• আইন ও আদালত

    পরকিয়ায় বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে আটক-২

      প্রতিনিধি ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৬:১৮:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    এস এম শামীম হাসান-মহাদেবপুর প্রতিনিধিঃ

    নওগাঁর মহাদেবপুরের বিষ্ণুপুর (জন্তিগ্রাম) গ্রামে স্বামীর পরকিয়ায় বাধা দেওয়ায় স্ত্রী মুরশিদা বেগম (২৫)কে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহতের শ্বশুর ছয়েফ উদ্দিন ও তার শ্বাশুড়ি শাহারা খাতুনকে শ্বশুর ও শ্বাশুড়িকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে থানা পুলিশ এবং নিহতের স্বামী শাহিদুল ইসলাম পলাতক রয়েছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের পর বৃহস্পতিবার তার বাবার বাড়িতে নেওয়া হয়েছে।

    অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আমার মেয়ে মুরশিদা বেগমকে দুই বছর আগে উপজেলার জন্তিগ্রাম গ্রামের ছয়েফ উদ্দিনের ছেলে শাহিদুল ইসলাম ওরফে ছোটনের সাথে বিয়ে দেই। তাদের দাম্পত্য জীবনে ৮ মাস বয়সী সোবহানা নামে একটি কন্যা সন্তান আছে। এরমধ্যে শাহিদুল ইসলাম তার ভাবী মোছাঃ শারমিন বেগম (৩২) এর সাথে পরকিয়ার জড়িয়ে পরে। সেই সম্পর্কের কারনে আমার মেয়ের সাথে সে খারাপ ব্যবহারসহ মারপিট করত। আমার মেয়ে এই পরকিয়ার বিষয়টি আমাদেরকে জানালে আমরা ধর্য্য সহকারে তাকে সংসার করার কথা বলি। ইদানিং কালে সে আমার মেয়ের সাথে কারনে অকারনে খারাপ ব্যবহারসহ শারিরীক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করত।

    এরমধ্যে গতকাল বুধবার বিকেল অনুমান ৪ টার দিকে ভীমপুর ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ মোঃ ইয়াকুব আলীর মোবাইল ফোনে আমার মেয়ে মুরশিদা বেগম খুন হয়েছে। এই সংবাদ পেয়ে আমি আমার ছেলে ও আত্নীয়-স্বজনসহ জন্তিগ্রামে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি বাড়ির বারান্দায় কাপড় দিয়ে ঢাকা অবস্থায় আমার মেয়ের মরদেহ আছে তার গলাযর ডান পার্শ্বে থুতনির নিচে কালশিরা দাগ দেখতে পাই। ইতিমধ্যেই মহাদেবপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশ আমার আমার মেয়ের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে আমাদের স্বাক্ষর গ্রহন ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শেষে আমার মেয়ের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্যে নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরনের ব্যবস্থা করেন।

    আমরা স্থানীয় বিভিন্ন লোকজন এবং বিভিন্ন তথ্য সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি পরস্পর যোগসাজসে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে পরকিয়ার জেরে বেলা অনুমান ২ টার দিক থেকে বেলা ৪ টার পূর্বে যে কোন সময় গলা টিপে শ্বাস রোধ করে অথবা গলায় ওড়না পেঁচিয়ে অথবা অন্য যে কোন কৌশল অবলম্বন করে আমার মেয়েকে হত্যা করে হত্যার ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার জন্য আমার মেয়ের লাশ তার শয়ন কক্ষের তিরের সাথে টাঙ্গিয়ে রাখার নাটক সৃষ্টি করে। এবং এ হত্যার ঘটনা ঘটিয়ে বাড়ি হতে পালিয়ে যায়।

    সত্যতা নিশ্চিত করে মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফফর হোসেন বলেন, এঘটনায় নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের বাবা মোঃ মোশারফ হোসেন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে নিহতের শ্বশুর ও শ্বাশুড়িকে আটক করে বৃহস্পতিবার জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের স্বামী শাহিদুল পলাতক থাকায় তাকে আটক করা যায়নি। তবে তাকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

    আরও খবর

    মৌলভীবাজারে হিন্দু ধর্ম গোপন করে মুসলিম মেয়েকে প্রেমের বিয়ে,মেয়েটিকে মুসলিম থেকে হিন্দু না হওয়াতে গনধষন। 

    সাবেক যুবদল নেতার মামলায় ছাত্রলীগ সভাপতি ও মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী হয়রানির শিকার

    চুয়াডাঙ্গা বাসীর যেকোন প্রয়োজনে পুলিশ সুপারের দুয়ার সব সময় খোলা

    তানোরে পল্লী বিদ্যুতের মিটার ভাড়ার নামে বাণিজ্য

    পুরুষশূন্য মাশিকাড়া গ্রাম কাটছে না আতঙ্ক প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার দাবি নারীদের কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি কুমিল্লা দেবীদ্বার উপজেলা মাশিকাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের শাস্তি ও অপসারনের দাবিতে বিক্ষোভ, সংঘর্ষ, হামলা, অগ্নিসংযোগ ও গুলিবিদ্ধ হয়ে পুলিশসহ অর্ধশত গ্রামবাসী আহত হওয়ার ঘটনার ৪ দিন পর গতকাল শনিবার দুপুরেও ওই এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। দুপুরের পরও ওই এলাকায় মানুষজনের তেমন উপস্থিতি ছিলনা। খুলেনি দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। মাশিকাড়া বাজার ও মাশিকাড়া উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় ছিল পুলিশি টহল এবং সাংবাদিক ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কড়া নজরদারি। এ ছাড়া গত বুধবারের ওই সহিংসতার পর থেকে এখন পর্যন্ত হওয়া দুইটি মামলায় গতকাল শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যৌন হয়রানির দায়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক দেবীদ্বার উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক মোক্তল হোসেনকে উদ্ধারের ঘটনায় অভিযান চালাতে গিয়ে এ তা-ব চালানোর অভিযোগ উঠল দেবীদ্বার থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই অভিযুক্ত শিক্ষকের পক্ষের একটি প্রভাবশালী চক্রের প্ররোচনায় এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে পুলিশ এই কাজ করেছে। পুলিশের পক্ষ থেকে অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তবে উদ্বেগ আর আতঙ্ক কাটেনি নির্যাতনে শিকার ছাত্রীর পরিবার ও স্থানীয়দের। মাশিকাড়া গ্রামের সাথে আশপাশের আরো দুটি গ্রামে কয়েক হাজার মানুষের বসবাস। যাদের প্রায় সবাই গত বুধবারের সহিংসতায় হতবাক। আতঙ্কিত শিশুরাও। কোনকিছুর শব্দ ও আগুন দেখলে অনেকেই চমকে উঠছেন। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন যাপন করছে মাশিকাড়া গ্রামসহ আশপাশের আরো অন্তত দুই গ্রামের নারী, পুরুষ ও শিশুরা। সবার মধ্যে একটাই আতঙ্ক, আর তা হলো যদি আবার এসে পুলিশ হামলা ও গুলি করে। বাড়িতে থাকতে নিরাপদ বোধ করছে না কেউই। অবশ্য মামলা ও পুলিশি অভিযানের কারণে বাড়িতে থাকার মতো পরিস্থিতিও নেই। অনেকেই নিজেদের বাড়ি ছেড়ে স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত নির্যাতিতা স্কুলছাত্রীর পরিবার কারও সাহায্য-সহযোগিতা চান না। তারা শুধু নিরাপদে বসবাসের নিশ্চয়তা চান, নিজেদের জানমালের নিরাপত্তা চায় তারা। গতকাল সাংবাদিকরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে তাদের কাছে এমন দাবি জানান তারা। সাংবাদিকদের কাছে তারা সহিংসতায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারেরও দাবি জানান। সরেজমিনে দেখা গেছে, মাশিকাড়া ও শাকতলা গ্রামের প্রায় সব বাসিন্দার চোখে-মুখে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠার ছাপ। মাশিকাড়া বাজারে দুধ বিক্রি করতে আসা মো. মনু মিয়া (৬০) বলেন, ‘আমরা এতো বছর ধরে সম্প্রীতির সঙ্গে সবাই বসবাস করে আসছি। আমরাও এখানে স্কুল-কলেজে পড়াশোনা করেছি, একই সঙ্গে খেলাধুলা করেছি। কখনো কারো সাথে কোনো বিরোধ হয়নি। এক শিক্ষকের অনৈতিক আচরনের জন্য তার পক্ষের বহিরাগত কিছু লোক এসে এখানের মানুষজনকে উসকে দিয়ে এই কাজগুলো করাচ্ছে। এই মূলহোতাদের আইনের আওতায় আনা উচিত।’ গত বুধবার বিকেলে থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার মাশিকাড়া উচ্চ ববিদ্যালয় এলাকায় স্থানীয় জনতা-ছাত্র ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এই সহিংসতায় সাত পুলিশসহ স্থানীয় অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হন। শাকতলা গ্রামের রাজিয়া বেগম বলেন, ‘সেদিনের হামলার বীভৎসতায় আমার সাত বছরের ছেলে এখনো আঁতকে ওঠে। পুলিশ দেখলে ভয়ে কেঁদে ফেলে। এমন অবস্থা আমাদের প্রত্যেক পরিবারের। আমরা সরকারের কাছে নিরাপত্তা চাই।’ ওই ঘটনায় নির্যাতিতা স্কুলছাত্রীর বাবা ণারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলার বাদী মো. শফিউল্ল্যাহ বলেন, ‘আমরা কারও সাহায্য-সহযোগিতা চাই না। আমরা শুধু নিরাপদে বসবাস করতে চাই। নিজেদের জানমালের নিরাপত্তা চাই।’ মামলা ও গ্রেপ্তার- বুধবারের সহিংসতার ঘটনায় আলাদা দুইটি মামলা করা হয়েছে। দেবীদ্বার থানায় হামলা ভাঙচুর, লুটপাট, সরকারি কাজে বাধাদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে পুলিশের পক্ষ থেকে একটি ও যৌন হয়নরানীর শিকার ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে ণারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি একটি মামলা করা হয়। এ দুই মামলায় ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ওই ঘটনায় অভিযুক্ত যৌন নিপীড়ক প্রধান শিক্ষক মোক্তল হোসেনসহ এ পর্যন্ত ১৭জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শনিবার দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইিম এন্ড অপস্) খন্দকার আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘বিভিন্ন অভিযোগে দুইটি মামলা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে ঘটনায় জড়িত প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে। ওখানকার দায়িত্বরত পুলিশের কোন গাফলতি ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

    নড়াইলে একাধিক মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত তরিকুল ইসলাম গ্রেফতার

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ