• ধর্ম

    সন্তানের অধিকার সমুহ-মুফতী আঃ কাদের কারিমী

      প্রতিনিধি ১৭ এপ্রিল ২০২২ , ৬:১৪:৩৮ প্রিন্ট সংস্করণ


    আলোকিত ইসলাম ডেস্ক:

    কম্পিউটারে, আইপ্যাডে, মোবাইলে রেখে দিতে পারেন অথবা খাতায় লিখে রাখতে পারেন (এটাই বেস্ট উপায়) জন্মের পর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত করনীয়(মোট ১২ টি করনীয় লেখা হবে ইন শা আল্লাহ)

    ১.আজান দেওয়া,
    عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ، عَنْ أَبِيه قَالَ
    উবাইদুল্লাহ ইবনু আবূ রাফি’ (রাঃ)তার পিতা থেকে থেকে বর্ণানা করেন,
    رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَذَّنَ فِي أُذُنِ الْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ – حِينَ وَلَدَتْهُ فَاطِمَةُ – بِالصَّلاَةِ ‏.‏

    তিনি বলেন, ফাত্বিমাহ (রাঃ) যখন ‘আলী (রাঃ)-এর পুত্র হাসান (রাঃ)-কে প্রসব করলেন, তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার কানে সলাতের আযানের ন্যায় আযান দিতে দেখেছি।
    সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৫১০৫

    ২.তাহনীক করানো,
    عَنْ أَسْمَاءَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا
    আসমাআ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
    أَنَّهَا حَمَلَتْ بِعَبْدِ اللهِ بْنِ الزُّبَيْرِ
    তিনি বলেন, তিনি তাঁর পেটে আবদুল্লাহ্‌ ইব্‌নু যুবায়ের কে ধারন করলেন (গর্বস্থিত সন্তান)
    قَالَتْ فَخَرَجْتُ وَأَنَا مُتِمٌّ
    তিনি বলেন, আমি এমন সময় হিজরত করি যখন আমি আসন্ন প্রসবা। (সন্তান যে কোন সময় হয়ে যেতে পারে)
    فَأَتَيْتُ الْمَدِيْنَةَ فَنَزَلْتُ بِقُبَاءٍ
    আমি মাদিনাহয় এসে কুবা’তে অবতরণ করি।
    فَوَلَدْتُهُ بِقُبَاءٍ
    এ কুবাতেই আমি তাকে (পুত্র সন্তানটি)প্রসব করি।
    ثُمَّ أَتَيْتُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَوَضَعْتُهُ فِيْ حَجْرِهِ
    এরপর আমি তাকে নিয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর কাছে এসে তাঁর কোলে দিলাম।
    ثُمَّ دَعَا بِتَمْرَةٍ
    তিনি একটি খেজুর আনলেন
    فَمَضَغَهَا ثُمَّ تَفَلَ فِيْ فِيْهِ
    এবং তা চিবিয়ে তার মুখে থুথু দিলেন।
    فَكَانَ أَوَّلَ شَيْءٍ دَخَلَ جَوْفَهُ رِيْقُ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم
    কাজেই সর্বপ্রথম যে বস্তুটি আব্দুলাহর পেটে গেল তা হল নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর থুথু।
    ثُمَّ حَنَّكَهُ بِتَمْرَةٍ
    নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সামান্য চিবান খেজুর নবজাতকের মুখের ভিতরের তালুর অংশে লাগিয়ে দিলেন।
    ثُمَّ دَعَا لَه وَبَرَّكَ عَلَيْهِ
    এরপর তার জন্য দু’আ করলেন এবং বরকত চাইলেন। (বরকতের দূআ করলেন)।
    وَكَانَ أَوَّلَ مَوْلُوْدٍ وُلِدَ فِي الْإِسْلَامِ
    তিনি হলেন প্রথম নবজাতক সন্তান যিনি হিজরতের পর মুসলিম পরিবারে জন্মলাভ করেন।
    تَابَعَهُ خَالِد بْنُ مَخْلَدٍ عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُسْهِرٍ عَنْ هِشَامٍ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ أَسْمَاءَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا أَنَّهَا هَاجَرَتْ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهِيَ حُبْلَى
    খালিদ ইব্‌নু মাখলদ (রহঃ) উক্ত রেওয়াত বর্ণনায় যাকারিয়া ইব্‌নু ইয়াহ্‌ইয়া (রহঃ)-এর অনুসরণ করেছেন। এতে রয়েছে যে, আসমা (রাঃ) গর্ভবতী অবস্থায় হিজরত করে রাসুলুল্লাহ্‌ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) – এর নিকটে আসেন।
    সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৩৯০৯

    * عَنْ أَبِي مُوسٰى
    আবূ মূসা (রাঃ)‎ থেকে বর্ণিতঃ:
    قَالَ তিনি বলেন,
    وُلِدَ لِي غُلاَمٌ فَأَتَيْتُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم
    আমার একটি পুত্র সন্তান জন্মালে আমি তাকে নিয়ে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর কাছে ‎গেলাম।
    فَسَمَّاه“ إِبْرَاهِيمَ
    তিনি তার নাম রাখলেন ইবরাহীম।
    فَحَنَّكَه“ بِتَمْرَةٍ وَدَعَا لَه“ بِالْبَرَكَةِ وَدَفَعَه“ إِلَيَّ
    তারপর খেজুর চিবিয়ে তার মুখে দিলেন এবং তার জন্য বারাকাতের ‎দু’আ করে আমার কাছে ফিরিয়ে দিলেন।
    وَكَانَ أَكْبَرَ وَلَدِ أَبِي مُوسَى.
    সে ছিল আবূ মূসার সবচেয়ে বড় ছেলে।
    সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫৪৬৭
    হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

    ৩.অন্যরা তাকে দেখে তার বাবাকে স্বাগত জানিয়ে দূআ করা,
    * عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها
    আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
    قَالَتْ তিনি বলেন,
    كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُؤْتَى بِالصِّبْيَانِ فَيَدْعُو لَهُمْ بِالْبَرَكَةِ – زَادَ يُوسُفُ – وَيُحَنِّكُهُمْ وَلَمْ يَذْكُرْ بِالْبَرَكَةِ ‏.‏
    রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট বাচ্চাদেরকে আনা হলে তিনি তাদের জন্য বরকতের দু‘আ করতেন।
    সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৫১০৬

    *عن أيوب السختياني رحمه الله أنه كان إذا هنأ بمولود
    আইয়ুব আস সুখতিয়ানী রহঃ যখন কোন নবজাতকের পিতাকে অভিবাদন জানাতেন,
    قال : “তখন বলতেন (নিন্মোক্ত দুআটি)
    جعله الله مباركا عليك وعلى أمة محمد ” رواه ابن أبي
    আল্লাহ তাকে (তোমার সন্তান কে) তোমার জন্য এবং উম্মতে মুহাম্মদের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জন্য বরকতের কারণ বানিয়ে দেন।
    الدنيا في ” العيال ” (رقم/202) قال : حدثنا خالد بن خداش ، حدثنا حماد بن زيد ، قال كان أيوب … فذكره . وأخرجه الطبراني في ” الدعاء ” (1/294) .

    ৪.আকিকা করা,
    ক,কবে আকিকা করবে?
    ১.সপ্তম দিনে،
    عَنْ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «كُلُّ غُلَامٍ رَهِينٌ بِعَقِيقَتِهِ تُذْبَحُ عَنْهُ يَوْمَ سَابِعِهِ وَيُحْلَقُ رَأْسُهُ وَيُسَمَّى»
    সামুরা ইব্‌ন জুনদুব (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণিতঃ:
    তিনি বলেনঃ প্রত্যেক সন্তান স্বীয় আকীকার সাথে আবদ্ধ। তার পক্ষ হতে তা তার জন্মের সপ্তম দিনে যবেহ করতে হবে। সেদিন তার মাথা মুণ্ডন করতে হবে এবং তার নাম রাখতে হবে।
    সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৪২২০

    *এক্ষেত্রে লক্ষনীয় বিষয় হলোঃ চুল কাটার পর সেটাকে মাপবে,সেই পরিমাণ রুপা সদকা করে দিবে।
    হুজুর কে জিজ্ঞাসা করলাম, হুজুর এই হাওলা দিলেন,,,,
    ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ،
    আলী ইবনু আবী তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
    قَالَ عَقَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْحَسَنِ بِشَاةٍ
    তিনি বলেন, একটি বকরী দ্বারা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাসানের আকীকা করেন
    وَقَالَ ‏ “‏ يَا فَاطِمَةُ احْلِقِي رَأْسَهُ
    এবং বলেনঃ হে ফাতিমা! তার মাথা নেড়া করে দাও
    মূল মুফতী আরিফ বিন হাবিব

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ