• রংপুর বিভাগ

    পলাশবাড়ীতে চুরির অপবাদে মেম্বার কৃর্তৃক তিন যুবক-কে মারধর, সাদা ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর ও আর্থিক জরিমানা আদায়

      প্রতিনিধি ১৬ আগস্ট ২০২২ , ৪:১৮:০০ প্রিন্ট সংস্করণ

    গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নে নিজ এলাকায় নিজের ইচ্ছা মত বিচার সালিশ বসানো থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন ইউপি সদস্য নুরে আলম সিদ্দিক মেম্বার। এবার তিনি চুরির অপবাদ দিয়ে একই ইউনিয়নের তিন যুবক-কে নিজ বাড়ীতে ডেকে নিয়ে মারধর, সাদা ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়াসহ তাদের নিকট থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা জরিমানা পূর্বক দুই যুবকের নিকট থেকে ৮০ হাজার টাকা আদায় করেছেন।

    অভিযোগ ও তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের চেরেঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা খন্দকার তৌহিদুল ইসলামের ছেলে হোসেনপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরে আলম সিদ্দিক এর বাড়ীর পাশে পুকুর থেকে মাস ছ’য়েক আগে তার পুকুরের মাছ, সিসি ক্যামেরার মনিটর, মেশিন চুরি হয়েছে বলে এলাকায় বলাবলি করে আসছেন। তারপর থেকে উক্ত মেম্বার এলাকার বিভিন্ন মানুষকে তার ওইসব জিনিস কে চুরি করেছে বলে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৫ আগস্ট হোসেনপুর ইউনিয়নের চেরেঙ্গা পশ্চিমপাড়া গ্রামের আরিফ ও খাসবাড়ী গ্রামের নুরনবীর ছেলে মোরসেদুল ও আয়নালের ছেলে এনামুল-কে ইউপি সদস্য নুরে আলম সিদ্দিক তার বসতবাড়ীতে ডেকে নেয় এবং তাদের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ করে তাদের বেধড়ক মারধার করে মিথ্যা স্বীকাররোক্তি গ্রহণ ও সাদা ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর গ্রহ করে। এরপর নুরে আলম সিদ্দিক মেম্বার ও তার সহযোগীরা প্রত্যকের ৪০ হাজার করে এ তিন যুবকের ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে । এর মধ্যে দুই জনের নিকট হতে ৮০ হাজার টাকা আদায় করেন। অপরজন জড়িমানা টাকা না দিতে পেরে আইনের আশ্রয় গ্রহন করেছেন। উক্ত ঘটনার তদন্ত পূর্বক অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করতে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভোক্তভোগী মোরশেদ।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য নুরে আলম সিদ্দিক জানান, আমার জিনিস চুরি করেছে তাই এলাকার মানুষজনসহ আমি তাদের আর্থিক জরিমানা করেছি।

    অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হলো না কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমার ওয়ার্ড, আমি কি ভাবে বিচার করবো সেটা আমার ব্যাপার।

    এবিষয়ে জানতে চাইলে হোসেনপুর ইউপি চেয়ারম্যান তৌফিকুল আমিন মন্ডল টিটু বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে ইউপি সদস্যের চুরির বিচার করার ক্ষমতা নেই, কেউ যদি চুরি করে তার বিচারের জন্য আইন আদালত আছে।

    এ বিষয়ে থানা অফিসার ইনর্চাজ মাসুদ রানা জানান, আমি এখনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তবে ইউপি সদস্য এধরণের বিচার করতে পারেনা বিচারের জন্য আইন আদালত আছে।

    উল্লেখ্য, এই তিন যুবক-কে মিথ্যা চোরের অপবাদ দিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর গ্রহন ও জরিমানার টাকা আদায় করায় জনমনে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা চলছে। সেই সঙ্গে অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারসহ স্থানীয় সরকার বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী ও সচেতন মহল ।#

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ