• আইন ও আদালত

    পটুয়াখালীতে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, স্বামীসহ ননদ পলাতক

      প্রতিনিধি ৯ জুন ২০২৩ , ১০:০৬:২৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    মু,হেলাল আহম্মেদ রিপন-পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি।

    গত ৯’জুন শুক্রবার আনুমানিক সকাল ১১ টার সময় পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের পল্লী বিদ্যুৎ এলাকার পশ্চিম পাশে ইলিয়াছ ম্যানেজার এর ভাড়াটিয়া বাসায় এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, মৃত রুমার মা মরিয়ম বেগম বলেন, গত বুধবার এইচএসসি পরীক্ষার জন্য শশুর বাড়ি থেকে বাবার ভাড়া বাড়িতে আসে। সাথে আরাফাত মৃধা, ও ননদ আরমান বেড়াতে এসেছিলো। গত ৭-৮ মাসে পূর্বে পারিবারিক ভাবে রুমার বিবাহ হয় মরিচবুনিয়া গ্রামের নিজাম মৃধার ছেলে আরাফাত মৃধার সাথে।ঘটনার দিন রমার মা মরিয়ম বেগম বাজারে যায়। কিছুক্ষণ পরে তার জামাই আরাফাত মৃধা শাশুড়ীকে ফোন করে বলে আমরা বাড়ি চলে যাচ্ছি। পরে বাসায় ফিরে ঘরের সামনের দরজায় বন্ধ দেখে জামাইকে ফোন দিলে সে বাড়িতে চলে গেছে বলে জানায়। পরে ঘরের ঘরের দরজা ধাক্কা দিয়ে ভিতরে ঢুকে বিছানা এলোমেলো দেখতে পায়। পাশের রান্না ঘরে ঢুকে রুমার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে। তার ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে।

    এ ব্যাপারে মৃত রুমার পিতা খোকন খান বলেন, আমি বাসায় ছিলাম না খবর শুনে এসে মেয়ের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পাই। তিনি আরও বলেন, বিয়ের পর থেকে শশুর বাড়ির লোকজন টাকা পয়সা চাইতো সামনের কোরবানির পরে দেয়ার কথা ছিলো। এনিয়ে মাঝে মাঝে কথার কাটাকাটি হতো কিছুদিন আগে মোবাইল কেনার জন্য টাকা চেয়েছিলো।ঘরের মধ্যে মেয়ের লাশ জামাই তার বাড়ি চলে গেছে এর মধ্যে কি ঘটেছে তা জানিনা বলে জানান।

    এছাড়া মৃত রুমার ভাবি মিষ্টি আক্তার বলেন, আমি বাবার বাড়িতে ছিলাম খবর পেয়ে এসেছি। এসে বিছানা এলোমেলো দেখে মনে হয় এখানে হাতাহাতি হয়েছে। এরপর রুমা নিজে অথবা তার স্বামী মেরে ঝুলিয়ে রেখেছে কিনা জানিনা। বিছানায় গলায় থাকা তাগার ও মাথার ব্যান্ড পরে আছে মৃত্যুটা রহস্য জনক বলে জানান। মৃত্যুর খবর শুনে ও শশুর বাড়ির কেহ দেখতে আসেনি এতে বোজা যায় তারা দোষী।

    প্রতিবেশীদের ধারনা রুমার স্বামী আরাফাত ও ননদ মিলে কিছু একটা করে পালিয়েগেছে। না হলে মৃত্যুর সংবাদ শুনে আসবেনা কেন? শাশুড়ী না হয় বাজারে গেছে সে ফিরে আসার আগে কেন চলে গেলো এ মৃত্যু স্বাভাবিক বলে মনে হয় না এলাকাবাসীর। খবর পেয়ে সদর থানার এসআই বিপুল ও এসআই রুবেল ঘটনাস্থল থেকে রুমার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে মর্গে নিয়ে আসেন। এদিকে জানাগেছে ঘটনার পর পর স্বামী আরাফাত মৃধা ও ননদ আরামান সহ শশুর বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে। এবিষয়ে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় একটি ভাড়া বাসা থেকে নারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ