• কৃষি

    তানোরে সার সংকট কৃষকরা দিশেহারা!

      প্রতিনিধি ১০ মার্চ ২০২২ , ৩:০৯:১৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    মমিনুল ইসলাম মুন-বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধিঃ

    রাজশাহীর তানোরের বিভিন্ন হাট-বাজার থেকে হঠাৎ উধাও ট্রিপল সুপার ফসফেট (টিএসপি) এবং মিউরেট অব পটাশ (এমওপি) সার। অধিকাংশক্ষেত্রে দোকানগুলোতে সামান্য যেটুকু পাওয়া যাচ্ছে, তা বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। এতে বোরো ধান ও আমচাষিরা সারের সংকটে দিশেহারা। তবে কৃষি বিভাগ বলছে সারের কোনো সংকট নেই। আবার কৃষকের অভিযোগ, তাঁদের কাছ থেকে সারের দাম বেশি নেওয়া হলেও ডিলাররা কোনো রসিদ দিচ্ছেন না। কেউ কেউ রসিদ দিলেও তাতে সরকারনির্ধারিত দাম দেখাচ্ছেন।

    প্রতিবাদ করলে সার বিক্রি করবেন না বলে জানিয়ে দিচ্ছেন। এতে ডিলারদের কাছে একরকম জিম্মি হয়ে পড়েছেন তাঁরা। তবে এ বিষয়ে ডিলারদের দাবি, চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম পাওয়ার কারণে বাজারে সারের কিছুটা সংকট তৈরি হয়েছে। তবে সরকারনির্ধারিত দামেই সার বিক্রি করছেন তাঁরা।
    এদিকে খরিফ-১, খরিফ-২ ও রবি—এই তিন মৌসুমে উপজেলায় মোট আবাদি জমির পরিমাণ কতো, এসব জমি আবাদ করতে টিএসপি, এমওপি, ডিএপি এবং ইউরিয়া সারের প্রয়োজন কতো এবং উপজেলায় বরাদ্দের পরিমাণ কতো ইত্যাদির সুনিদ্রিষ্ট তথ্য জানাতে পারেনি কৃষিবিভাগ।

    তবে সারের চাহিদা অনুযায়ী পরিমাণ মতো বরাদ্দ রয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগ। কৃষি বিভাগ আরও জানায়, বরাদ্দ করা সার বিসিআইসি এবং বিএডিসি জন ডিলারদের মাধ্যমে উপজেলার কৃষকদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। সরকার প্রতি বস্তা (৫০ কেজির বস্তা) টিএসপি সারের খুচরা মূল্য ১ হাজার ১০০ টাকা (২২ টাকা প্রতি কেজি) ও পটাশ প্রতি বস্তা ৭৫০ টাকা (১৫ টাকা কেজি) নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু আজ বৃহস্পতিবার শিবরামপুর গ্রামের কৃষক মমিনুল খুচরা দোকানে ৭৫০ টাকার পটাশ সার অতিরিক্ত টাকা অর্থাৎ ৫০ কেজি (এক বস্তা) ১১০০ টাকা দিয়ে কিনতে হয়েছে।

    জানা যায়, রবি মৌসুমে উপজেলায় বোরো ধান, গম, আলু, ভুট্টা, মসুর, পেঁয়াজ ও রসুনের আবাদ হয়। এ ছাড়া উপজেলায় অসংখ্য আমবাগান রয়েছে। এসব ফসল উৎপাদন করতে জমিতে টিএসপি ও পটাশ সার ব্যবহার করে কৃষকেরা। তানোর পৌর এলাকার গোল্লাপাড়া মহল্লার আজগর আলীর পুত্র রায়হান আলী (২০) বলেন, গত রোববার মেসার্স প্রাইম ট্রেডার্স এক ট্রাক টিএসপি সার এনেছেন, তিনি তিনদিন ধরে ধর্ণা দিয়েও একছটাক সার পাননি। অথচ বেশী দামে খোলাবাজারে সার মিলছে, যদি সঙ্কট থাকে তাহলে তারা সার কোথায় পাচ্ছে।

    তিনি বলেন, ডিলাররা অধিক মুনাফা করতে সার কালোবাজারি করছে তাদের ক্যাশ মেমো পরীক্ষা করলে সত্যতা মিলবে। এ বিষয়ে উপজেলা বিসিআইসি সারের ডিলার সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আলী বাবু বলেন, কৃষকদের অভিযোগ সঠিক নয়, আসলে ‘টিএসপি ও পটাশ সারের চাহিদা বেশি। অনেক সময় পটাশ আমাদের কাছেও থাকছে না। সার সরবরাহ থাকলে সরকার নির্ধারিত দামেই বিক্রি করা হচ্ছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা বেশি দামে বিক্রি করছে কি না জানা নেই। এ বিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মুঠোফোনে কল গ্রহণ না করায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামিমুল ইসলামের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ