• Uncategorized

    মানিকগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে তীব্র নদী ভাঙন

      প্রতিনিধি ২ অক্টোবর ২০২০ , ১১:৫৫:০২ প্রিন্ট সংস্করণ

     

     

    মো আরিফুর রহমান অরি, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

    মানিকগঞ্জ জেলার পদ্মা, যমুনা, কালীগঙ্গা এবং ধলেশ্বরী নদীর বিভিন্ন এলাকায় নদী ভাঙনে দেখা দিয়েছে ।

    তীব্র স্রোতে মানিকগঞ্জ জেলার পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে।পদ্মা-যমুনায় গত কয়েক দিনের প্রবল বৃষ্টিতে মানিকগঞ্জে পাটুরিয়া ফেরিঘাট ও আরিচা ঘাট এলাকায় তীব্র ভাঙন দেখা দিযেছে। এখনই ভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে যেকোনও সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে দেশের দক্ষিণ ও পশ্চিম অঞ্চলের জেলাগুলোর সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ার ফেরি চলাচল।

    একই অবস্থা আরিচা নৌবন্দরেও। ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বিলীন হয়ে যাবে সরকারি প্রতিষ্ঠানসহ আরিচা নদীবন্দরের বহু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

    আরিচা নৌবন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, নিজ উদ্যোগে বাঁশ দিয়ে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করছেন তারা। কিন্তু ঠেকানো যাচ্ছে না। সরকারিভাবে ভাঙন রোধে এখনই ব্যবস্থা না নিলে পুরো নৌবন্দরই বিলীন হয়ে যাবে।

    স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, শুকনা মৌসুমে আরিচা বন্দরের তীর সংলগ্ন নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটা হয়। এতে বর্ষা শুরু হলেই ভাঙন শুরু হয়। এছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড শুকনা মৌসুমে ভাঙন রোধে কার্যকরী ব্যবস্থা নিলে বর্ষায় এমন ভাঙন হত না।

    অন্যদিকে কালীগঙ্গা নদীর পানি বেড়ে গিয়ে শহর রক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে করে পৌরসভা এলাকার বড় সরুন্ডি ও বোয়ালী এলাকার শতাধিক বসতভিটা ভাঙনের হুমকিতে।

    তিন বছর আগে থেকেই একটু একটু করে ভাঙন শুরু হলেও সম্প্রতি বেড়িবাঁধে তীব্র ভাঙন দেখা দেয়। নদীতে অবাধে বালু উত্তোলন ও বড় বড় স্টিমার দিয়ে অপরিকল্পিতভাবে বালু আনা-নেওয়ার ফলে ভাঙন বেড়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।  আর ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড।

    নাজমা বেগম নামে আরেক বাসিন্দা জানান, বেড়িবাঁধের পাশ ঘেঁষে নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন ও স্টিমার চলার কারণে ভাঙন বেড়েছে। প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এ বালু ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকায় তা বন্ধ করা সম্ভব হয় না।

    জুলেখা আক্তার জানান, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় প্রতিনিধি ও পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিসকে ভাঙনের বিষয়ে জানানো হয়েছে। আজ থেকে তো বেড়িবাঁধের ব্লক সব খুলে পড়ছে। আগে ব্যবস্থা নিলে এ ব্লকগুলো নদীতে বিলীন হতো না। তবে এখনো যদি ভাঙন রোধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়া হয় অচিরেই প্রায় শতাধিক বসতভিটা নদীতে চলে যাবে।

    সাটুরিয়া উপজেলায় ধলেশ্বরী নদীর বাম তীরের ভাঙনে বরাইদ ইউনিয়নে ফয়জুন্নেসা উচ্চ বিদ্যালয়, বরাইদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, হাফেজিয়া মাদ্রাসা, রাস্তা, , ছনকা বাজার, দিঘুলিয়া ইউনিয়নের বাজার, লেবুর বাগান, প্রাথমিক বিদ্যালয়, পুরাতন ধলেশ্বরী নদীর ডান তীরের ভাঙনে তিল্লী ইউনিয়নের তিল্লী বাজার, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, রাস্তা, বাড়িঘর ভাঙনের কবলে রয়েছে।

    মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাইন উদ্দিন জনান, জেলার যেসব এলাকায় নদী ভাঙন হয়ে থাকে তা চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব স্থানে স্থায়ী বাঁধ ও নদী ভাঙন রোধে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণের কাজ চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ