• খুলনা বিভাগ

    কুষ্টিয়া-১ আসনে শত কোটি টাকার তথ্য গোপন করলেন সাবেক সাংসদ রেজাউল হক চৌধুরী

      প্রতিনিধি ৮ ডিসেম্বর ২০২৩ , ৫:৩৯:২২ প্রিন্ট সংস্করণ

    কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ

    কুষ্টিয়া-১(দৌলতপুর) আসনের সাবেক সাংসদ রেজাউল হক চৌধুরীর মালিকানাধীন ২ বিঘা জমির মূল্য ২০ হাজার টাকা,১ টা বাণিজ্যিক গোডাউনের মূল্য ৮০ হাজার টাকা। স্ত্রীর নামে রয়েছে ৫ বিঘা জমির মূল্য ৫০ হাজার টাকা। দৌলতপুর উপজেলার আল্লারদর্গা হলুদবাড়ী বাজারের ৪ তলা মার্কেট আবাসিক বাড়ি হিসেবে দেখানো হয়েছে। যার মূল্য ৬০ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও বিলাস বহুল বাড়ী, নোহা গাড়ী,বিদেশে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা, স্বর্ণের তথ্য গোপন এবং প্রচলিত বাজার মূল্যের চেয়ে কম মূল্য দেখিয়ে শতকোটি টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেন সাবেক এই সাংসদ।

    ২০২৩ সালের হলফনামা অনুযায়ী তার বার্ষিক আয় ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কিন্তু ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দাখিলককৃত হলফনামায় কৃষি, বাড়ি ভাড়া ও ব্যবসা থেকে মোট বার্ষিক আয় ছিল ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। নগদ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট মিলে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
    টিভি, ফ্রিজ,আসবাবপত্রের মূল্য ৬০ হাজার। ১০ তোলা স্বর্ণের মূল্য ২০ হাজার টাকা। ১০০ সিসির ১ টি হিরো হোন্ডা ও ১ টি প্যাশন প্লাস মোটরসাইকেলের মূল্য ২ লাখ টাকা। তার ওপর নির্ভরশীল ব্যাক্তির মোট বার্ষিক আয় ২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। নিজ নামে ১ লাখ ৪৬ হাজার টাকা মূল্যের . ৮৮ শতক ও স্ত্রীর নামে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ৫ একর জমি রয়েছে বলে যার মূল্য ৫০ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে।

    যৌথ মালিকানায় ৭.৬৬ একর জমির উল্লেখ থাকলেও তার মূল্য লেখা হয় নি। ২০১৪ সালে অগ্রণী ব্যাংকের আল্লারদর্গা শাখায় ঋণের পরিমাণ ছিল ৭ লাখ টাকা। ২০২৩ সালের হলফনামায় অগ্রণী ও জনতা ব্যাংকের আল্লারদর্গা শাখায় মোট ৭৩ লাখ টাকা ঋণ রয়েছে। ২০২৩ সালের হলফনামায় ঢাকার রাজাবাজার এলাকায় ১৭৭০ বর্গফুটের ৪৯ লাখ মূল্যের ফ্ল্যাট এবং নগদ ও ব্যাংক মিলে ২ লাখ টাকার মালিক দাবি করেন সাবেক এই সাংসদ। ৪৮ লাখ টাকা মূল্যের ল্যান্ড ক্রুজার, ইলেক্ট্রনিকস ও আসবাবপত্র ২ লাখ,নিজ নামে স্বর্ণ ২০ হাজার টাকা।

    ২০২৩ সালে ৬ ভরি স্বর্ণের মালিক হয়েছেন তার স্ত্রী। সাংসদের ঠিকাদার পুত্র ইমরান চৌধুরী কলিন্সের নগদ ও ব্যাংকে মোট ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দেখানো হয়েছে। কিন্তু তার বার্ষিক আয় ৯ লাখ টাকা। সাবেক এই সাংসদের স্ত্রী একজন গৃহিণী হলেও তার বার্ষিক আয় ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা। নিজ নামে ব্যাংকে রয়েছে ১.৫ লাখ টাকা। সাবেক সাংসদ একটি নোহা গাড়ি ব্যবহার করেন যা উল্লেখ করা হয়নি হলফনামায়। এক অনুসন্ধানে জানা গেছে, সাবেক সাংসদ রেজাউল হক চৌধুরীর পরিবারের সদস্য,ঘনিষ্ঠ স্বজনেরা তার নাম ভাঙ্গিয়ে নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি করে কোটিপতি বনে গেছেন।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ