• Uncategorized

    পটুয়াখালীতে গৃহবধূকে যৌতুকের দ্বায়ে,  শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার চেষ্টা,স্বামী পলাতক।

      প্রতিনিধি ১৯ নভেম্বর ২০২০ , ১১:২৫:৩১ প্রিন্ট সংস্করণ

    পটুয়াখালী জেলা রিপোর্টার:

    পটুয়াখালী সদর উপজেলাধীন বড় বিঘাই ইউনিয়নের  ৬ নং ওয়ার্ড এর বাসিন্দা  মোঃ শাহজাহান ফকিরের পুএ মোঃ রাসেল ফকির (৩৮) নিজের স্ত্রী  লাকী বেগমকে শ্বাসরুদ্ধ করে মৃত্যুর চেষ্টায় ব্যর্থ  হয়ে ঢাকা ভাড়া বাসা থেকে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ  উঠেছে। 

    ঘটনাটি ঘটেছে গত ১১নভেম্বর রোজ বুধবার রাএ আনুমানিক ১২.০০ ঘটিকার সময় ঢাকার আশুলিয়ার ভাড়াবাসায়।ঘটনাসুএে জানাযায়, দুমকী উপজেলার উত্তর পাঙ্গাশিয়া ৩ নং ওয়ার্ডের মোঃ খালেক আকন এর মেয়ে লাকী বেগম(২৬) এর সাথে

    মোঃরাসেল ফকির এর ৭ বছর পূর্বে  উভয় পরিবারে প্রস্তাবের মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এবং মারধরের ঘটনায় আশুলিয়া ঢাকা ভাড়াটিয়া বাসায় বসে ভুক্তভোগীকে  ১১ নভেম্বর ২০ ইং রাত ১২ টার সময় প্রান নাশের চেষ্টা চালায়। পরে বাড়িওয়ালা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তার পরিবার ১৫ তাং রাত ৮ টায় পটুয়াখালী এনে  হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন।

    ভুক্তভোগী প্রতিবেদ’কে জানান, আমাদের প্রস্তাবের মাধ্যমে বিয়ে হয় গত ৭ বছর আগে। ২ মাস যেতে না যেতেই আমাকে আমার বাবার বাড়িতে রেখে সেনিটারি মিস্ত্রির কাজ করে এবং আমাকে বলে তুমি বাবার বাড়িতে থাকবে, আর আমি কাজ করে জমানো টাকা দিয়ে নিজেই ব্যবসা করব। এভাবে ১ বছর হয়ে যায় হঠাৎ করে আমার শ্বশুরের সাথে রাগ অভিমানের কথা বলে  আমাকে  ঢাকায় নিয়ে যায়।

    তিনি আরো বলেন,  আমার স্বামী ঢাকায় এসে সেনিটোরির কাজ করেন কিছু দিন কাজ করার পরে  আমার স্বামী রাত্রে ১২ টায়/ ১ টায় বাসায় আসতো এবং বাসায় যতটুকু সময় থাকতেন মোবাইলে  মেয়েদের  কল আসতো এ নিয়ে কথার কাটাকাটি হয়।আমাকে প্রতিনিয়ত মারধর করতো নেশাগ্রস্থ হয়ে আমাকে পাসবিক অত্যাচার করতো।

    এতে আমার জীবনে নেমে আসে ঝড়, ও আমার জীবন ধংস করে দিয়েছে আমার গার্মেন্টসে চাকরি  হয় তার পরোও থেমে থাকেনী আমার উপরে স্বামীর অমানবিক নির্যাতন। আমার ভাইয়েরা সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আর কত টাকা দেবে আমার স্বামী এভাবে নির্যাতন করে।  আমার ভাইদের কাছ থেকে অনেক টাকা নিয়েছে।  আমি প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্ট কামনা  সহ মিডিয়ার সহযোগিতায় আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে  আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।

    এঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার  তাকে ঢাকা থেকে ১৭ নভেম্বর সকল ৯ ঘটিকার সময়  পটুয়াখালী  ২৫০ শর্য্যা  বিশিষ্ট সদর  হাসপাতালে এনে ভর্তি রা হয়। বর্তমানে রুগী গুরুতর অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন।

    এব্যপারে ভুক্তভোগীর বড় ভাই জানায়, আমার বোনকে অনেক অসুস্থ অবস্থায় পেয়েছি আমি কি বলব এ অমানবিক নির্যাতনের বলার কোনো ভাষা নেই । আমার এই ভগ্নিপতি বোনের বিয়ের পর থেকেই অনেক টাকা দিয়ে আসছি তার পরেও পাসবিক নির্যাতন করেই আসছে আমার বোনের উপর।

    আমরা খেটে খাওয়া মানুষ আর কত টাকা দেব, এই ঘটনার ১৫  দিন আগে  আমি তাকে ১০ হাজার টাকা দিয়েছি। এভাবে অনেক টাকা দিয়েছি আমার বোনজামাইকে  আমার বোন খুবই অসুস্থ আমি সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করেছি। এবং উপজেলার চেয়ারম্যান  ও বড় বিঘাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কে এ ব্যাপারে জানিয়েছি, তিনি একথা বলে কেঁদে ফেললেন।

    ভুক্তভোগির ভাই বলেন আমার বোনকে অনেক অসুস্থ অবস্থায় পেয়েছি আমি কি বলব আমার বলার কোনো ভাষা নেই  আমার এই ভগ্নিপতিকে বোনের বিয়ের পর থেকেই অনেক টাকা দিয়ে আসছি তার পরেও পাসবিক নির্যাতন করেই আসছে।

    আমরা খেটে খাওয়া মানুষ আর কত টাকা দেব এই ঘটনার ১৫  দিন আগে  আমি ১০ হাজার টাকা দিয়েছি। এ  ভাবে অনেক টাকা দিয়েছি আমার ভগ্নিপতিকে  আমার বোন খুবই অসুস্থ আমি সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করেছি। এবং উপজেলার চেয়ারম্যান  ও বড় বিঘাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কে এ ব্যাপারে জানিয়েছি, তিনি একথা বলে কেঁদে ফেললেন।

    উক্ত ব্যপারে অভিযুক্তকারীর বাবার কাছে বিষয়টি  জানতে  চাইলে  তিনি  বলেন, এধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি, ছেলে ও ছেলের বউ উভয়ই খারাপ। তবে  জানতে পারলাম উপজেলা চেয়ারম্যান এর  নিকট ছেলের বউ নালিশ দিয়েছে চেয়ারম্যান সাহেব  যে সিদ্ধান্ত নেবে আমি তাতে একমত।।

    উক্ত ঘটনার বরাত দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মো, মজনু মোল্লা প্রতিবেদ’কে জানান,এবিষয় মেয়ের পরিবার উপজেলা চেয়ারম্যান এর কাছে অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা ইউনিয়ন পরিষদে  বসেছি আলাপ আলোচনা হয়েছে  এধরনের ন্যাক্কার জনক ঘটনার কোন ছাড় হবেনা।

    তবে বিষয়টি নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান উভয়পক্ষকে নিয়ে শালীশ বৈঠকে বসবেন বলে জানানো হয়েছে। তিনি শিঘ্রই সমাধানে প্রকৃয়াধীন আছে বলে জানান তিনি।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ