• Uncategorized

    পটুয়াখালীতে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৩ সক্রিয় সদস্য পুলিশের হাতে গ্রেফতার

      প্রতিনিধি ২৭ জুলাই ২০২৩ , ১২:৪৭:৩০ প্রিন্ট সংস্করণ

    মু,হেলাল আহম্মেদ (রিপন) পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি

    পটুয়াখালী পৌর শহরের ৯ নং ওয়ার্ড টাউন কালিকাপুর রুপালী ফিলিং স্টেশন নামের পেট্রোল পাম্পে জড়িত থাকা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৩ সদস্য এবং ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত ট্রাক, দেশীয় অস্ত্র ও মোবাইল উদ্ধার করেছে পুলিশ।পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন ১.মোঃ শাহিদ সরদার (৪০),পিতা-আলেফ সরদার, সাং- ডঙ্গী বাকীগঞ্জ, জেলা-ফরিদপুর সদর ২. নুরু খাঁ নুর হোসেন, পিতা-দুলাল খাঁ, সাং- পূর্ব উজানচর নতুন ব্রিজ, গোয়ালন্দ রাজবাড়ী ৩. সুজাত প্রামানিক, পিতা কাজল প্রামানিক, সাং-উজানচড়, নলিয়াপাড়া, গোয়ালন্দ ,রাজবাড়ী।

    জানা যায়, ডাকাতি করাই তাদের মুল পেশা।বিভিন্ন বাসা-বাড়ি, দোকান-মার্কেট, ফিলিং স্টেশনসহ গাড়ি ডাকাতি করে তারা দ্রুত কেটে পরে গাঁ ডাকা দিতেন বলে জানা যায়।

    প্রেস ব্রিফিং সুত্রে, গত (০৪-০৬-২০২৩ ইং) তারিখ পটুয়াখালীতে *রুপালী ফিলিং স্টেশনে* রাত আনুমানিক ০৩.১৮ ঘটিকা হতে রাত্র ০৩.৪৫ ঘটিকার সময়ের মধ্যে উক্ত ফিলিং স্টেশনের অফিসের তালা ভেঙ্গে কক্ষের ভিতরে ঘুমিয়ে থাকা ম্যানেজার এবং দু”জন মেশিন অপারেটরকে দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র দিয়া আঘাত করে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে মুখ, দুই হাত-পা, গামছা, লুঙ্গি, মশারির ছেড়া অংশ দিয়ে বেধে বাথরুমে নিয়ে বাহির থেকে দরজা আটকিয়ে দিয়ে ম্যানেজারের কক্ষের মধ্যে প্রবেশ করে অফিস কক্ষের মধ্যে থাকা স্টিলের আলমারী ভেঙ্গে নগদ ৪,৯২,২৭০/ চার লক্ষ বিরানব্বই হাজার দুইশত সত্তোর টাকা ডাকাতি করে নিয়ে যায় ডাকাত দল।

    এই ঘটনায় ফিলিং স্টেশনের মালিক নারায়নগঞ্জের নয়াপাড়ার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম (৪২) বাদী হয়ে গত ৮’জুন সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১১, যাহার ধারা-৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড রুজু হয়।

    উক্ত ঘটনার পর পরই জেলা পুলিশ সুপার মোঃ সাইদুল ইসলাম (বিপিএম),(পিপিএম) এর নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম এর নেতৃত্বে সদর থানার একটি চৌকস অভিযানিক দল বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি, সিসি ফুটেজ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ডাকাতির মূল রহস্য উদঘাটনে শুরু করেন। জেলা পুলিশের অভিযান টিমের নিরবিচ্ছন্ন প্রচেষ্টার ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দু”টি মোবাইল নাম্বারের সূত্র ধরে ডাকাত চক্রের প্রত্যেক সদস্য ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ট্রাক সনাক্ত করেন। পরে অভিযান টিমের সদস্যগন মাদারীপুর, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ জেলাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। গত ২৮’জুন ঢাকার গাজীপুর জেলার টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকা হতে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ট্রাক (ঢাকা-মেট্রো-ড-১৪-৮৮৮৪) হইতে মোবাইল, তালা কাটার মেশিন বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র সহ চালক শহিদ সরদারকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে, ডাকাতির সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জাবানবন্দি প্রদান করে। তার দেয়া তথ্যর ভিওিতে অভিযান টিমের সদসগন গত ২৪’জুলাই ডাকাত দলের অপর দুই সদস্য সুজাত প্রামানিক ও নুরু খাঁ নুর হোসেনকে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। প্রথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় তারা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে বরিশাল বিভাগের ০৬টি জেলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় তথ্য সংগ্রহ করে সুযোগ বুঝে ক্ষিপ্র গতিতে ডাকাতি শেষে স্থান ত্যাগ গা ডাকা দেয়।

    এসময় গ্রেফতারকৃত প্রত্যেক ডাকাতের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতিসহ অস্ত্র আইনে একাধিক মামলাও রয়েছে। এই ডাকাতির ঘটনায় জড়িত অন্যান্য সকল আসামীকে গ্রেফতারে জোর প্রচেষ্টা অব্যহত রয়েছে বলে জানান তারা।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ