• রাজশাহী বিভাগ

    তানোরে ৩২ বছরের রাজনীতিতে আ’লীগের সম্পাদক ‘প্রদীপ সরকার’!

      প্রতিনিধি ২৫ জুলাই ২০২২ , ৭:১০:৪৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    রাজশাহীর তানোরে ৩২ বছর ধরে আ’লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত আবুল কালাম আজাদ প্রদীপ সরকার। তাঁর এতো বছরের রাজনৈতিক জীবনের মুল্যায়ন স্বরুপ তাঁকে দেয়া হয়েছে তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ। সম্প্রতি ২০২২ সালের ১৫ জুলাই সম্মেলনের মাধ্যমে এমন রাজনৈতিক পদ পেয়ে তিনি তাঁর জীবনে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন।

    এমনটি জানিয়েছেন তাঁর অনুসারী নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। ফলে বেশ কয়েক দিন ধরে তানোর আ’লীগের পার্টি অফিসে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী তাকে সংবর্ধণা দিয়ে যাচ্ছেন। এতে সবার মাঝে বইছে আনন্দ উৎসাহ আর উদ্দীপনা। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি গেলো ১৫ জুলাই তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এ.এইচ.এম খাইরুজ্জামান লিটন সাধারণ সম্পাদক পদে প্রদীপ সরকারকে ঘোষণা দেন।

    এমন রাজনীতিক নেতার জন্ম হয় তানোর পৌর সদরের গোল্লাপাড়া মহল্লায়। তিনি জন্ম সূত্রে আ’লীগ পরিবারের সন্তান। এসুযোগে আ’লীগের মনোনয়নে দু’বার পৌর মেয়র পদে নির্বাচন করেছেন। প্রদীপ সরকারের বাবার নাম মৃত এমাজ উদ্দিন সরকার। রাজনীতির পাশাপাশি বর্তমানে তিনি তানোর সরকারি আব্দুল করিম সরকার ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক।

    তিনি ছাত্রজীবনে তানোর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৮৮ সালে এসএসসি পাশ করে ১৯৯০ সালে তানোর সরকারি আব্দুল করিম সরকার ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচএসসিতে উর্ত্তীণ হন। পরে ১৯৯৪ সালে রাজশাহী কলেজে অনার্স শেষে ১৯৯৬ সালে মাস্টার্স পাশ করেন তিনি। শৈশবে পিতা-মাতা হারিয়ে চাকুরি জীবি শিক্ষিত বোনদের সংসারে একমাত্র ভাই হিসেবে বেড়ে উঠেন প্রদীপ সরকার। তাঁর মৃত মাতার নাম সাজেদা বেওয়া।

    তাঁর অনুসারী নেতাকর্মীরা জানান, কলেজজীবন থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত প্রদীপ সরকার। ১৯৮৯ সালে তৎকালিন সময়ের উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মরহুম শাফিউল ইসলামের আদর্শে তাঁর হাত ধরে তানোর কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। পরে ১৯৯০ সালে এরশাদ সরকার পতন আন্দোলনে অংশ নেন। এছাড়াও ছাত্রজীবনে তানোর বাজারে বিভিন্ন মিছিল মিটিংয়ে সক্রিয় ভূমিকায় ছিলেন তিনি।

    সেই সুবাদে ১৯৯৩ সালে তানোর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদে নির্বাচিত হন প্রদীপ সরকার। পরে ১৯৯৭ সালে তানোর পৌর যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। নেতাকর্মীর সমর্থনে রাজনীতিতে এভাবে শক্ত অবস্থান তৈরি হওয়ায় ২০০১ সালে তানোর পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন তিনি। পরে ২০১৩ সালে তানোর পৌর আ’লীগের সম্মেলনেও সাধারণ সম্পাদক হন। পরপর দুবার এ পদে থাকা অবস্থায় চলতি বছরের ২০২২ সালের ১৫ জুলাই তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রদীপ সরকারকে ঘোষণা দেয়া হয়।

    প্রদীপ সরকার বলেন, তিনি ৩২ বছর ধরে আ’লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। ত্যাগী নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উপজেলা আ’লীগের বিভিন্ন পদে নিয়ে আসতে হবে। তাদের মুল্যায়নে আগামী প্রজন্মে দল শক্তিশালী হবে। তিনি আরও বলেন, যখন আ’লীগ ক্ষমতায় ছিলো না, তখন তাঁর অনুসারী নেতাকর্মীদের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে তানোরে জামায়াত-বিএনপি ঠেকাও আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে উঠে। এতে দলের পেছনে বিপুল পরিমান নিজস্ব অর্থ ব্যয়ে নেতাকর্মী ও সমর্থক ছাড়াও সবাইকে সাহস জুগিয়েছেন। এজন্য স্থানীয় এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী নেতৃত্বে তার সভাপতিকে সঙ্গে নিয়ে উপর মহলের নীতি নির্ধারকের নিকট গ্রাহণযোগ্য তানোর উপজেলা আ’লীগের পুর্ণাঙ্গ কমিটি উপহার দেবেন। এছাড়াও আগামীতে এউপজেলায় আ’লীগের সর্বচ্চো পদে নেতাকর্মীরা নিয়ে পারে বলেও আশাবাদীী সবার প্রিয় প্রদীপ সরকার।

    ওই সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও রাজশাহী-১ আসনের এমপি এবং সাবেক শিল্পপ্রতিমন্ত্রী ওমর ফারুক চৌধুরী। এছাড়াও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া বেগম ও রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল প্রমুখ।

    ওই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী জেলা যুবলীগের সভাপতি আবু সালেহ ও তানোর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান যুবলীগের সংগ্রামী সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না প্রমুখ।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ