• আইন ও আদালত

    নিখোঁজ জিডির ভিত্তিতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভিকটিম উদ্ধার করে এসআই সৈকত

      প্রতিনিধি ১৯ এপ্রিল ২০২২ , ১০:১০:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    বিশেষ প্রতিনিধি:

    এক ব্যক্তি গত ১৭-০৪-২০২২ তারিখ রোজ রবিবার ভাটারা থানাধীন তার মেয়ের নিখোঁজ ডায়েরি দায়ের করেন। নিখোঁজ ডায়েরি নাম্বার ১২০৩। তিনি অভিযোগ করেন তার মেয়েকে রবিবার বিকাল ৪ ঘটিকা হতে ভাটারা থানা দিন এলাকা হতে পাওয়া যাচ্ছে না। অভিযোগ দায়ের করার সাথে সাথে থানার অফিসার ইনচার্জ এসআই সৈকত কে জিডি তদন্তের দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। এসআই সৈকত মেয়ের বাবা কে আশ্বস্ত করেন আমি খুব দ্রুত আপনার মেয়েকে উদ্ধার করার চেষ্টা করছি।

    এসআই সৈকত সাথে সাথে তার কার্যক্রম শুরু করেন। তথ্য প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে তিনি মেয়েটির বর্তমান অবস্থা নিশ্চিত করেন। প্রাথমিক অবস্থায় তিনি জানতে পারেন কাঠালবাড়ি ফেরিঘাট এলাকায় মেয়েটি অবস্থান করছেন। তার সাথে তিনি আরও কিছু তথ্য একত্রিত করেন। বেশ কিছু তথ্য পাওয়ায় সাথে সাথে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিত করেন।

    ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে তিনি তার ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং ভিকটিমকে উদ্ধার করে।১৯-০৪-২০২২ তারিখ রোজ মঙ্গলবার রাত আনুমানিক সাড়ে এগারোটার দিকে তিনি ভিকটিমকে নিয়ে থানায় উপস্থিত হন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ভিকটিমকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন।

    এসআই সৈকত সাংবাদিকদের বলেন– আমার লক্ষ্য একটাই ছিল আমি ভিকটিমকে উদ্ধার করবোই। আমি জিডি কপি হাতে পাওয়ার সাথে সাথে কার্যক্রম শুরু করি এবং একটানা ২৪ ঘন্টা পরিশ্রম এর পর আমি ভিকটিমকে উদ্ধার করতে সক্ষম হই। তিনি তার ফোর্স ও এই কাজে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রত্যেকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

    তিনি আরো বলেন আমার এই কাজ করার পেছনে আমার মা সাহস যোগান সবচেয়ে বেশি। আমি যখন এই কাজে বের হই হঠাৎ ঘড়ির কাটায় ইফতার অ্যালার্ম বাজে। সাথে সাথে মা’য়ের কল আমার ফোনে বেজে ওঠে। মা বলে বাবা ইফতার খেতে বাসায় আসবা না ? আমি বললাম মা ভিকটিম উদ্ধার করতে এসেছি। মা বললো ভিকটিম উদ্ধার করে ভালো ভাবে ফিরে আসো এবং সুযোগ করে ইফতার করে নিও।

    তিনি আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং শুকরিয়া আদায় করেন “আলহামদুলিল্লাহ” জয় বাংলাদেশ পুলিশ

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ