প্রতিনিধি ৬ মে ২০২১ , ১১:৩৭:৫৭ প্রিন্ট সংস্করণ
শাকিল হোসেন-স্টাফ রিপোর্টার:
নওগাঁয় মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যেই গলাকেটে কৃষককে হত্যার রহস্য উন্মোচন করাসহ হত্যাকান্ডে জড়িত একজনকে আটক করেছে পুলিশ।গলা কেটে হত্যা কাণ্ডে জড়িত যুবক পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর অপরাধ শিকার করে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।নওগাঁ সদর মডেল থানাধীন (হাসাইগাড়ী বিল) নামা হাতাস গ্রামের অরুন সাহানা (৫৪) কৃষি কাজ ও মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন। গত ১মে রাতের খাওয়া দাওয়া শেষে অনুমান রাত ৯ টার সময় বাড়ির পাশে খলিয়ানে থাকা ধান পাহারা দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যায়। পরদিন সকালে অরুণ সাহানার স্ত্রী ধান খলিয়ানে গিয়ে তার স্বামীর গলাকাটা রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখতে পান।
পরবর্তীতে, নিহতের স্ত্রী নওগাঁ সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করলে থানায় অজ্ঞাত আসামির নামে হত্যা মামলা রুজু হয়। মামলা রুজুর মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যেই নওগাঁ জেলার সুযোগ্য জেলা পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া বিপিএম মহোদয় এর নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) জনাব মোঃ রকিবুল আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) জনাব মোঃ এ কে এম মামুন চিশতী, জনাব আবু সাঈদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর সার্কেল, নওগাঁ, জনাব মোঃ নজরুল ইসলাম জুয়েল, অফিসার ইনচার্জ, মামলা তদন্তকারী অফিসার পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) জনাব মোঃ মাহবুব আলম, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জনাব মুঃ ফয়সাল বিন আহসান, এসআই (নিঃ) মোঃ নাজমুল জান্নাত শাহ, এসআই মোঃ জামাল উদ্দিন সহ অন্যান্য অফিসার ও ফোর্সের সহায়তায় তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে এবং বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে নয়ন (১৭) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয় এবং হত্যা কান্ডে ব্যবহৃত একটি কোদাল আলামত হিসাবে জব্দ করা হয়।
জেলা পুলিশ সুপারের অফিস সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত নয়নকে বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে এবং সে স্বেচ্ছায় কাঃবিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। তার জবানবন্দি হতে জানা যায় যে, ভিকটিম অরুন সাহানা তার আপন মামা। তার মামা তাকে কিছুদিন পূর্বেই মারধর ও ধান মাড়াইয়ের কাজে বাঁধা দেওয়ার সে তার মামার উপর ক্ষিপ্ত ছিল এবং সেদিন রাতে সুযোগ পেয়ে প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে উঠে এবং ভিকটিম অরুন সাহানাকে ধানে খলিয়ানে ঘুমন্ত অবস্থায় কোদাল দিয়া গলা কেটে হত্যা করেন।