ঘূর্ণিঝড় “ইয়াসের” মুখে বাঁশখালীর হাজারো মানুষ।

সারা দেশের মানুষ যেখানে করোনা ভাইরাসে আতঙ্কিত তার ভিতরে বাংলাদেশর উপকূল অঞ্চলে আগাত হানলো ঘূর্ণিঝড় “ইয়াস। বঙ্গোপসাগরের জোয়ারের পানি ও অবিরাম বৃষ্টিতে বাঁশখালীর ৩ নং খানখানাবাদ ইউনিয়নেনন অনেক জায়গায় বাঁধ ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। অনেক রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে,এতে সাধারণ মানুষের চলাচলে ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে।সে সাথে
শত শত পুকুর ও জলাশয়ের মাছ ভেসে গেছে।

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারনে বাঁশখালী সমুদ্রের জল অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে দিন-রাতে প্লাবিত হচ্ছে। বাঁশখালী উপকূলের বেরিবাঁধসহ তলিয়ে গেছে শত শত গ্রাম, বাড়িঘর, নিম্নাঞ্চলের আবাসন প্রকল্প, ফসলি জমি, পুকুর ও মৎস খামার। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে অতিরিক্ত জোয়ারে পানি বেড়ে যাওয়া লক্ষাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।স্বল্প উচ্চতার বেড়িবাঁধটির ভাঙ্গনই এ দুর্ভোগের কারণ বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এজন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকেই দায়ী করছেন স্থানীয় অধিবাসীরা।

স্থানীয় জনগণ বলতেছে গত কাল থেকে
বাঁশখালীর খানখানাবাদ সমুদ্র সৈকত এর বেরি বাঁধের উপর দিয়ে পানি এলাকায় প্রবেশ করতেছে।এতে আমাদের জান মাল অনেক কিছু ধংস হয়ে গেছে। আরও কত কী হারাতে হয় তার কোন ধারনা জানা নাই আমাদের। তারা আরও বলে যে
বাঁশখালী প্রসাশন বিষয়টি গুরুত্বসহকারে না নিলে পশ্চিম বাঁশখালীতে ব্যাপক ক্ষতি হবে।