• Uncategorized

    তৃতীয়বার অর্থ আত্মসাৎ করতে গিয়ে ধরা খেলেন মাদ্রাসার সুপার শারফুদ্দিন

      প্রতিনিধি ৯ নভেম্বর ২০২৩ , ৬:৪৪:০৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    আঃ কাদের কারিমী-বরিশাল জেলা প্রতিনিধি –

    বরিশালের হিজলা উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের ছয়গাও বহুমুখী মাদ্রাসার সভাপতি জানান,অত্র মাদ্রাসার সুপার মাওলানা শারফুদ্দিনের বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতি অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ পাওয়া গেছে, যা বরিশাল জেলা প্রশাসক এর বরাবর অভিযোগ দায়ের করার সাথে সাথে হিজলা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অভিহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

    অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে ওই মাদ্রাসার সভাপতি মোঃ এনায়েত হোসেন সিকদার বলেন বিগত ৩,১০,২০০৭, ইং তারিখে দৈনিক শাহানামা ও বিগত ২৯,০৫,২০১২, ইং দৈনিক ভোরের অঙ্গীকার পত্রিকায় তার বিরুদ্ধে সাত লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছিল, তা স্বার্থন্বেষী লোকের প্রভাবে মাত্র বিশ হাজার টাকা মাদ্রাসার ফান্ডে জমা দিয়ে রেহাই পেয়ে যায়।

    এরপরও তার কর্মকান্ড হতে এক চুল ও দমেনি, বরং আরো আগ্রাসী ভূমিকা গ্রহণ করে বিগত ২০১৭, ইং সালে মাদ্রাসার দুই কর্মচারী নিয়োগ কে কেন্দ্র করে প্রায় আট লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।

    অন্যদিকে মাদ্রাসার পুর্ব ভিটায় ৭০’/৩০’ একটি টিনের টিনশেড ভবন ছিল যার মূল্য প্রায় তিন লক্ষ টাকা সেই ভবনটি ভাঙতে ১১৫০০ টাকা মাদ্রাসার ফান্ড থেকে খরচ করেছেন কিন্তু মাদ্রাসার কোন শিক্ষক ও কমিটিকে ক্রয় বিক্রয়ের বিষয়ে না জানিয়ে মাত্র ৬৪০০ টাকা মাদ্রাসার ফান্ডে জমা করেন।

    সর্বশেষ কাশীপুর অগ্রণী ব্যাংক শাখায় মাদ্রাসার অ্যাকাউন্ট হতে বিগত ০৫,০৪,২০১৬, ইং তারিখে চেক নং ১৪২১১৮৪.১৪২১১৮৫, এর মাধ্যমে ৭৪৮৯২ টাকা ও ০১,০৬,২০১৭, ইং তারিখে চেক নং ১৪২১৮৮, এর মাধ্যমে ৩১৮৯১ টাকা এবং ১৬,১০,২০২১ ইং তারিখে চেক নং ২৯২২৮৪২ এর মাধ্যমে ৫৪০০০ টাকা মিলে উপবৃত্তি ও টিউশন ফি মোট ১৬০৭৮৩ টাকা আত্মসাৎ করেন,যা ১৬,১০,২৩ ইং তারিখে ব্যাংক স্টেটমেন্টে ও মাদ্রাসার আয় ব্যয়ের হিসাব নিরীক্ষার মাধ্যমে সুপার কর্তৃক লিখিত স্বীকার পত্রে নিজেই আত্মসাৎ এর কথা স্বীকার করেছেন।

    ২০১৬ সালের আগে উপবৃত্ত ও টিউশন ফি রূপালী ব্যাংক এর বাজার রোড শাখার বরিশাল একাউন্ট নং দিচ্ছে না ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও দিচ্ছে না, ওখানে মাদ্রাসার সংশ্লিষ্টদের ধারণা আরো কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে।

    তাছাড়া সুপার নিজে মাদ্রাসার মধ্যে দলাদলি ও হিংসা ও বিধি বহির্ভূত কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন, যার ফলে শিক্ষক কমিটি ও অভিভাবক মহলে মাদ্রাসার মান ক্ষুন্ন হচ্ছে এবং মাদ্রাসার শিক্ষার ধারা ব্যাহত হচ্ছে।

    এ ছাড়া সুপার এর নিজের নিয়োগও অবৈধ ভাবে হয়েছে বলে জানা যায়। সুপারকে তার নিজের নিয়োগের বিষয়ে প্রশ্ন করলে সুপার এড়িয়ে যায়। অন্যদিকে এলাকাবাসীকে সুপারের নিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে তার সত্যতা পাওয়া যায়।

    প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি আরো বলেন একে একে কয়েকবার দুর্নীতির দায় ধরা পরেছে মাদ্রাসার সুপার মাওলানা শারফুদ্দিন তার নামে পত্রিকায় দুর্নীতির নিউজ হওয়ার পরেও কোন ফল হয়নি ভবিষ্যতে হবে কিনা তা নিয়ে আমাদের সন্দেহ হয়।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ