• Uncategorized

    সুজানগরে যুবলীগ নেতার গুলিবর্ষণের আহত-২০

      প্রতিনিধি ৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ৫:০১:৩০ প্রিন্ট সংস্করণ

     

     

     

     

     শেখ রেজাউল করিম রুবেল: 

    পাবনার সুজানগর উপজেলার আমিনপুর থানার গাজনার বিলের মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে যুবলীগ নেতার গুলি বর্ষণে প্রায় ২০জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। রোববার দুপুরের উপজেলার রাণীনগর ইউনিয়নের ভাটিকয়া গ্রামে জলাশয় ও জমির মালিকেরা কাঠা দিয়ে মাছ ধরার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলো।

    এ এমন সময় স্থানীয় রাণীনগর ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি সহ তার সমর্থকেরা ভাটিকয়া গ্রামের একজন মাছ ধরা জেলেকে আটকে রেখে মারপিট করে। এমন খবরের ভিত্তিতে স্থানীয় গ্রামবাসিরা তাদের উদ্ধার জন্য গেলে স্থানীয় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শাহিনুর রহমান শাহিন তার দুই ভাই সাইদুর ও শরিফুল তাদের সমর্থকদের নিয়ে গ্রামবাসীর উপর হামলা চালিয়ে গুলি বর্ষন করে।

    এই ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীন গ্রুপের প্রায় ২০ জন সমর্থক গুলিবিদ্ধ হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে।

    হাসপাতালে তালিকা ভুক্ত ১৮জনের শরীরের গুলি বিদ্ধ অবস্থায় ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ৬জন গুরুত্ব আহত হয়েছে। আর বাকীরা প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

    ঘটনায় গুরুত্বর আহতরা হলেন, রাণীনগর ইউনিয়নের ভাটিকয়া গ্রামের শাকির সরদার, সেলিম সরদার, রাজীব খান, উজ্জ্বল বিশ্বাস, জহির বিশ্বাস ও রাকিব মোল্লা। এরা প্রত্যেকেই পাবনা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। তাদের সকলে বাড়ি একই গ্রামে। এই ঘটনায় ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ঘটনা স্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এই ঘটনায় তদন্তসহ মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

    তবে এই ঘটনায় আহত গুলিবিদ্ধ গ্রামবাসীরা জানান সুজানগর উপজেলার আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আব্দুল ওহাবের সমর্থকেরা এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত ও তার ইন্ধনেই এই ঘটনা ঘটেছে, যুবলীগের সভাপতি শাহিনুর রহমান শাহিন এলাকার মাদক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। হামলাকারীদের অতিদ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এই ঘটনায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীন তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

    পাবনা জেলারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহেদী হাসান রুমী বলেন, রোববার দুপরের পরে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কিছু রোগী ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে ছয় জনের অবস্থা বেশ গুরুত্বর। আমরা মোট ১৮ জনের শরীর থেকে বন্দুকের গুলি বের করেছি। বর্তমানে সকলেই ভালো আছে।

    ঘটনার বিষয়ে আমিনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মের হক বলেন, স্থানীয় দুইপক্ষের মধ্যে জলাশয়ের মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা হয়েছে। একপক্ষ অপর পক্ষের উপর গুলি চালিয়েছে। এই বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে মামলা হবে। তবে আহত পক্ষের কেউ এখনো অভিযোগ নিয়ে আসেনি। ঘটনা স্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ