• চট্টগ্রাম বিভাগ

    মিয়ানমারের গুলির শব্দে আতঙ্কে বাংলাদেশী জনগণ কাপছে এপার ওপার

      প্রতিনিধি ২৪ আগস্ট ২০২২ , ১২:৩৯:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে কয়েক দিন ধরে ব্যাপক গোলাগুলি হচ্ছে। গুলির বিকট শব্দে কাঁপছে এপারও। তাতে আতঙ্কে কোনারপাড়ার পার্শ্ববর্তী শূন্যরেখার (নো- ম্যানস ল্যান্ড) আশ্রয়শিবিরে থাকা চার হাজারের বেশি রোহিঙ্গা এবং ঘুমধুম ইউনিয়নের কয়েক হাজার বাংলাদেশি। ওপারের গোলাগুলির ঘটনা নজরদারিতে রাখছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

    ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, সোমবার সকাল সাতটা থেকে বিকট শব্দে মর্টারশেল ও ভারী অস্ত্রের গুলির শব্দ এপারে শোনা যাচ্ছে। মিয়ানমার সীমান্তের দেড়-দুই কিলোমিটার দূরের পাহাড়ে গিয়ে পড়ছে এক একটা শেল ও গুলি। থেমে থেমে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে গোলাগুলি, তা-ও ১০-১২ দিন ধরে। শূন্যরেখার দিকে কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। শূন্যরেখার আশ্রয়শিবিরে ৬২১টি পরিবারে ৪ হাজার ২০০ জন রোহিঙ্গা আছে। গোলাগুলির শব্দে তারা বেশ আতঙ্কে।

    ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, বিভিন্ন সূত্রে তিনি জানতে পেরেছেন, মিয়ানমার সীমান্তে (রাখাইন রাজ্যের তুমব্রু এলাকায়) সশস্ত্র বিদ্রোহী আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ চলছে কয়েক দিন ধরে। সংঘর্ষে গুলির সঙ্গে মর্টারশেলও ব্যবহার হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে শূন্যরেখার রোহিঙ্গাদের সেবা কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

    শূন্যরেখায় আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নজরদারিতে কাঁটাতারের বাইরে পাহাড়চূড়ায় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) একাধিক চৌকি স্থাপন করেছে।
    ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর রাখাইন রাজ্যে সে দেশের সেনাবাহিনীর নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয় ৮ লাখ রোহিঙ্গা। এর আগে আসে আরও কয়েক লাখ। বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১২ লাখ।

    সে সময় ছয় হাজারের বেশি রোহিঙ্গা নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের কোনারপাড়া খালের দক্ষিণে শূন্যরেখায় বসতি শুরু করে। ওই আশ্রয়শিবিরে কয়েক গজ দূরত্বে মিয়ানমার সীমান্ত কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা। শূন্যরেখায় আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নজরদারিতে কাঁটাতারের বাইরে পাহাড়চূড়ায় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) একাধিক চৌকি স্থাপন করেছে।

    এই সীমান্ত এলাকায় নজরদারি করে কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি ব্যাটালিয়ন। অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা বলেন, শূন্যরেখার ওই আশ্রয়শিবির দেখাশোনা করে বিজিবি। সেখানকার চার হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে খাদ্যসহায়তা দিচ্ছে আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটি (আইসিআরসি)। শূন্যরেখার আশ্রয়শিবিরে সরকারি-বেসরকারি সেবা কার্যক্রম পরিচালনা হয় না।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ