• আইন ও আদালত

    নওগাঁর সকল উপজেলায় অবাধে বিক্রয় হচ্ছে যৌন উত্তেজক সিরাপ

      প্রতিনিধি ২১ অক্টোবর ২০২২ , ৮:২৯:০৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ শাহ আলম-ক্রাইম রিপোর্টার:

    নওগাঁর সকল উপজেলায় প্রতিনিয়ত বিক্রি হচ্ছে অবৈধ যৌন উত্তেজক হরমোসিন, অ্যাপেক্স, জিংক, স্টার, ওয়ান, জিনিকস, শিকর, জিনসেং, মাউল্যাহাম, ইত্যাদি। এছাড়া আরো ৫ থেকে ৬ প্রকার হরমোন বাজারে চলছে ফ্রুট জুস নামে। নওগাঁর প্রতিটি উপজেলার ঔষুধ ও মুদির দোকানে বিক্রি হচ্ছে যৌন উত্তেজক হরমোসিন, অ্যাপেক্স,জিংক, স্টার, ওয়ান, জিনিকস, শিকর, জিনসেং, ইত্যাদি।

    মানব শরীরের জন্য ক্ষতিকর এসব যৌন উত্তেজক বন্ধে প্রশাসনের নেই কোন পদক্ষেপ। গ্রামের দোকান গুলোতে মুড়ি চানাচুরের মতো প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে যৌন উত্তেজক এসব সিরাপ। সন্ধ্যার পর হতে দোকান গুলোতে শুরু হয় এমন নিষিদ্ধ যৌন উত্তেজক অ্যাপেক্স, হরমোসিন, জিংকের রমরমা বেচাকেনা। না জেনে অবাধে খাচ্ছে সাধারণ আমজনতা। অনেক অবিবাহিত যুবকরা পিকনিক কিংবা যেকোন অনুষ্ঠানে শখের বসবর্তী হয়ে খাচ্ছে এসব হরমোসিন, অ্যাপেক্স,জিংক, স্টার, ওয়ান, জিনিকস, শিকর, জিনসেং।

    নিরব ঘাতকের কবলে পরে অকালে হারাতে বসেছে যুবকরা তাদের যৌন শক্তি। গ্রাম-গঞ্জের পথে ঘাটে অথবা জঙ্গলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে হাজার হাজার এসব যৌন উত্তেজক সামগ্রির খালি বোতল। উপজেলার প্রশাসনের হস্তক্ষেপে প্রতিহত হতে পারে এসব যৌন উত্তেজক অ্যাপেক্স, হরমোসিন, জিংক বিক্রয়। উপজেলার সচেতন নাগরিকের প্রত্যাশা, প্রশাসন এসব অবৈধ যৌন উত্তেজক বিক্রির সাথে জড়িত অসাধু ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করা।

    পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাহেবের অফিসে ভোক্তা অধিকার বিষয়ক সেমিনারে প্রথম নজরে আনেন পত্নীতলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মুসাহাক আলী। বিষয়টি নিয়ে সরেজমিনে স্থানীয় বিভিন্ন মোড়ের ছোট ঘুমটির দোকান ও ঔষুধের দোকানে এসব অবৈধ যৌন উত্তেজক সিরাপ বিক্রয়ের সত্যতার প্রমান পাওয়া যায়। পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোমানা আফরোজের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি যথাযথ প্রমান সাপেক্ষে জরুরী ভিত্তিতে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহনের আশ্বাস প্রদান করেন।

    আরও খবর

                       

    জনপ্রিয় সংবাদ