• রাজশাহী বিভাগ

    বন্যার পানি কমতেই তীব্র হচ্ছে যমুনায় নদী ভাঙন

      প্রতিনিধি ১৫ জুলাই ২০২২ , ১১:০১:৫৫ প্রিন্ট সংস্করণ

    বন্যার পানি কমতেই তীব্র হচ্ছে যমুনায় নদীভাঙন। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে উত্তরের যমুনা-ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর। সেন্টার ফর এনভাইরমেন্ট এ্যন্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিস (সিইজিআইএস) বলছে, গত ৩ দশকে নদী ভাঙনের স্থান কমেছে। তবে বড় ৩ নদী ব্যবস্থাপনার আওতায় আনা গেলে ক্ষতি সহনীয় পর্যায় আানা সম্ভব।

    বন্যার ধাক্কা কাটিয়ে না উঠতেই নদী ভাঙনে দিশেহারা গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা। বন্যার পানি নামা শুরু হলে তীব্র হয় ভাঙন। যমুনার স্র্রোতে সাহাঘাটা, ফুলছড়ি ও গাইবান্ধা সদর চরম ভাঙনের মুখে। এ পর্যন্ত জেলার ১৫ ইউনিয়নের অন্তত পাঁচ হাজার ঘরবাড়ি বিলীন হয়েছে নদীতে।

    গত এক সপ্তাহে যমুনা ও তিস্তার পানি কমতে শুরু করলে ভাঙনের মুখে পড়ে কুড়িগ্রামের চরাঞ্চল। এরই মধ্যে তিস্তা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি হারিয়েছেন অনেকে। চলতি মৌসুমে যমুনা, ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তায় নদী ভাঙন তীব্র হওয়ার আশঙ্কা করছে পূর্বাভাস কেন্দ্র।
    এবার পদ্মা অববাহিকায় ফরিদপুর, রাজবাড়িতে নদী ভাঙন তীব্র হতে পারে। তবে মুন্সিগঞ্জ ও শরীয়তপুরে কিছুটা কম হতে পারে পদ্মার ভাঙন।

    সিইজিআইএস এর তথ্য অনুযায়ী, পদ্মা সেতু নির্মাণে জাজারি পয়েন্টে নদী শসনের কারণে এ এলাকায় ভাঙ্গনের তীব্রতা কমার সম্ভাবনা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। তিন দশক ধরে দেশে নদী ভাঙনের স্থান অর্ধশত। যা এখন কমে ২০টি। সাড়ে ৯ হাজার থেকে কমে ভাঙনে বিলীন জমির পরিমান সাড়ে ৩ হাজার হেক্টরে নেমে এসেছে।আগামী বছর থেকে দুধকুমার, আড়িয়ালখাঁ, গড়াই, সাঙ্গু, আত্রাইসহ দেশের ১০টি মাঝারি নদীরও ভাঙনের পূর্বাভাস দেবে সিইজিআইএস।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ