• Uncategorized

    দৌলতপুরে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে নির্যাতন

      প্রতিনিধি ২১ এপ্রিল ২০২১ , ১:০৮:৩১ প্রিন্ট সংস্করণ

    কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের ভুরকা চর পাড়া গ্রামে যৌতুক না পেয়ে ফেরদৌসী আক্তার (৩২) নামের এক গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (২১ এপ্রিল) ওই গৃহবধূর বাবার বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

    নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ ফেরদৌসী আক্তার জানান, যৌতুকের জন্য প্রায়ই তার স্বামী জাহাঙ্গীর ও তার বড়বোন রাহেন ও আমার স্বামীর প্রথম স্ত্রী সহ পরিবারের লোকজন তাকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করত। বিষয়টি নিজের পরিবারকে জানালে বিভিন্ন সময় ফেরদৌসীর স্বামীকে প্রায় লাখ টাকার সরঞ্জাম দিয়েছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন।

    ফেরদৌসী বলেন, এছাড়া আমার মা কিছু নগদ টাকাও দিয়েছেন জাহাঙ্গীর কে। কিন্তু বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টার দিকে ঘরের দরজা বন্ধ করে আমাকে মেরে ফেলার জন্য আমার স্বামী ও আমার বড় নোদন ও আমার স্বামীর প্রথম স্ত্রী নার্গিস, আমার বড় নোদন রাহেন ও আমার স্বামীর প্রথম স্ত্রী আমার আমার দই হাত চেপে ধরে রাখে আর আমার স্বামী আমাকে এলোপাতাড়ি হাঁসুয়া দিয়ে কুপাতে থাকে। এক পর্যায়ে কৌশলে মুঠোফোনে আমার পরিবারের লোকদের জানাই। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তারা আমাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন ফেরদৌসী আক্তার।

    ফেরদৌসী হাতের চারটি আঙুল কেটে নেমে গিয়েছে, মাথায় ৮টা সেলাই, কাঁধের নিচের দিকে ৬টা সেলাই সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে।১বছর আগে দৌলতপুর উপজেলার কোলদিয়ার এলাকার কুদ্দুস পরামানিকের মেয়ে ফেরদৌসী আক্তারের সাথে একাই উপজেলার ভুরকা চর পাড়া গ্রামের খলিল গাড়োয়ানের ছেলে জাহাঙ্গীরের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়।

    ফেরদৌসীর বাবা কুদ্দুস পরামানিক বলেন, বিয়ের পর থেকে নানা কারণে জাহাঙ্গীর ও তার বড়বোন আমার মেয়ের উপর নির্যাতন চালায়। মেয়ের সুখের জন্য কয়েক দফায় প্রায় লাখ টাকা দিয়েছি। তারপরও তারা আমার মেয়ের উপর অত্যাচার নির্যাতন করে আসছে। সর্বশেষ বুধবার আমার মেয়েকে মেরে ফেলার জন্য ঘরের মধ্যে আটকে রেখে নির্যাতন চালায়। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ