• আইন ও আদালত

    মোহনপুরের ঘাষিগ্রাম স্কুলে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম

      প্রতিনিধি ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৪:০১:৩১ প্রিন্ট সংস্করণ

    মমিনুল ইসলাম মুন-বরেন্দ্র অঞ্চল প্রতিনিধি:

    রাজশাহীর তানোরের সীমান্তবর্তী মোহনপুর উপজেলার ঘাষিগ্রাম ইউপির ঘাষিগ্রাম নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে জালিয়াতি করে ৩ জন শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত ৪ সেপ্টেম্বর রোববার আইনাল হক বাদি হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে (ইউএনও) লিখিত অভিযোগ ও অনুলিপি রাজশাহী জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে প্রেরণ করেছেন। এদিকে অভিযোগের খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে, উঠেছে সমালোচনার ঝড়।

    অভিযোগে বলা হয়েছে,বিগত ২০০০ সালের ১৫ জুলাই ঘাষিগ্রাম নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফাজিল (মৌলভী) পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে ১৭ জুলাই যোগদান করেন আইনাল হক। বিগত ২০০৮ ও ২০১০ সালে বিদ্যালয়ের মনোনিত শিক্ষক হিসেবে আইনাল হক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। অন্যদিকে ২০২২ সালের ৬ জুলাই বিদ্যালয় এমপিওর জন্য তালিকা ভুক্ত হয়। এদিকে বিদ্যালয় এমপিওর জন্য তালিকা ভুক্ত হবার পর সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক যোগসাজশের মাধ্যমে জালিয়াতি করে বিপুল অঙ্কের টাকার বিনিময়ে গোপনে তিন জন শিক্ষক নিয়োগ করেন।

    অভিযোগে আরো বলা হয় ২০০০ সালের ১০ জুলাই সহকারি শিক্ষক (মৌলভী) পদে বৈধভাবে আইনাল হককে নিয়োগ করা হয়। কিন্ত্ত বিদ্যালয় এমপির তালিকা ভুক্ত হবার পর জালিয়াতি করে একই তারিখ দেখিয়ে একই পদে (সভাপতির আত্মীয়) জাহাঙ্গীর আলমকে নিয়োগ দেখানো হয়েছে।এছাড়াও ২০০৪ সালের ১৭মে সহকারী শিক্ষক (কৃষি) পদে দুলাল রাব্বানীকে নিয়োগ দেয়া হয়। অথচ ২০০৭ সালে দুলাল রাব্বানী কৃষি ডিপ্লোমা পাশ করেন। তাহলে সে ২০০৪ সালে নিয়োগ পায় কি ভাবে এটা জালিয়াতি করা হয়েছে।

    একইভাবে সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) পদে রাশেদা খাতুনকে ভূয়া ভাবে নিয়োগ করা হয়েছে। কারণ সে কম্পিউটার পারদর্শী নয় আর স্কুলে কোনো কম্পিউটার নাই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বাসিন্দা জানান, স্কুল এমপির তালিকা ভুক্ত হবার পর। সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক যোগসাজশে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে। সরেজমিন পরিদর্শন ও কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হলে ভয়াবহ জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া যাবে বলে তারা দাবি করেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বদের এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন।

    স্থানীয় সাংসদ তার বন্ধু মানুষ।তিনি বলেন,তার সহযোগীতায় স্কুল এতোদুর এগিয়েছে, আর আইনাল হক মৌলভী পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন বলে শুনেছি, তবে তিনি প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নেয়ার পর এই নামের কোনো শিক্ষককে দেখেননি। তিনি আরো বলেন, এবিষয়ে আদালতে মামলা করেছে আইনাল আমরা আইনিভাবে এর মোকাবেলা করবো। এবিষয়ে জানতে চাইলে স্কুলের সভাপতি আফাজ উদ্দিন কবিরাজ বলেন, স্কুলে কোনো অনিয়ম হয়নি। তিনি বলেন, আইনাল হক জাল কাগজ তৈরী করে স্কুলের ক্ষতি সাধনের চেষ্টা করছে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ