• Uncategorized

    পটুয়াখালীতে গৃহবধূ হত্যার দাবীতে মানববন্ধন পালিত। 

      প্রতিনিধি ১ এপ্রিল ২০২১ , ৪:৪৮:৪২ প্রিন্ট সংস্করণ

    পটুয়াখালী সদর উপজেলাধীন ইটবাড়িয়া  ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের গৃহবধূ সুমাইয়া (১৯)পাষন্ড স্বাামী  হত্যাকারী  কাওছার মৃর্ধা (২৫) কে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে  গতকাল বুধবার সকাল ১০ টায় পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

    এসময় সদর উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের  খলিশাখালীবাসী এবং খলিশাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহপাঠী ও শিক্ষকবৃন্দের ব্যানারে ৫ শতাধিক মানুষ এ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।

    উক্ত মানববন্ধনে  সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন বদরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য নাসির খান ও সাবেক ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান মাস্টার, ও জেলা শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, শিক্ষানবীস আইনজীবী রাশিদুল হাসান অপু,বক্ত্যরা নিহত গৃহবধূ সুমাইয়া হত্যাকারী ঘাতক স্বামী কাওসার মৃধার অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।

    উক্ত মানববন্ধনে নিহত গৃহবধূর বাবা মা সহ প্রায় ৫০০ শতাধিক এলাকাবাসী মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।এসময় নিহত সুমাইয়া(১৯) সদর উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের খলিশাখালী গ্রামের বাসিন্দা প্রতিবন্ধী বাদাম বিক্রেতা কালাম হাওলাদারের কন্যা।

    নিহত গৃহবধূর বাবা এবং মা মোসাঃ সাহিনুর বেগম (৪০) গণমাধ্যম কর্মীদের জানান,গত ০৬ আগষ্ট ২০ইং তারিখে ঘাতক কাওছার মৃধার সাথে বিবাহ দেয় এবং সংসারের যাবতীয় মালামালসহ নগত ৫০ হাজার টাকা ছেলের পরিবারকে দেন। যানাযায়, কিছুদিন পর অটোরিক্সার কেনার জন্য ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা দাবি করে ফের আমার মেয়েকে শারিরীক ভাবে নির্যাতন করে আসছিল ছেলের পরিবার।

    এবিষয় গত ২১ মার্চ ২১ইং তারিখে আমার মেয়কে তার ঘাতক স্বামী ও পরিবারের অন্যঅন্য সদ্স্যরা মিলে নির্যাতন করে মেরে ফেলে এবং গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করে। সুমাইয়ার বড় খালা মানোয়ারা বেগম ফোন পেয়ে ২২শে মার্চ ২১ ইং তারিখ সকালে সুমাইয়ার স্বামী কাওছার মৃধার বাড়িতে যাই এবং পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশ আমার মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মরগে প্রেরণ করে।

    এ ব্যাপারে পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আখতার মোর্শেদ মুঠোফোনে জানায় উক্ত ঘটনায় পটুয়াখালী সদর থানায় একটি ইউ.ডি মামলা হয়েছে মামলা নং ১৯/২১ ইং।  ২২ শে মার্চ ২১ ইং। তিনি আরো বলেন মেডিকেল রিপোর্ট এখন পর্যন্ত  পাওয়া যায়নি তবে রিপোর্ট পেলে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ