• আইন ও আদালত

    পত্নীতলায় পূর্বের জেরে যুবকের হাত ভেঙ্গে ফেলেছে মা ও মেয়ে

      প্রতিনিধি ৬ মার্চ ২০২২ , ৫:৪১:৫৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ শাহআলম-ক্রাইম রিপোর্টার:

    নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলাধীন কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ০৯ নং ওয়াডের চকগোবিন্দ ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের স্বদেশ চন্দ্র দাস নামে এক যুবকের হাত ভেঙ্গে ফেলেছে মা মোরশেদা ও মেয়ে সুমাইয়া খাতুন। আনুমানিক বিকাল ৩.০০ ঘটিকার সময়ে মৃত সুব্রত চন্দ্র দাসের একমাত্র পুত্র সন্তান শ্রী স্বদেশ চন্দ্র দাস তার নিজ আবাদকৃত বোরো ধানের জমিতে পানি ঠিকমত আছে কিনা তা দেখে ডাঙ্গা পাড়া মোড়ে আসার সময়ে মোরশেদা ও মেয়ে সুমাইয়া স্বদেশের গতি রোধ করে দাড়িয়ে আগে থেকেই লুকিয়ে রাখা বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি মারপিট শুরু করলে স্বদেশ মাটিতে লুটিয়ে পড়লে মা-মেয়ে একই ভাবে মারতে থাকলে হাত দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করে।

    সেই সময় লাঠির আঘাতে বাম হাতের কনুইয়ের নিচের অংশ ভেঙ্গে যায়। বিষয়টির শুরু ১৯৯৬ সালের শেষের দিকে স্বদেশের পিতা মৃতঃ সুব্রত চন্দ্র দাস হঠাৎ করে উধাও হলে এক সপ্তাহ পরে ছোট যমুনা নদী হতে বস্তাবন্দি অবস্থায় সুব্রত দাসের লাস উদ্ধার করে পত্নীতলা থানা পুলিশ। সে সময় স্বদেশের মা সুব্রত দাসের পরনে থাকা হাফ সোয়েটার ও লুঙ্গী দেখে লাশ সনাক্ত করেন সুব্রত দাসের স্ত্রী বাসনা রাণী।পত্নীতলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয় যেখানে বাবুল হোসেনকে বিচারিক আদালত ফাঁসির আদেশ এবং শামসুল, আজহার এবং খালেকদের যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেন বিÁ আদালত।

    উক্ত বিষয়ে এলাকায় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজনের কাছ হতে এর সত্যতার প্রমান পাওয়া যায়। এরপরে গত ০১-০৬-২০১৯ ইং তারিখে মৃত সুব্রত দাসকে দাতা দেখিয়ে পত্নীতলা এসআর অফিসে ২৫৮১/২০১৯ নাম্বার দলিলে এই মোরশেদার বড় মেয়ে সুরাইয়াকে গ্রহিতা দেখিয়ে একটি দলিল রেজিষ্ট্রী করা হয়।দীর্ঘ্য ২৩ বছর আগের মৃত ব্যাক্তি জীবিত হয় কিভাবে মৃতঃ সুব্রত দাস কিভাবে দলিলের দাতা হয় প্রশ্ন এলাকার সাধারন জনগনের। উক্ত এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় ২০২১ সালে মোরশেদা, সুমাইয়া দিনের বেলা তহমিনা নামে আরেক মহিলাকে প্রচুর মারধরের পরে তারও হাত ভেঙ্গে ফেলায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘ্য ১০/১২ দিন হাসপাতালে থাকতে হয় ঐ মহিলাকে।

    স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সে কাওকে কোন পরোয়া না করেই চলাফেরা করে কেউ কিছু বলতে গেলেই নিজের জামা কাপড় ছিড়ে নারী নিযাতন মামলায় ফাঁসাবে বলে হুমকি প্রদান করে আসছে নারী রুপি গুন্ডা মোরশেদা ও মেয়ে সুমাইয়া।যে কারনে এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তি নিজের সম্মানের ভয়ে কেউ কোন কথা বলার সাহস পায়না। পত্নীতলা থানার ওসি শামসুল আলমের সাথে উক্ত বিষয়ে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে আমাদের প্রতিনিধিকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস প্রদান করে বলেন অভিযোগ পাওয়ার পরই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। আহত স্বদেশ বর্তমানে পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরুষ ওয়াডের ১৮ নং বেডে চিকিৎসাধীন আছে। তবে আইনগত ব্যবস্থার বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রী সুবিমল চন্দ্র দাস আমাদের নিশ্চিত করে জানান চিকিৎসা সেবা জরুরী হওয়ায় হাসপাতালে রাখা হয়েছে। সুস্থ্য হওয়ার পরেই আমরা আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করব যাতে ঐ মহিলা বা তার মেয়ে আর কারো গায়ে হাত তোলার সাহস না পায়।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ