• আইন ও আদালত

    মুন্সীগঞ্জে ছাগল চুরি করার সময় জনতার হাতে আটক দুই চোর

      প্রতিনিধি ৪ জুন ২০২২ , ১২:৫৬:৫০ প্রিন্ট সংস্করণ

    এম এ কাইয়ুম-মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

    মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে ছাগল চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনতা দুই চোরকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে।
    শনিবার (৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার কুকুটায়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বনগাঁও এলাকায় এ ছাগল চুরির ঘটনা ঘটে। পরে শ্রীনগর থানা পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। আটককৃত চোর ফারুক(৩৫), পিতা-ছালাম বেপারী ও মোঃ স্বপন শেখ(৪৫),পিতা-ইউনুছ শেখ টঙ্গীবাড়ী উপজেলার যশলং ইউনিয়নের দক্ষিন সেরজাবাদ এলাকার বাসিন্দা।

    কুকুটিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আজিম জানান, বনগাঁও গ্রামে কুকুটিয়া বিবন্দী পাকা রাস্তার পাশে তার ছাগলের খামার ছিল। ঐ সময় তার একই গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে আওলাদের ৪০ হাজার টাকা মুল্যের দুইটি ছাগল রাস্তার পাশে ঘাস খেতে থাকাবস্থায় চোর ফারুক ও স্বপন শেখসহ আরো অজ্ঞাতনামা ২জন ছাগল দুটো চুরি করে অটো যোগে নিয়ে যাওয়ার সময় ছাগলের মালিক আওলাদ চোর চোর বলে ডাক চিৎকার করে। এসময় আজিম ও কবির দৌড়ে চোরদের পিছু নেয়।

    এবং কুকুটিয়া এলাকার লোকদের ফোন দিলে তারা এগিয়ে এসে ঝাপুটিয়া এলাকায় পাকা রাস্তার উপর ছাগলসহ তাদের করে ঐ সময় অজ্ঞাতনামা আরো ২ চোর দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে আটককৃত দুই চোরকে গ্রেফতার করে শ্রীনগর থানায় নিয়ে যায়। শ্রীনগর থানা পুলিশের উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ মোল্লা বলেন, সংবাদ পেয়ে কুকুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আমরা চোর দুইজনকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছি। আগামীকাল কোর্টে প্রেরন করা হবে।

    আরও খবর

    আতাইকুলায় অসামাজিক কাজে লিপ্ত দেখে ফেলায় মামলা দিয়ে হয়রানি

    পুরুষশূন্য মাশিকাড়া গ্রাম কাটছে না আতঙ্ক প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার দাবি নারীদের কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি কুমিল্লা দেবীদ্বার উপজেলা মাশিকাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের শাস্তি ও অপসারনের দাবিতে বিক্ষোভ, সংঘর্ষ, হামলা, অগ্নিসংযোগ ও গুলিবিদ্ধ হয়ে পুলিশসহ অর্ধশত গ্রামবাসী আহত হওয়ার ঘটনার ৪ দিন পর গতকাল শনিবার দুপুরেও ওই এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। দুপুরের পরও ওই এলাকায় মানুষজনের তেমন উপস্থিতি ছিলনা। খুলেনি দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। মাশিকাড়া বাজার ও মাশিকাড়া উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় ছিল পুলিশি টহল এবং সাংবাদিক ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কড়া নজরদারি। এ ছাড়া গত বুধবারের ওই সহিংসতার পর থেকে এখন পর্যন্ত হওয়া দুইটি মামলায় গতকাল শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যৌন হয়রানির দায়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক দেবীদ্বার উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক মোক্তল হোসেনকে উদ্ধারের ঘটনায় অভিযান চালাতে গিয়ে এ তা-ব চালানোর অভিযোগ উঠল দেবীদ্বার থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই অভিযুক্ত শিক্ষকের পক্ষের একটি প্রভাবশালী চক্রের প্ররোচনায় এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে পুলিশ এই কাজ করেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তবে উদ্বেগ আর আতঙ্ক কাটেনি নির্যাতনে শিকার ছাত্রীর পরিবার ও স্থানীয়দের। মাশিকাড়া গ্রামের সাথে আশপাশের আরো দুটি গ্রামে কয়েক হাজার মানুষের বসবাস। যাদের প্রায় সবাই গত বুধবারের সহিংসতায় হতবাক। আতঙ্কিত শিশুরাও। কোনকিছুর শব্দ ও আগুন দেখলে অনেকেই চমকে উঠছেন। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন যাপন করছে মাশিকাড়া গ্রামসহ আশপাশের আরো অন্তত দুই গ্রামের নারী, পুরুষ ও শিশুরা। সবার মধ্যে একটাই আতঙ্ক, আর তা হলো যদি আবার এসে পুলিশ হামলা ও গুলি করে। বাড়িতে থাকতে নিরাপদ বোধ করছে না কেউই। অবশ্য মামলা ও পুলিশি অভিযানের কারণে বাড়িতে থাকার মতো পরিস্থিতিও নেই। অনেকেই নিজেদের বাড়ি ছেড়ে স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত নির্যাতিতা স্কুলছাত্রীর পরিবার কারও সাহায্য-সহযোগিতা চান না। তারা শুধু নিরাপদে বসবাসের নিশ্চয়তা চান, নিজেদের জানমালের নিরাপত্তা চায় তারা। গতকাল সাংবাদিকরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে তাদের কাছে এমন দাবি জানান তারা। সাংবাদিকদের কাছে তারা সহিংসতায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারেরও দাবি জানান। সরেজমিনে দেখা গেছে, মাশিকাড়া ও শাকতলা গ্রামের প্রায় সব বাসিন্দার চোখে-মুখে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠার ছাপ। মাশিকাড়া বাজারে দুধ বিক্রি করতে আসা মো. মনু মিয়া (৬০) বলেন, ‘আমরা এতো বছর ধরে সম্প্রীতির সঙ্গে সবাই বসবাস করে আসছি। আমরাও এখানে স্কুল-কলেজে পড়াশোনা করেছি, একই সঙ্গে খেলাধুলা করেছি। কখনো কারো সাথে কোনো বিরোধ হয়নি। এক শিক্ষকের অনৈতিক আচরনের জন্য তার পক্ষের বহিরাগত কিছু লোক এসে এখানের মানুষজনকে উসকে দিয়ে এই কাজগুলো করাচ্ছে। এই মূলহোতাদের আইনের আওতায় আনা উচিত।’ গত বুধবার বিকেলে থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার মাশিকাড়া উচ্চ ববিদ্যালয় এলাকায় স্থানীয় জনতা-ছাত্র ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এই সহিংসতায় সাত পুলিশসহ স্থানীয় অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হন। শাকতলা গ্রামের রাজিয়া বেগম বলেন, ‘সেদিনের হামলার বীভৎসতায় আমার সাত বছরের ছেলে এখনো আঁতকে ওঠে। পুলিশ দেখলে ভয়ে কেঁদে ফেলে। এমন অবস্থা আমাদের প্রত্যেক পরিবারের। আমরা সরকারের কাছে নিরাপত্তা চাই।’ ওই ঘটনায় নির্যাতিতা স্কুলছাত্রীর বাবা ণারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলার বাদী মো. শফিউল্ল্যাহ বলেন, ‘আমরা কারও সাহায্য-সহযোগিতা চাই না। আমরা শুধু নিরাপদে বসবাস করতে চাই। নিজেদের জানমালের নিরাপত্তা চাই।’ মামলা ও গ্রেপ্তার- বুধবারের সহিংসতার ঘটনায় আলাদা দুইটি মামলা করা হয়েছে। দেবীদ্বার থানায় হামলা ভাঙচুর, লুটপাট, সরকারি কাজে বাধাদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে পুলিশের পক্ষ থেকে একটি ও যৌন হয়নরানীর শিকার ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে ণারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি একটি মামলা করা হয়। এ দুই মামলায় ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ওই ঘটনায় অভিযুক্ত যৌন নিপীড়ক প্রধান শিক্ষক মোক্তল হোসেনসহ এ পর্যন্ত ১৭জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শনিবার দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইিম এন্ড অপস্) খন্দকার আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘বিভিন্ন অভিযোগে দুইটি মামলা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে ঘটনায় জড়িত প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে। ওখানকার দায়িত্বরত পুলিশের কোন গাফলতি ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

    গোদাগাড়ীতে জমির বিরোধে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে-৪

    পীরগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক অন্যায় ভাবে কৃষকের ২ লক্ষ টাকার গরু নিলামের অভিযোগ

    খোকসায় ভেজাল গুড় তৈরির কারখানায় অভিযান ও আগুন

    ময়মনসিংহে হেযবুত তওহীদের সংবাদ সম্মেলন।

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ