• রাজশাহী বিভাগ

    সাংসদ ডা. মনসুর রহমানকে ঘিরে প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর অভিযোগ

      প্রতিনিধি ২৪ জানুয়ারি ২০২২ , ৩:৫২:১৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    স্টাফ রিপোর্টার :

    নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী চতুর্থ ও পঞ্চম দফায় অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে রাজশাহী-৫ আসনের সংসদ সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রফেসর ডা. মো. মনসুর রহমানের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করেছেন এবং বিদ্রোহী প্রার্থীদের মদদ দেয়ার বিষয়ে সম্প্রতি অভিযোগ আনা হয় সাংসদ ডা. মনসুর রহমানের বিরুদ্ধে।

    এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগ ও কেন্দ্রে লিখিত অভিযোগ দেয়ার বিষয়টিও আনা হয় অভিযোগে। তবে এ ধরনের কোন লিখিত অভিযোগ জেলা বা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে দেয়া হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন সদ্য শেষ হওয়া ইউপি নির্বাচনে বিজয়ী দুর্গাপুরের কয়েকজন চেয়ারম্যান।এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগ ও কেন্দ্রে লিখিত অভিযোগ দেয়ার বিষয়টিও আনা হয় অভিযোগে। তবে এ ধরনের কোন লিখিত অভিযোগ জেলা বা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে দেয়া হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন সদ্য শেষ হওয়া ইউপি নির্বাচনে বিজয়ী দুর্গাপুরের কয়েকজন চেয়ারম্যান।

    জানা গেছে, গত ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ দফায় দুর্গাপুর উপজেলার ৬টি ও পঞ্চম দফায় একটি সহ মোট ৭টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ৫ ইউপিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও ২ ইউপিতে স্বতন্ত প্রার্থী বেসরকারি ভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।নির্বাচনের কদিন পরেই সাংসদ ডা. মনসুর রহমানের বিরুদ্ধে দলীয় প্রার্থীর বিরোধিতা ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের মদদ দেয়ার অভিযোগ তোলা হয়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা রকম স্ট্যাটাস দেন সাংসদ ডা. মনসুর রহমানের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা। এমনকি কয়েকটি গণমাধ্যমেও এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। কিন্তু বাস্তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এ ধরনের কোনো লিখিত অভিযোগ জেলা আওয়ামী লীগ বা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে দেয়াই হয়নি।

    দুর্গাপুরের ৫ নং ঝালুকা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আকতার আলী বলেন, তিনি বিভিন্ন ভাবে শুনেছেন যে সদ্য শেষ হওয়া ইউপি নির্বাচন নিয়ে সংসদ সদস্য প্রফেসর ডা. মনসুর রহমানের বিরুদ্ধে জেলা এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। আসলে তিনি এ ধরনের কোনো লিখিত অভিযোগ দেননি। এমনকি এ ধরনের কোনো কাগজে স্বাক্ষরও করেননি।
    আকতার আলী বলেন, আওয়ামী লীগ আমাকেও মনোনয়ন দিয়েছেন সংসদ সদস্যকেও মনোনয়ন দিয়েছেন। সুতরাং দলীয় সিদ্ধান্ত ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ হবে এমন কোনো কিছুই আমি করবো না কখনো।

    ৭ নং জয়নগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, এ ধরনের কোনো লিখিত অভিযোগে স্বাক্ষর তিনি করেননি। কে বা কারা তার নাম ব্যবহার করেছেন। তবে তিনি সাংসদ মনসুর রহমানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেননি।৩নং পানানগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দ্বিতীয়বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান আজাহার আলী খান ও ৬নং মাড়িয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম সম্রাট দাবি করেন, এ ধরনের কোনো কাগজে স্বাক্ষর তারা স্বাক্ষর করেননি। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য কেউ এমনটি করে থাকতে পারে।

    জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক জানান, রাজশাহী-৫ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে এ যাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন প্রফেসর ডা. মো. মনসুর রহমান।তিনি দুর্গাপুর-পুঠিয়া উপজেলায় দল-মত নির্বিশেষে একজন জনপ্রিয় সংসদ সদস্য হিসেবে সকলের কাছে পরিচিত। আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলের তৃতীয় মেয়াদে গত তিন বছরে এই এলাকায় রাজনৈতিকসহ কোনো ধরনের সহিংসতা একদমই নেই। এতে করে রাজনৈতিক ভাবে সাংসদ প্রফেসর ডা. মনসুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে দলের কিছু নেতা তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের পাঁয়তারা করছেন।

    সাংসদ ডা. মনসুর রহমানের নির্দেশে প্রতিটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীর পক্ষে নেতাকর্মীরা সুসংগতি হয়ে কাজ করেছেন বলেও দাবি করেন আব্দুর রাজ্জাক।ডা. মনসুর রহমান এমপি আরও বলেন, গত তিন বছরে পুঠিয়া এবং দুর্গাপুর উপজেলায় কোন ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতা বা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিঘ্ন ঘটবে এমন কোনো ঘটনা ঘটতে দেয়নি বিধায় মানুষ শান্তিতে বসবাস করছেন। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ মানুষ তাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম অত্যন্ত সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে চালিয়ে আসছেন।

    বিগত উপজেলা পরিষদ এবং পৌরসভা নির্বাচনের মতো ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছিলাম দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার জন্য। এ কারনে দু-একটি ছাড়া বেশিরভাগ ইউনিয়নেই আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু রাজনৈতিক চরিতার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে একটি কুচক্রী মহল বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করে সরকারের চলমান উন্নয়নমূলক কাজে বাধা সৃষ্টি করেছেন এবং আমার বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন। বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে অবহিত করা হয়েছে বলেও জানান সাংসদ প্রফেসর ডা. মনসুর রহমান।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ