• রাজশাহী বিভাগ

    তানোরে বুদ্ধি জীবি দিবসে মোমবাতি প্রজলন

      প্রতিনিধি ১৪ ডিসেম্বর ২০২১ , ৩:০২:৩৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    মমিনুল ইসলাম মুন-বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি:

    তানোর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা চত্তরে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে, তানোর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ও শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজলন এবং বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও করা হয়।আজ ১৪ ডিসেম্বর সন্ধায় তানোর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পঙ্কজ চন্দ্র দেবনাথ এর সভাপতিত্বে, সাংসদ প্রতিনিধি, তানোর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না, উপজেলা চত্তরে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে ও শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজলন এবং বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

    এসময় তিনি বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতিচারণ করেন এবং বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল শহীদ বুদ্ধিজীবীর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন;১৯৭১ এ পাকিস্তান সেনাবাহিনী কর্তৃক বুদ্ধিজীবী নিধন, বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড বলতে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ ৯ মাস পাকিস্তানি হানাদারবাহিনী কর্তৃক পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের জ্ঞানী-গুণী ও মুক্তবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষদের হত্যা করাকে বুঝায়।

    ১৯৭১ এর ডিসেম্বর মাসে স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে এসে পাকিস্তানের পাকহানাদার বাহিনী যখন বুঝতে শুরু করে যে তাদের পক্ষে যুদ্ধে জয় সম্ভব না, তখন তারা নবগঠিত দেশকে সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও শিক্ষাগত দিক থেকে দুর্বল এবং পঙ্গু করে দেয়ার জন্য পরিকল্পনা করতে থাকে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৪ ডিসেম্বর রাতে পাকিস্তানি বাহিনী তাদের দেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর ও আল শামস বাহিনীর সহায়তায় দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নিজ নিজ গৃহ হতে তুলে এনে নির্মম নির্যাতনের পর হত্যা করে। এই পরিকল্পিত গণহত্যাটি বাংলাদেশের ইতিহাসে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড নামে পরিচিত।

    বন্দী অবস্থায় বুদ্ধিজীবীদের বিভিন্ন বধ্যভূমিতে হত্যা করা হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তাদের ক্ষত-বিক্ষত ও বিকৃত লাশ রায়েরবাজার এবং মিরপুর বধ্যভূমিতে পাওয়া যায়। অনেকের লাশ শনাক্তও করা যায়নি, পাওয়াও যায়নি বহু লাশ। ১৯৭১ এর ১৪ ডিসেম্বরের নির্মম হত্যাকাণ্ডের কথা স্মরণ করে প্রতিবছর ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশে পালিত হয় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। বুদ্ধিজীবী হত্যার স্মরণে বাংলাদেশের ঢাকায় বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ ডাকবিভাগ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে একটি স্মারক ডাকটিকিটের সিরিজ বের করেছে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ