• কৃষি

    বদলগাছিতে সার নিয়ে কৃষকের সাথে প্রতারণা দিশা হারা কৃষক

      প্রতিনিধি ২৮ আগস্ট ২০২২ , ৩:৩৫:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    নওগাঁর বদলগাছীতে কৃষকদের সাথে সার নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট সার ডিলারের বিরুদ্ধে । ৫০কেজি ইউরিয়া সারের বস্তায় ৪০থেকে ৪৫কেজি সার পাওয়া গেছে।বিএডিসির সংশ্লিষ্ট ডিলারের কাছে সার ক্রয় করে প্রতারিত হয়ে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় কৃষক ঘটনাসূত্রে,জানাযায়, শনিবার ২৭শে আগস্ট বদলগাছী উপজেলার বিলাশবাড়ী ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ট সার ডিলার রনজিৎ কুমার সাহার গুদাম থেকে সার

    বিক্রয়কালে সারের বস্তায় ওজনে কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন সার নিতে আসা ভুক্তভোগী কৃষকরা।বদলগাছীর বিলাশবাড়ী ইউপির বিসিআইসির অনুমোদিত সার ডিলার মেসার্স সার ঘরের মালিক রণজিৎ কুমারের সার ঘর থেকে সার ক্রয় করে প্রতারণার স্বীকার হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা।এবিষয়ে ডিলার ও কৃষি বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত ইউনিয়ন উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা বিএস এমরান হোসেন কে অভিযোগ করেও সারের ওজন কারচুপি থামছে না। বস্তার ওজনে সার কম দেয়ায় হতাশায় পড়েছেন কৃষকরা ।

    স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি ওজন থাকার কথা থাকলেও সেখানে একাধিক বস্তায় ৪০ কেজি আবার কোন বস্তায় ৪৫কেজি ওজন হচ্ছে। প্রতি বস্তায় ৫ থেকে ১০কেজি করে ইউরিয়া সার কম থাকছে। আবার কোন কোন বস্তায় ওজন সঠিকও রয়েছে। হলুদ বিহার গ্রামের চান মিয়া,শ্রীরাম পুরের বাবু,বলরাম পুরের আফজাল, আব্দুর রশিদ জানান, সার নিতে এসে ৫০কেজি সারের বস্তায় ১০থেকে ৫কেজি করে সার কম দিয়েছে।

    এবিষয়ে সার ডিলার রণজিৎ কুমার সাহা বলেন, গাড়ী লোড আনলোড করার সময় দুএকটা বস্তা থেকে সার পড়ে যায়,আর একারণে হয়তো দুএকটা বস্তায় সার কিছু কম আছে।নাম প্রকাশে অনুচ্ছুক স্থানীয় ইউপি সদস্য জানান, বিলাশবাড়ী ইউনিয়নের অনুমোদিত সার ডিলারের শর্মাপুর সার ঘর থেকে শনিবার সকাল থেকেই সারের বস্তায় ওজনে কারচুপির গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। ৪থেকে ৫বস্তায় সার কম দেওয়া হলে পরবর্তীতে ঐ সকল সারের বস্তা পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এবিষয়ে গুদাম কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার মিলছে না।

    ইউনিয়ন উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা এমরান হোসেন বলেন, বিলাশবাড়ী ইউনিয়নে ৯হাজারের মত কার্ডধারী কৃষক রয়েছে। আজ শনিবার বিলাশবাড়ী ইউপির ডিলার রণজিৎ এর শর্মাপুর সার ঘর থেকে ৩শ বস্তা সার কৃষকদের কাছে বিক্রয়ের কার্যক্রম চলছে। ওজনে কম হওয়ায় বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সার গাড়ীতে বহন করার সময় হয়তো বস্তা থেকে পড়ে গিয়ে দু একটা বস্তার সার কম হয়েছে।

    উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসান আলী জানান, সার ওজনে কম দেওয়ার বিষয়টি আমি শুনেছি এবং উর্ধতন কর্মকর্তা কে বিষয়টি জানিয়েছি । আমি বিষয়টি সেখানে গিয়ে তদন্ত করব।
    নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু হোসেন বলেন,উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়কে বিষয়টি জানান।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ