• রাজশাহী বিভাগ

    বেড়ায় প্রজনন মৌসুমে জন-প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে ক্রয় -বিক্রয় হচ্ছে ইলিশ

      প্রতিনিধি ১৪ অক্টোবর ২০২২ , ১১:৩০:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    আলমগীর হুসাইন অর্থঃ

    পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার (আমিনপুর থানা)পুরানভারেঙ্গা ইউনিয়নাধীন কল্যাণপুর চরে শত শত মানুষের উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে চলছে ইলিশ মাছ ক্রয়-বিক্রয়। ইউনিয়নের ০৩ নং ওয়ার্ড সদস্য রফিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে চলছে সেখানকার ক্রয় – বিক্রয়। এমনকি পুরান ভারেঙ্গা ইউনিয়নের ০১ নং ওয়ার্ড সদস্য ইসমাইল হোসেন বালাম কে ০৩ টি ঝাটকা ( যার ওজন ৪৫০ গ্রাম) ক্রয় করে হাসতে হাসতে নিয়ে যেতে দেখা যায়। যে কারনে সরকারের মা ইলিশ রক্ষা অভিযান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে স্থানীয় জনগণ। স্থানীয়রা বলেন যেখানে নির্বাচিত ইউপি সদস্য’ রা মাছ ক্রয় – বিক্রয়ের সাথে জড়িত সেখানে সাধারণ জনগনকে সরকারি নির্দেশনা পালন করতে বলা হাস্যকর।

    শুধু এ স্থানটিই না উপজেলার একাধিক স্থানে বসছে ভ্রাম্যমান ইলিশের বাজার। মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২২- এর ০৭- ২৮ অক্টোবর (২২ আশ্বিন হতে ১২ কাৰ্তিক, ১৪২৯)পর্যন্ত সরকার ঘোষিত এই ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন,মজুদ,বাজারজাতকরণ,ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং দণ্ডনীয় অপরাধ। এ আইন অমান্যকারীকে কমপক্ষে ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।

    ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প (মৎস্য অধিদপ্তর), মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এর প্রজ্ঞাপন কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে প্রশাসনের সাথে চোর-পুলিশ খেলে জেলেরা প্রতিদিন ইলিশ মাছ ধরতে নদীতে নামছে। নৌ পুলিশের টহল দেখলে দ্রুতগতির নৌকা নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে দুষ্কৃতিকারী জেলেরা। জেলেদের জালে মা ইলিশ সহ ছোট – বড়, বিভিন্ন আকারের ইলিশ ধরা পড়ছে। এসব ইলিশ প্রতি কেজি ৮-৯ শত টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে।

    নদীর তীরে পাইকারি ক্রেতারা টাকা নিয়ে দাড়িয়ে থাকেন জেলেদের মাছের অপেক্ষায়। কিছুক্ষণ অতিবাহিত হলেই মাঝ নদী হতে নৌকাতে মাছ নিয়ে ফিরে আসেন জেলে’রা।
    সেখান থেকে মাছ পাইকারী দরে ক্রয় করে বাড়তি দামে বিক্রয় করছে খুচরা ক্রেতাদের কাছে। এভাবেই চলছে প্রজনন মৌসুমে ইলিশ মাছ আহরণ ও ক্রয় – বিক্রয়।

    এ বিষয়ে জেলেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, জেল পুরুষ মানুষের জন্য,জেলে যাবো জামিন নিয়ে আবার আসবো। এ মাছ তো আমাদের এলাকার না,অতিথি হিসাবে আসছে ডিম দিতে। ডিম দেওয়া শেষে ২২ দিন পর সব মাছ সাগরে চলে যাবে। সুযোগ কাজে লাগিয়ে এই ২২ দিনে আমরা কিছু মাছ ধরছি।তবে মা ইলিশ রক্ষায় স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয় সচেতন মহল।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ