• আমার দেশ

    নবজাতকের লাশে প্রাণের স্পন্দন

      প্রতিনিধি ১০ অক্টোবর ২০২২ , ১:০৮:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    আহমাদুল্লাহ হাবিবী-স্টাফ রিপোর্টারঃ

    কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার একটি ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশনের পর সদ্য ভুমিষ্ট নবজাতকের নাক-মুখসহ সারা দেহ কাপড়াচ্ছাদিত করে অতঃপর ওষুধের ঢোপ/প্যাকেটে ভরে প্রসূতির বাড়িতে পাঠানোর পর দেখা গেল নবজাতক শিশুটি নড়াচড়া করছে এবং প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট অনুভব করছে। মুমূর্ষু নবজাতকের স্বজনেরা তৎক্ষনাৎ তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়ার সময় পথিমধ্যে শিশুটির মৃত্যু ঘটে যায়। এমনটাই অভিযোগ দৌলতপুর উপজেলার রিফায়েতপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত বিন্দি গ্রামের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী গ্রামবাসীগন।

    জানা গেছে, গত:০৮/১০/২২ইং, শনিবার উক্ত গ্রামের রানা আহমেদ ওরফে রাঙার অন্তঃসত্তা স্ত্রী মোছাঃ জাহেরা খাতুনের প্রসব বেদনা উঠলে তাকে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। রোববার সকালে হাসপাতাল সংলগ্ন একটি ক্লিনিকে ভর্তি হয়ে সকাল ০৯.০০ টার দিকে ডাঃ সফর আলীর তত্বাবধানে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে কন্যা শিশু ভুুমিষ্ট হয়। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ এবং চিকিৎসকেরা বলছেন বাচ্চা পেটের ভিতরেই মৃত ছিল। এদিকে অপারেশনের পূর্বে তাৎক্ষণিক কোন আল্ট্রাসনোগ্রাম করা হয় নাই। অপারেশনে সপ্তাহকাল পূর্বের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই অস্ত্রচপচার করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন খোদ ক্লিনিক মালিক।

    অভিযোগ উঠেছে নবজাতক সন্তানকে প্যাকেটে মুড়িয়ে অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।ক্লিনিকের লোকজন শিশুটিকে পুঁতে ফেলার পরামর্শ দেন। বাড়িতে আসার পর কাপড় খুলে ধৌত করার পূর্বে দেখা যায় শিশুটি বেঁচে আছে এবং কান্না করছে। নবজাতককে এলাকাবাসী কর্তৃক রিফায়েতপুর ইউনিয়নের বাজারের পল্লী চিকিৎসক টুটুল আলীর কাছে আনা হলে সে দ্রুুত দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যেতে বললে সেখানে নিয়ে যাওয়ার সময় বাচ্চাটির মৃত্যু ঘটে যায়। মৃত নবজাতকের মা জাহেরা খাতুন এখনো অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে।

    ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যু ঘটেছে মর্মে জেলার সিভিল সার্জন বরাবরে অভিযোগ দাখিলের প্রস্তুতি চলছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা সংবাদ মাধ্যমের কাছে বলেন, নবজাতকটি প্রসূতির পেটের মধ্যেই মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। এব্যাপারে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মজিবুর রহমান এর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আলহাজ্ব নামক একটি ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুর খবর আমাকে অবহিত করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তারা সিভিল সার্জন বরাবরে অভিযোগ দেবে বলে জানতে পেরেছি।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ