• Uncategorized

    পটুয়াখালীতে বড় ভাইয়ের অমানবিক হামলার শিকার, ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ৩ জননীর মা!   

      প্রতিনিধি ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ১১:৪২:০৩ প্রিন্ট সংস্করণ

     

     

    মু,হেলাল আহম্মেদ)(রিপন)পটুয়াখালী জেলা  প্রতিনিধিঃ

    পটুয়াখালী সদর উপজেলাধীন ইটবাড়িয়া ইউনিয়নে আপন ভাইয়ে ভাইয়ে জমি জমার বিরোধের জের ধরে হামলার শিকার গৃহবধু তিন সন্তানের জননী রেহেনা বেগম (৪২) কে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।

    জানাযায়,রেহেনা বেগম হচ্ছে পটুয়াখালী উপজেলার ইটবাড়িয়া  ইউনিয়নের  পুকুরজনা  গ্রামের সাকুর সিকদারের স্ত্রী।

    ঘটনাসূত্রে জানাযায়,গত ২২ সেপ্টেম্বর  রোজ মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ৮.০০ ঘটিকার সময় নিজ বসত বাড়ির ঘরের ভিতরে বসে মেয়ের সাথে  কথা বলছিল এ সময় রেহেনা বেগমের গৃহপালিত  হাঁস মুরগী তার ভাশুরের ঘরের সামনে যায় এ নিয়ে তার ভাশুর মোঃ আলমগির সিকদার (৫৩) সাথে কথা কাটাকাটি হয়।

    এক পর্যায় আলমগির সিকদার চড়াও হয়ে তার মেয়ে এলিজা কে দেশীয় অস্ত্র দা,লাঠি নিয়ে আসতে বলে, আলমগীর সিকদার তার মেয়ে একত্রিত হয়ে রেহেনা বেগমকে এলোপাথারীভাবে কিল,ঘুসি ও বাঁশের লাঠি দিয়ে আঘাত করলে এক পর্যায়ে রেহেনা বেগমের পা ভেঙে যায়।

    এবং দায়ের কোপে রেহেনা বেগমের অন্য পায়ে কোপ লেগে কেটে  জায়। এসময় রেহেনা বেগমের মেয়ে সুমাইয়া তার মাকে বাঁচাতে আসলে তার উপরেও হামলা করে চাচা আলমগীর সিকদার ও তার মেয়ে এলিজা এ সময় মা মেয়ে চিৎকার করলে  এলাকাবাসী এসে পড়লে হামলাকারীরা স্থান থেকে পালিয়ে যায়।

    এসময় এলাকাবাসী রেহেনা বেগম ও তার মেয়ে সুমাইয়া আক্তার কে উদ্ধার করে ২৫০ শর্য্যা বিশিষ্ট পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন । বর্তমানে রেহানা বেগম মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।

    এ বিষয় রেহানা বেগমের স্বামী সাকুর সিকদার প্রতিবেদকে বলেন,আমার ভাইয়ের সাথে পূর্বেে  আমার জমি নিয়ে বিরোধ ছিল আমার জমি জাল দলিল করে তিনও ভোগ দখল করে খাইতেছে। এব্যপারে পটুয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল কোর্টে মামলা চলমান রয়েছে।  এজন্য পূর্বশত্রুতার জেরে আমার স্ত্রী ও মেয়ে কে মারধর করেছে।

    তার এই অনৈতিক কর্মকান্ডের খুটির জোড় কোথায়  আমার জানানেই। তিনি আইন কানুন কিছুই মানে না। গায়ের জোরে চলে তাদেরকে কিছুই বল যায় না। আমার স্ত্রীকে কিছু না বলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে এলোপাথারীভাবে মেরেছে

    এ বিষয়ে আলমগীর সিকদার এর কাছে মুঠোফোনে ফোন করে  জানতে চাইলে তারা বিষয়টি এড়িয়ে জান এবং বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গিয়ে ফোনটি রেখে দেন ।

    এব্যপারে পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ ওসি আখতার মোর্সেদ এর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি, তবে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি  জানান।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ