• রাজশাহী বিভাগ

    কোরআন ও ইতিহাসকে গালি দিয়ে সরকার পতনের আলোচনায় রাজশাহী প্রেসক্লাবের সভাপতি

      প্রতিনিধি ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৪:৪০:১৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    রাজশাহী প্রতিনিধি:

    আলোচনা সমালোচনা নয় সরাসরি কোরআন, বাইবেল ও ইতিহাসকারিকে গালিগালাজ করে সরকার পতনের ষড়যন্ত্র করছে রাজশাহী প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক ভোরের কাগজের নিজস্ব প্রতিবেদক সাইদুর রহমান এমন রেকর্ড এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক সহ নেট দুনিয়ায়।
    প্রায় সপ্তাহ খানেক আগে রাজশাহী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আসলাম উদ্দদৌলা, প্রসিদ্ধ মামা হালিমের দোকানদার আয়ুব আলী, মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার ইকবাল বাদল,রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি শরিফ উদ্দিনসহ পাঁচ থেকে সাতজন মিলে রাজশাহী প্রেসক্লাবে বসে সরকার পতনের নানা ষড়যন্ত্র মুলক আলোচনায় মত্য হয়ে উঠেন প্রেসক্লাব সভাপতি সাইদুর রহমান।

    এতে সাইদুরের সামনে থাকা ব্যক্তিরা ইতস্ত করলে উল্টো বলেন “এটা কি বাঁড়া বাইবেল বা কোরআন বাঁড়া, যে পরিবর্তন করা যাবেনা?” এছাড়াও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সম্মানিত মাননীয় মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে নিয়েও মানহানিকর কথা বলেন, তিনি বলেন “আরে মেয়র লিটন সব জায়গার ভাগ খাই, চুরির ভাগ, মা.. ব্যাবসার ভাগ”। পরে সামনে থাকা ব্যক্তিরা সরকারের বর্তমান পরিস্থিতি ও মন্ত্রীর বেহেশতে থাকার প্রসঙ্গ নিয়ে কথা তুললে সাইদুর রহমান বলেন ” সকালে উঠে দেখবা নাই, কোন দিক থেকে কি হবে এটা বলা যাবেনা। ইতিহাস সাক্ষী, আরে ইতিহাস থেকে কোন চুতমারানি ঠিক না” পরে কথোপকথনের এই রেকর্ডটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে কঠিন সমালোচনার মুখে পড়েন রাজশাহী প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইদুর রহমান।

    তবে এই কুটুক্তি নিয়ে মামলার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে সম্পুর্ণ করেছে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা রাজশাহী বিভাগীয় সভাপতি নুরে ইসলাম মিলন। এবিষয়ে মিলনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, রাজশাহী প্রেসক্লাবের এই অবৈধ সভাপতি সাইদুর বহু মানুষের ক্ষতি করেছে। আমাকেউ রাজশাহী প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক পদ থেকে সড়াতে দুই দুইবার মিথ্যা মামলাই জড়িয়েছেন। শুধু মাত্র সাইদুরের কারনে রাজশাহীতে সাংবাদিকদের আজ বিভাজন। শুধু তাই না সাইদুর প্রেসক্লাবের নামে সরকারের দেওয়া বহু অনুদান আত্নসাৎ করেছেন।

    তিনি আরো বলেন, রাজশাহী প্রেসক্লাবে বসলেই শুরু হয় বর্তমান সরকার ও আওয়ামী লীগের গীবত। এছাড়াও মাত্র সপ্তাহ খানেক আগে ব্যবসায়ী ও মুক্তিযুদ্ধদের সামনে কোরআন কে গালি দিয়েছে। আমি একজন ধর্মপ্রাণ মুসলিসম হিসেবে তার বিচার প্রত্যাশী। যদি আইনের সর্বোচ্চ যেতে হয় তাহলেও আমি যাব। তবে সাইদুর রহমানের বিষয়ে মুখ খুলেছেন তার একান্ত সহকারি হানিফ।

    হনিফ বলছে, সরাসরি কোরআন, বাইবেল ও ইতিহাসকারিকে গালিগালাজ করে সরকার পতনের ষড়যন্ত্রনিয়ে আলোচনা করার সময় অমিও সেখানে উপস্থিত ছিলাম। সাইদুর রহমান সাহেব প্রতিনিয়ত মানোনীয় সাংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা এমপি, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনসহ রাজশাহীর সুনামধন্য মানুষজনকে নিয়ে সমালোচনা করেন। এই সাইদুর রহমান রাজশাহী প্রেসক্লাব ও তথাকথিত সংগঠন আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের নাম ভাঙ্গিয়ে সকল নেতাদের থেকে চাঁদা নেন। গত শীতে জেলা প্রশাসকের নিকট থেকে কম্বল এনে তেমন কাউকে দেয়নি। এখনও প্রেসক্লাবে বহু কম্বল রয়েছে। আর কারো কাছে চাঁদার টাকা না পেলে তার বিরুদ্ধে মানবন্ধন ও স্মারক লিপি প্রদান করে হয়রানী করেন।

    প্রসিদ্ধ মামা হালিমের দোকানদার আয়ুব আলী বলেন, সাইদুর রহমানের মতো নোংরা লোক কখনো দেখিনি। আর রেকোডিংএ যা যা শুনলাম সব ঘটনা সঠিক। রেকডিংএ আমরা তেমন কোন কিছুই বলিনি। যা বলেছেন সাইদুর রহমান ই বলেছেন। আমরা সেসব আলোচনা থেকে বেরিয়ে যেতে চাইলেও সাইদুর রহমান পেচিয়ে আবারো সেই যায়গাতেই নিয়ে এসে আলোচনা করে থাকেন।তিনি আরো বলেন, সাইদুর রহমানের কাছে তার দুইলক্ষ টাকার চেক ও সাক্ষরকরা স্টাম্প আছে। দুইলক্ষ টাকা নিয়ে এ পর্যন্ত আরো দুই লক্ষ টাকা লাভ দিয়েছি। আর সতেরো হাজার টাকা পাবে । সে টাকা না দিলে চেক ও সাক্ষরকরা স্টাম্প ফেরত দিচ্ছেন না। এ ভয়ে তার কাছে যেতে হয়।

    রাজশাহী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আসলাম উদ্দদৌলা, মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার ইকবাল বাদল ও ১৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি শরিফ উদ্দিন এসকল বিষয়ে কোন কথাবলতে রাজি হননি। তবে রাজশাহী প্রেসক্লাব ও আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের সভাপতি সাইদুর রহমানের কাছে কোরআন ও ইতিহাসকে গালি দিয়ে সরকার পতনের আলোচনা করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ সকল অভিযোগ অসিক্বার করেন। বলেন আমি নিজে মুসলিম পরিবারের সন্তান। আমি নিজেই দরগায় যায়। আমি কেন কোরআন ও ইতিহাসকে গালি দিয়ে সরকার পতনের আলোচনা করবো। এটা আমার বিরুদ্ধে কেউ অপপ্রচার চালাচ্ছে।

    পরে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন মহোদয়কে নিয়ে বলা মানহানিকর কথা অস্বিকার করে বলেন ,মানোনীয় মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন একজন প্রতিমন্ত্রী তার কি টাকার অভাব? এই প্রতিনিধির রেকর্ড শুনে আর কোন কথা বলতে চাননি অভিযুক্ত সাইদুর রহমান। পবিত্র কোরআন অবমাননার প্রতিবাদ জানিয়েছেন হযরত শাহ্ মখ্দুম রুপোষ(রহঃ)এর দরগাহ্ শরীফ মাদ্রাসার মুফতি শাহাদাত আলী ।

    তিনি বলেন, মহাগ্রন্থ পবিত্র কোরআনের অবমাননা করে মুসলমানদের হৃদয়ে আঘাত করেছে রাজশাহী প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইদুর রহমান। তাঁর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনাসহ আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাব অবিলম্বে কোরআন অবমাননাকারীর বিরুদ্ধে সংসদে কঠোর আইন পাস করুন। যত দিন ইসলাম অবমাননার বিরুদ্ধে কঠোর আইন তৈরি না হবে, তত দিন এই ধরনের কর্মকাণ্ড ঘটতে থাকবে। এবং এসবকে কেন্দ্র করে দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে।তবে সাইদুর রহমানের এমন কটুক্তি নিয়ে ইতিমধ্যে হুশিয়ার উচ্চারণ করেছেন ইসলামী সংগঠন গুলো। তারা বলছে সরকার এর যদি বিচার না করেন তাহলে আমরা ব্রিহত্তর আন্দোলনের ডাক দিব।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ