• আইন ও আদালত

    ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা, অস্ত্রসহ আটক-৮

      প্রতিনিধি ১৫ এপ্রিল ২০২৩ , ৮:১৪:১২ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ লুৎফর রহমান লিটন-সলঙ্গা সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

    সিরাজগঞ্জের তাড়াশের দেশীগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আ.লীগ নেতা আব্দুল কুদ্দুসকে হত্যার ঘটনায় অস্ত্রসহ ৮ সর্বহারাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।’শনিবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে জেলা পুলিশ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. আব্দুল বাতেন (বিপিএম, পিপিএম) এতথ্য জানিয়েছেন।’গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন, পাবনা জেলার চাটমোহর থানার বাঙ্গালা পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত আমির সরকারের ছেলে মো. জহুরুল ইসলাম তুষার (২৫), দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী থানার সুজাপুর বানিয়াপাড়া গ্রামের বিকাশ মহন্তের ছেলে বিশ্বনাথ মহন্ত (৩২) সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার সুজাদক্ষিনপাড়া গ্রামের মৃত গফুর মোল্লার ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪০) এই জেলার রায়গঞ্জ থানার কৃষ্ণপুর উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত গকুল চন্দ্র দাসের ছেলে শ্রী বলরাম চন্দ্র দাস (৩৮) তাড়াশ থানার গুরপিপুল গ্রামের মৃত শংকর চন্দ্র দাসের ছেলে উত্তম চন্দ্র দাস (৪০), টাংগরা দক্ষিনপাড়া গ্রামের মৃত জুরান উদ্দিনের ছেলে মো. রহমত আলী (৩৮), দেওঘর গ্রামের মৃত গোনেস উরাও এর ছেলে শ্রী সুনীল উরাও (৪৫), পাবনার কাটাখালী পুর্বপাড়া গ্রামের আলহাজ্জ মো. আমির সরকারের ছেলে মো. রহমত আলী (৪৫)’

    সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. আব্দুল বাতেন বলেন, চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় উপজেলার ভোগলমান বাজারে শত শত লোক সমাগমের মধ্যে মুখোশধারী আগ্নেয়াস্ত্র বহনকারী ১৪/১৫ জন অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসী গুলি করে আঃ কুদ্দুস সরকারকে হত্যা করে। হত্যা করে বাজারে পূর্ব বাংলা সর্বহারা পার্টির লিফলেট এবং সর্বহারা পার্টি জিন্দাবাদ স্লোগান দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। ঘটনায় ২০ ফেব্রুয়ারী তাড়াশ থানায় একটি হত্যা মামলঅ দায়ের করা হয়।

    তিনি আরও জানান, শনিবার ভোর রাতে তাড়াশ দেশীগ্রাম ইউনিয়নের দোগাড়ীয়া ঈদগাহ মাঠ এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ একটি সন্ত্রাসী দল মহড়া দিচ্ছে। গোপন সংবাদে জেলা গোয়েন্দা শাখা ও তাড়াশ থানার বিশেষ টিম এই সন্ত্রাসীদের অবস্থান সনাক্ত করে অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেফতার করে। এসময় তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী সন্ত্রাসীদের আশ্রয়দানকারী তাড়াশ থানার তালম ইউনিয়নের দেওঘর গ্রাম হতে শ্রী সুনীল উরাওকে গ্রেফতার করে।

    এসময় তাদের কাজ থেকে, ২০০২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বেলকুচি উপজেলার রান্ধুনিবাড়ী পুলিশ ক্যাম থেকে লুট হওয়া ১টি এসএমজি, ১ টি থ্রি-নট থ্রি রাইফেল, ১ টি থ্রি নট থ্রি কাটা রাইফেল, ১১ রাউন্ড থ্রি নট থ্রি তাজা গুলি, ১ টি গুলির খোসা, ২ টি চাকু, ১ টি সাউন্ড গ্রেনেড ও ১টি অটো ভ্যান গাড়ী উদ্ধার করা হয়েছে।

    সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মো. সামিউল আলম, জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রওশন আলী, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির, তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম ও জেলা গোয়েন্দা শাখার এসআই মো. জুলহাজ উদ্দিনসহ জেলার প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক্স মিড়িয়ার সাংবাদিকরা উপিস্থিত ছিলেন।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ