• রাজশাহী বিভাগ

    ব্যাতিক্রমী উদ্দ্যেগ ওসি শামসুল আলমের খুশি শিক্ষার্থীরা

      প্রতিনিধি ২৯ অক্টোবর ২০২১ , ১০:৫৭:০০ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ শাহআলম-পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ

    পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শামসুল আলম শাহ্ ব্যাক্তিগত দায়িত্ববোধ হতে এক নজির স্থাপন করেছেন। ০৯-১১-২০২০ ইং তারিখে পত্নীতলা থানায় যোগদান করেন ব্যাতিক্রমী এই সরকারী কর্মকর্তা। দেশের মহামারি কোভিট-১৯ চলায় সারা দেশের স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় প্রসাষনের সবাই নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত সময় পার করে চলেছেন। যখন সরকারী ভাবে স্কুল কলেজ খুলতে শুরু করেছে ঠিক তখনি নিজ দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নিজেই উপজেলার বিভিন্ন স্কুল কলেজে ছুটে যান তার বিবেকের তাড়নায়।

    এরই ধারাবাহিকতায় স্কুলে শিক্ষকের ভুমিকায় ওসি পত্নীতলা শিরোনামে এশিয়ান টেলিভিশনে টিকার প্রচারিত হওয়ার পরেই বিষয়টি অনেকের নজরে আসে। মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার পর আমাদের জানান এই পুলিশ কর্তা। নিজ দায়িত্ব বোধ থেকেই নিজ দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি করোনার মহামারির কারনে বহু ছেলে/ মেয়ে তাদের কেউ নিজ ইচ্ছাতে নয়তো পরিবারের কারনে এক রকম বাধ্য হয়েই বিয়ের পিড়িতে বসতে হয়েছে এবং তার কারনে বাল্য বিবাহের সংখ্যা অনেক গুন বেড়ে যাওয়ার তার এই উদ্দ্যেগ।

    সপ্তাহের বিভিন্ন দিন উপজেলার যেকোন স্কুলে গিয়ে উপস্থিত হয়ে সমসাময়িক সমস্যা, বাল্য বিবাহ, ইফটিজিং, মাদক এর কুফল সম্পর্কে কথা বলেন শিক্ষার্থীদের সাথে। তিনি শিক্ষার্থীদের নিজ ফোন নাম্বার দিয়ে যদি কোন মেয়ে হয়রানির শিকার বা পারিবারিক ভাবে তার মতের বিরোদ্ধে বিবাহের কথা হলে কোন প্রকার ভয় ভীতির তোয়াক্কা না করে যেকোন সময় যেকোন অবস্থায় সরাসরি যোগাযোগ করার কথা জানান। সেই সাথে এই মত বিনিময়ে দারুন খুশি খুদে শিক্ষার্থীরা। বিশেষ করে ছেলেদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন কোন ভাবেই যাতে মাদকের সাথে জড়িয়ে না পড়ে।

    তার বিভিন্ন খারাপ দিক নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি এলাকায় কোন মাদক কারবারী দেখতে পেলে পুলিশকে জানাতে বলেন এই অফিসার ইনচার্জ। আমাদের প্রতিনিধির সাথে কথা বলার এক পর্যায়ে “মা সমাবেশ” এর কথা জানান। উপজেলার দৈনন্দিন কাজের জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দিকে যাওয়ার সময়ে যেখানে যে অবস্থায় মেয়ে লোকের সমাগম হলে সেখানে তাদের খোঁজ খবরের পাশাপাশি সমসাময়িক সমস্যা ও বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে মায়ের ভুমিকা ও করনীয় বিষয়ে আলোচনা করেন, তাছাড়া প্রতি ইউনিয়নে সপ্তাহে ও মাসের যেকোন একদিন করে “মা সমাবেশ” ও বিট পুলিশিং নিয়ে কথা বলেন।

    উপরোক্ত বিষয়ে কথা বলার এক পর্যায়ে এর কারন জানতে চাইলে নিজ দায়িত্ববোধ থেকেই বলে জানান, একজন সরকারী বা বেসরকারী কর্মকর্তা নিজ দায়িত্বের পাশাপাশি সমসাময়িক সমস্যা ও সমাজের জন্য একটু একটু করে সমাধান করতে পারলে সমাজটা আরো সুন্দর ও আন্তরিক হয়ে উঠবে। আমরা সামাজিক জীব, সমাজকে বাদ দিয়ে কেউ চলতে পারবনা কাজেই সবার আগে সমাজের কুসংস্কার গুলো আস্তে আস্তে বদলে ফেলতে পারলে সমাজটা আরো বাসযোগ্য হয়ে উঠবে। তাঁর মতে যতদিন বেঁচে থাকব আমার সাধ্যমত সমাজের জন্য কাজ করে যাব।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ