পারে সেজন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছেন স্থানীয় জনসাধারণ।।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ