• আইন ও আদালত

    নোয়াখালীতে এমপি কিরণের বিরুদ্ধে মন্দির কমিটির মামলা

      প্রতিনিধি ২০ মার্চ ২০২৪ , ১০:১৭:০১ প্রিন্ট সংস্করণ

    জুনায়েদ কামাল-স্টাফ রিপোর্টার:

    নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী শ্রী শ্রী রাধা মাধব জিউর আখড়া (চৌমুহনী দেবালয়) পরিচালনা কমিটির অনুমোদন দেওয়ায় স্থানীয় সাংসদ মামুনুর রশিদ কিরণের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।

    মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বেগমগঞ্জ সিনিয়র জজ আদালতে মন্দিরের পক্ষে তপন চন্দ্র মজুমদার ও গণেশ চন্দ্র কূরী এ মামলা করেন। মামলার বাদী তপন চন্দ্র মজুমদার জানান, চৌমুহনী শ্রী শ্রী রাধা মাধব জিউর আখড়া তথা চৌমুহনী দেবালয় এর নিজস্ব গঠনতন্ত্র রয়েছে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যুগ যুগ ধরে মন্দির পরিচালায় কমিটি হয়েছে। হিন্দু কমিউনিটির লোকজন মূলত এ কমিটি নির্বাচন করেন। তারই ধারাবাহিকতায় মন্দির পরিচালনায় ২০২২ সালের ১৪ মে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট মন্দির পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়।

    ওই কমিটি ৪ বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালের ১৪ মে পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করার কথা। সে অনুযায়ী প্রায় দুই বছরের কাছাকাছি মন্দির পরিচালনাও করে আসছে। কিন্তু হঠাৎ করে মন্দিরের গঠনতন্ত্র বহির্ভুতভাবে নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরন নতুন করে কমিটি গঠনের জন্য ১৪ মার্চ স্বাক্ষরিত তার নিজস্ব প্যাডে ৫জনের নাম উল্লেখ করে তাদেরকে দায়িত্ব দেয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত ওই ৫জন মাত্র এক দিনের মাথায় ১৫ মার্চ একটি ৫১জন বিশিস্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে তা সাংসদ মামুনুর রশিদ কিরনের সামনে উপস্থাপন করলে তিনি ১৬ মার্চ নিজে স্বাক্ষর দিয়ে ওই কমিটির অনুমোদন দেন। যা মন্দিরের গঠনতন্ত্রের বহির্ভুত।

    মামলার অপর বাদী গণেশ চন্দ্র কূরী বলেন, সংসদ সদস্য মন্দির কমিটি গঠন বা গঠনের লক্ষ্যে তার নিজ প্যাডে স্বাক্ষর দিয়ে কাউকে কোনো দায়িত্ব দিতে পারেন না। শতবর্ষী এ মন্দিরে এর আগে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। বর্তমানে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মন্দির কমিটি নিয়ে তা হিন্দু কমিউনিটির জন্য কোনোভাবেই মঙ্গলজনক নয়। এতে করে মারামারির অবস্থাও তৈরি হতে পারে। যার কারণে বাধ্য হয়ে তারা আদালতের দ্বারস্ত হয়েছেন। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে সাংসদ মামুনুর রশিদ কিরনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

    বিবাদী ধীমান সাহা জানান, ১৪ মে ২০২২ সালে যে কমিটির বাদীদ্বয় তপন চন্দ্র মজুমদার সহ – সভাপতি এবং গনেশ কুরী সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন বলে দাবী করেন সেই কমিটি ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাহারো দ্বারা নির্বাচিত হন নাই। তখন উনারা গঠনতন্ত্র মোতাবেক গঠিত চলমান কমিটিকে হয়রানী ও নির্যাতিত করে মন্দির দখল করে রাখে তখন এবং বর্তমান সাংসদ থেকে আপদকালীন একটা কমিটি স্বাক্ষর করে এনে পেশী শক্তি জোরে মন্দির দখল করে রাখে। অথচ বর্তমান সাক্ষরিত ঐ চিঠিতে স্পষ্ট উল্লেখ ছিল এই কমিটি আপদকালীন এবং আগামী ছয় মাসের মধ্যে গঠনতন্ত্র মোতাবেক নতুন কমিটি গঠন করতে হবে। অথচ তারা তা না করে মন্দির দখল করে বসে আছে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ