• রাজশাহী বিভাগ

    উল্লাপাড়ায় ৫০ হাজার কোরবানির পশু প্রস্তুত

      প্রতিনিধি ২৯ জুন ২০২২ , ১২:৩৮:২২ প্রিন্ট সংস্করণ

    প্রতি বছরের ন্যায় এবারও কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় ব্যক্তি পর্যায়ে ও খামারিরা গবাদিপশু পালন করে থাকে। বাড়তি লাভের আশায় অনেকে দুই-তিন মাস, আবার কেউ কেউ ছয় মাস আগে থেকে গবাদিপশু পালন শুরু করে। এবারও অন্য বছরের তুলনায় ব্যতিক্রম নয়। এরই মধ্যে উপজেলায় খামারি ও ব্যক্তি পর্যায়ে কোরবানিযোগ্য করে তোলা হয়েছে ৪৯ হাজার ৫০০ গবাদিপশু।
    উপজেলায় প্রায় দুই হাজার ২০০ খামারিসহ ব্যক্তি পর্যায়ে বাসাবাড়িতে এসব পশু পালন করা হচ্ছে।

    উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।উল্লাপাড়ায় ইতোমধ্যেই এসব পশু বিক্রির জন্য জেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে তোলা হচ্ছে। দর-দামে মিলে গেলে বিক্রিও করা হচ্ছে। জেলার বাইরের ব্যবসায়ীরাও খামার থেকে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। কেউ কেউ গ্রামে গ্রামে ঘুরে ব্যক্তি পর্যায়ে পালিত গরু কিনে ঈদের আগে ঢাকা-চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়ার জন্য আগে থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।সব মিলিয়ে এ উপজেলায় কোরবানির পশুর কোনো সঙ্কট পড়বে না বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেশীয় পশুতেই কোরবানি সম্পন্ন করতে পারবেন উল্লাপাড়া উপজেলাবাসী- এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।

    এদিকে গবাদিপশু মোটাতাজাকরণে ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্যাদি ব্যবহার রোধে সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। খামারি ও পশুপালনকারী ব্যক্তিদের মধ্যে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে সচেতনতামূলক বার্তা। পাশাপাশি তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতর কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে উপজেলায় প্রায় দুই হাজার ২০০ খামারি মোট ৪৯ হাজার ৫০০ গবাদিপশু কোরবানিযোগ্য করে তুলেছেন। এ বছর উপজেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ৪৪ হাজার ৬০০। চাহিদার অতিরিক্ত পশুগুলো রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রির জন্য পাঠানো হবে।

    জানা গেছে, এ উপজেলায় স্থায়ী হাট রয়েছে পাঁচটি। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে স্থায়ী হাটসহ প্রায় ১০টির মতো পশুর হাট বসবে। এসব হাটে কোরবানিযোগ্য পশুগুলো বিক্রির জন্য তোলা হবে। ইতোমধ্যেই কিছু কিছু হাটে বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রচারণা চালাচ্ছে অস্থায়ী হাটের ইজারাদাররা।উল্লাপাড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মিজানুর রহমান জানান, ‘উপজেলার চাহিদার অতিরিক্ত কোরবানিযোগ্য গবাদিপশু ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যাবে। আবার বিভিন্ন জেলার পশুও এ উপজেলায় আসবে। তাই ঈদে কোরবানির পশুর কোনো সঙ্কট হবে না। বরং এখানে চাহিদার অতিরিক্ত পশু রয়েছে। এ বছর খামারিরা ভালো দাম পাবে বলে আশা করছি।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ