• কৃষি

    পলাশবাড়ীতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সাথী ফসলের চাষ

      প্রতিনিধি ২৩ নভেম্বর ২০২২ , ১:৪৪:১৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    সাগর আহম্মেদ-পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ

    গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নসহ প্রায় ইউনিয়নে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সাথী ফসলের চাষ। একইসঙ্গে একাধিক জমিতে সাথী ফসলের চাষাবাদ করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। সাথী ফসল হিসেবে পোটল,লাউ,শিম,মিষ্টি কুমড়া,করলার মাচার নিচে আদা,পিয়াজ,রসুন,হলুদ,ওল কচু,পিয়াজের মাঝে বেগুনের গাছ,পালং শাক,মরিচ,বাঁধা কপি,ফুলকপি, মূলা, বরবটি,ঢেঁড়স,ধনিয়া পাতা,পেঁপে,টমেটোসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি একটার সাথে আরেকটা চাষ করছে। উপজেলার একটি পৌরসভা ও ৮ টি ইউনিয়নের সর্বত্র বিঘার পর বিঘায় জমিতে চাষ হচ্ছে এসব সাথী ফসলের। পলাশবাড়ী পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের পলাশগাছী গ্রামের মৃত মগগুল হোসেনের ছেলে স্বপন তার ২৫ শতাংশ জমিতে মাচায় চাষ করেছেন লাউ,মিস্টি কুমড়া,করলা। তার নিচে দিয়েছেন আদা। তিনি জানান, আমার এ জমিতে পোটল ছিল। পোটল থাকা অবস্থায় এর নিচ দিয়ে লাউ,কুমড়া ও করলা বীজ বপন করেছিলাম। এই পোটলের মাচার নিচ দিয়ে আদাও দিয়েছিলাম। পোটল খাওয়া শেষ করে,লাউ,কুমড়া,করলার গাছ তুলে দিয়েছি। লাউ ভালোই ধরেছে, বিক্রিও করেছি অনেক। আদারও বেশ ভালো ফলন হয়েছে। লাউ তাড়াতাড়ি নামাতে লাউয়ের দামও ভালো পাচ্ছি। কুমড়ার কুঁড়ি আসা শুরু করেছে। করলাও বেশ ভালো দরে বিক্রি করেছি। একই গ্রামের কৃষক আতোয়ার রহমান জানান,একই জমিতে সাথী ফসল হিসেবে করলা ও আদা চাষ করেছি। ফাঁক ফাঁক করে কিছু পেঁপের গাছও লাগিয়েছি। এসব দিয়ে সংসার দিব‍্যিই চলে যায়। তাছাড়া সাথী ফসল চাষে জমি তৈরী,পরিচর্যা,সার প্রয়োগ,ও কীটনাশকের খরচ একটি দিয়েই হয়ে যায়। জমিতে আগাছা জম্মে কম। লাভ পাওয়া যায় দ্বিগুন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফাতেমা কাওসার মিশু জানান, পলাশবাড়ীর জমি সাথী ফসল চাষের উপযোগী। কৃষকদের সাথী ফসল চাষে উৎসাহিত করতে প্রণোদনাসহ পরামর্শ প্রদান অব‍্যাহত রয়েছে।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ