• শিক্ষা

    দ্বাড়িয়াপুর উচ্চ বিদ্যালয় যেন অনিয়মের কারখানা,কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি চায় স্থানীয়রা

      প্রতিনিধি ৫ অক্টোবর ২০২২ , ৯:৫০:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    আলমগীর হুসাইন অর্থঃ

    অনিয়মের নানাবিধ অভিযোগ উঠেছে দ্বাড়িয়াপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ পাওয়া যায় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শরিফুল ইসলাম রতন ও প্রধান শিক্ষক শাহ- নেওয়াজ মিন্টুর মধ্যে সমন্বয়হীনতার। দ্বাড়িয়াপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্র নাবিল আজগার সামির পিতা নুরুল ইসলাম এর অভিযোগ, কোন কারন ছাড়াই শুধুমাত্র আগামী অভিভাবক সদস্য নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছে পোষণ করায় তার সন্তান নাবিল আজগার সামি’ র ছাত্রত্ব বাতিল করে বিদ্যালয় কতৃপক্ষ।

    যার পরিপ্রেক্ষিতে সরেজমিন পরিদর্শনে গেলে প্রধান শিক্ষক শাহ- নেওয়াজ মিন্টু বলেন, ২১ মাস পূর্বে সমস্ত নিয়ম মেনে বিদ্যালয়ে ভর্তি হয় সামি। কিন্তু কয়েকদিন পুর্বে ম্যানেজিং কমিটির সভায় এডহক কমিটির অভিভাবক সদস্য আঃ রাজ্জাক দাবি করেন বিদ্যালয়ে নাবিল আজগার সামির কোন কাগজপত্রাদি নেই। যার প্রেক্ষিতে কমিটির সভাপতি ০৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। তাদের প্রতিবেদনের উপর নির্ভর করে আমি বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থাকায় সভাপতির নির্দেশে ঐ ছাত্রের ছাত্রত্ব বাতিল করে স্ব-স্বাক্ষরিত একটি নোটিশ টানায় অবিভাবক সদস্য আঃ রাজ্জাক।

    আমি এ বিষয়ে কিছুই জানিনা। তবে বিদ্যালয় থেকে কাগজপত্রাদি গায়েব হওয়ার কোন ব্যাখ্যা দিতে পারে নি প্রধান শিক্ষক। উল্লেখ্য স্থানীয়দের দাবির মুখে পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে ঐ ছাত্রের ছাত্রত্ব ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিদ্যালয় কতৃপক্ষ।এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির অভিভাবক সদস্য আঃ রাজ্জাক বলেন,সভায় আমি কাবারিকোলা গ্রামের একজন অবিভাবক বাবুর দেওয়া তথ্য তুলে ধরেছি মাত্র। এরপর থেকে যা হয়েছে সভাপতির নির্দেশনা অনুযায়ী হয়েছে। তবে বিদ্যালয়ের নির্বাহী কোন কাগজে তার স্বাক্ষর করা বৈধ কিনা এর কোন জবাব তিনি দিতে পারেন নি।

    অবৈধ ভাবে ছাত্রত্ব বাতিল সহ প্রধান শিক্ষকের নামে সেচ্ছাচারিতা, সভাপতির সাথে সমন্বয় হীনতা, অন্য প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ভর্তি করা, বাড়ীতে বেতন নেওয়া সহ একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে দ্বাড়িয়াপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রধান শিক্ষক আর্থিক অনিয়ম সহ নানাবিধ অনিয়মের সাথে জড়িত। যার কারনে আমি সভাপতি থাকা অবস্থায় তাকে ২ বার শোকচ করেছিলাম। এখন তিনি সামনের নির্বাচনে নিজের মনমত সভাপতি নির্বাচিত করার উদ্দেশ্য বিভিন্ন নাটক মঞ্চায়িত করছেন।

    এদিকে বিদ্যালয়ের অনিয়মের প্রতিবাদ করায় আজিজুল কায়সার নামের একজন অবিভাবক কে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিজের নিরাপত্তাহীনতার কারনে ইতিমধ্যেই তিনি আমিনপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।স্থানীয় দের দাবি অনিয়ম ও দুর্নীতি মুক্ত একটি স্বচ্ছ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেজন্য তারা উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ