• Uncategorized

    নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ঘূর্ণিঝড়ে গাছচাপায় শিশুর মৃত্যু

      প্রতিনিধি ২৫ অক্টোবর ২০২২ , ২:৩৩:১১ প্রিন্ট সংস্করণ

    নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ঘূর্ণিঝড়ে গাছচাপায় শিশুর মৃত্যু

    নোয়াখালীতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে রান্নাঘরের ওপরে গাছ উপড়ে পড়ে সানজিদ আফ্রিদি (১) নামক এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

    সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাতে সুবর্ণচর উপজেলার পূর্ব চরবাটা গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শিশু সানজিদ আফ্রিদির মা সানজিদা খানম (২৫) গুরুতর আহত হন।

    নিহত শিশুর বাবা অ্যাডভোকেট মো. আবদুল্লাহ বলেন, রাত ৮টার দিকে প্রচণ্ড ঝড়ে গাছ উপড়ে রান্নাঘরে থাকা মা-ছেলেকে চাপা দেয়। আহত অবস্থায় দুজনকে ঢাকার নিউরো সায়েন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে শিশু সানজিদকে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। তার মা এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

    এদিকে ঘূর্ণিঝড়ে জেলার দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া, উপকূলীয় সুবর্ণচর, কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট ও সদর এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত ও মাছের ঘের ভেসে গেছে। ঝড়ো বাতাসে প্রায় সাড়ে তিন হাজার হেক্টর জমির আমন ফসল ও ২৫০ হেক্টর জমির উঠতি শাকসবজি পানিতে ডুবে গেছে।

    নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের আঘাতে সুবর্ণচরে বসতঘরের ওপর গাছ পড়ে একটি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে ভেতরে থাকা এক বছরের শিশু মারা গেছে। এছাড়া বিক্ষিপ্তভাবে কিছু ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে।

    জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদ হাসান খান জানান, জেলার প্রায় চার লাখ অধিবাসী দুর্যোগের কবলে পড়েছে। এতে এক হাজার ৩০৩ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরমধ্যে এক হাজার ৩৩টি আংশিক ও ২৭০টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে।

    হাতিয়ায় দুর্গত এলাকার বাসিন্দারা জানান, হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ, তমরদ্দি, নলচিরা, সুখচর, হরণী ও চানন্দি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু গাছপালা উপড়ে পড়েছে। এতে অর্ধশতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ির ক্ষয় ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে উড়ে যাওয়া বসতঘরের টিনের আঘাতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

    এদিকে হাতিয়ার ২৪২টি কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া এক লাখ ৬ হাজার বাসিন্দা তাদের বসতবাড়িতে ফিরে গেছেন। এসব দুর্গত মানুষরা আশ্রয়কেন্দ্রে শুকনা খাবার পাননি বলে অভিযোগ করেছেন।

    তবে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, শুকনা খাবার না পাওয়ার বিষয়টি অসত্য, সবগুলো কেন্দ্রে আমরা শুকনা খাবার পাঠানো নিশ্চিত করেছি। তবে দুর্যোগের কারণে হয়তো কোনো কোনো কেন্দ্রে খাবার দেরিতে পৌঁছেছে। কিন্তু একদম পায়নি এরকম কোনো অভিযোগ এখনো পাইনি।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ