• চট্টগ্রাম বিভাগ

    নাইক্ষ্যংছড়িতে জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে কর্মশালা অনুষ্ঠিত

      প্রতিনিধি ১৯ জুলাই ২০২২ , ৪:৪৪:৫২ প্রিন্ট সংস্করণ

    বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে দিনব্যাপি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) সকাল ১১ টায় বেসরকারি সংস্থা তাহ্জিংডং পার্বত্য চট্টগ্রামের নারী ও কন্যা শিশুদের শিক্ষা উন্নয়ন’ প্রকল্পের উদ্যোগে নাইক্ষ্যংছড়ি রেস্টহাউজ এর হল রুমে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

    এতে প্রধান অতিথি ছিলেন,নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) টান্টু সাহা,নাইক্ষ্যংছড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাছরিন আক্তার, চাকঢালা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীন, সোনাইছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজস্ব বড়ূয়া,দোছড়ি উচ্তচ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহাজান, তমব্রু সরকারি জুনিয়ার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুর রহিম, রেজু বরইতলি জুনিয়র হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক উৎপল বড়ূয়া,ব্র্যাক শিক্ষা শাখার দায়িত্বপ্রপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম,

    প্রকল্পের জেন্ডার এন্ড ট্রেনিং অফিসার ইতি বিশ্বাস, ট্রেইনার মাইকেল মন্ডল কর্মশালায় বিস্তারিত ধারণা দেন। এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, এনজিও কর্মকর্তা, ইউপির পুরুষ ও মহিলা সদস্য ও সাংবাদিকরা এ কর্মশালায় অংশ নেন। কর্মশালায় জেন্ডার সহিংসতায় করণীয়, নির্যাতনের শিকার নারীর সহজে প্রয়োজনীয় সেবা পাওয়ার স্থান ও উপায়সহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর বিস্তারিত ধারণা দেওয়া হয়।
    এ বিষয়ে বান্দরবান জেলার জেন্ডার ট্রেইনার ইতি বিশ্বাস সাংবাদিকদের জানান,

    ২০০১ সাল থেকে তহ্জিংডং বান্দরবানের ৭টি উপজেলায় বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ করে আসছে। এ ধারা বাহিকতায় গ্লোবাল কানাডা এপিয়ার্সের অর্থায়নে ও ইউএনডিপি’র কার্যকরী সহযোগিতায় ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের নারী ও কন্যা শিশুদের শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন’ প্রকল্পের মাধ্যমে জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা রোধে সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি উপকার ভোগীদের নিয়ে সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজে অংশ গ্রহণসহ কমিউনিটি লেবেলে সচেতনতামূলক উঠান বৈঠক, ঝরেপড়া শিশু ও সহিংসতার শিকার নারীদের আইনি সহায়তা এবং আর্থিক প্রণোদনাসহ বিভিন্ন কাজে সহযোগিতাসহ আইনি পরামর্শ প্রদান করে আসছে।

    তিনি আরও বলেন, জেন্ডার বৈষম্য, যৌন হয়রানি, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার ও বাল্যবিয়ে বিষয়ে আলোচনা করেন। ইদানিং মোবাইল, কম্পিউটার, ইন্টানেট অর্থাৎ তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে নারীদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানি ও নির্যাতন করা হচ্ছে বলে ধারণা দেন। তাই এইসব প্রতিরোধ করতে সকল হয়রানি ঘটনাকে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও আইনি অপরাধ হিসেবে দেখা এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা আহ্বান জানান।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ